আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১,

খালোয়াত কি? একাধিক পুরুষ এবং একজন মেয়ে থাকলে কি খালওয়াত হয়?!যেটা রাসুল সা: নিষেধ করেছেন

২,আমার একটা হলুদ ফতুয়া ছিল।কিন্ত্য হলুদ হওয়াতে পড়তাম্না।আমি সেটা আমার স্ত্রীকে দিয়ে দিয়েছি।এটা স্ত্রীর জন্য পড়া কি জাইজ হবে?
একই ভাবে টিশার্ট গুলো,সেসব আমার বোনকে পড়ার জন্য দিলে গুনাহ হবে?

৩,এলাকায় অনেক গুলা মসজিদ বিধায় জামাতের সম্প্য ভিন্ন।যেমন ইশা সাড়ে ৭টা থেকে এমনকি সাড়ে ৮টাতেও হয়।এখন আমি যদি আমার কর্মগত কারণে সুবিধা অনুযায়ী একেক সময় একেক মসজিদে পড়ি তাহলে কি জামাতের সওয়াব পাবনা?

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثالثهما الشَّيْطَان» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো পুরুষ অপর (মাহরাম নয় তথা বিবাহ বৈধ এমন) নারীর সাথে নিঃসঙ্গে দেখা হলেই শয়তান সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয়।
(তিরমিযী ১১৭১, ২১৬৫.মিশকাত ৩১১৮)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ» . فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً قَالَ: «اذهبْ فاحجُجْ مَعَ امرأتِكَ»

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

(বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।)

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ، أخبرنا عَبْدُ اللهِ - يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ - أخبرنا مُحَمَّدُ بْنُ سُوقَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَطَبَ بِالْجَابِيَةِ، فَقَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامِي فِيكُمْ، فَقَالَ: " اسْتَوْصُوا بِأَصْحَابِي خَيْرًا، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ لَيَبْتَدِئُ بِالشَّهَادَةِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا، فَمَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ بَحْبَحَةَ الْجَنَّةِ فَلْيَلْزَمُ الْجَمَاعَةَ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الْوَاحِدِ، وَهُوَ مِنَ الِاثْنَيْنِ أَبْعَدُ، لَا يَخْلُوَنَّ أَحَدُكُمْ بِامْرَأَةٍ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ ثَالِثُهُمَا، وَمَنْ سَرَّتْهُ حَسَنَتُهُ وَسَاءَتْهُ سَيِّئَتُهُ، فَهُوَ مُؤْمِنٌ

উমার (রাঃ) জাবিয়াতে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই জায়গায় আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেনঃ আমার সাহাবীদের জন্য সব সময় শুভ কামনা কর, তারপর তাদের পরবর্তীদের জন্য, তারপর তাদের পরবর্তীদের জন্য। এরপর মিথ্যা ছড়িয়ে পড়বে, এমনকি এমনও ঘটবে যে, কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করার আগেই সে সাক্ষ্য দিতে শুরু করবে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জান্নাতের মাঝখানে থাকতে ইচ্ছুক, সে যেন অবশ্যই জামাতবদ্ধ জীবন যাপন করে। কেননা শয়তান একাকী মানুষের সঙ্গী এবং দু’জন থেকে সে অপেক্ষাকৃত দূরে থাকে। তোমাদের কেউ যেন কোন মহিলার সাথে নির্জনে সাক্ষাত না করে। কেননা সে সময় শয়তান হয় তৃতীয় জন। আর নিজের সৎকাজ যাকে আনন্দ দেয় এবং নিজের মন্দ কাজ যাকে দুঃখ দেয়, সেই প্রকৃত মুমিন।
(মুসনাদে আহমাদ ১১৪. ইবনু মাজাহ ২৩৬৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৬৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো পুরুষ অপর গায়রে মাহরাম নারীর সাথে নিঃসঙ্গে নির্জনে দেখা হলে সেটিকে খালওয়াহ বলা হয়।

একাধিক পুরুষ এবং একজন মেয়ে থাকলে সেটিকে খালওয়াত বলা হবেনা।

এক্ষেত্রে খালওয়াতে সহীহাহ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 

(০২)
যেহেতু এগুলো ছেলেদের পোশাক,তাই নারীদের এভাবে দিলে তারা পড়তে পারবেনা।

আপনার স্ত্রী সেই ফতুয়া ফিট করে মেয়েদের পোশাক হসেবে কিছু বানিয়ে নিতে পারে।

উক্ত টিশার্ট আপনার বোনের জন্য পরিধান কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।

(০৩)
অবশ্যই পাবেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।

তবে যেই এলাকাতে থাকা অবস্থায় আযান হয়,বিশেষ ওযর ছাড়া সেই মহল্লার মসজিদে নামাজ না পড়ে অন্যত্রে যাওয়া উচিত হবেনা।

হ্যাঁ জরুরি কাজের কারনে অন্যত্রে যেতে পারেন,সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 836 views
0 votes
1 answer 200 views
...