আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম

১। রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর পাওয়ার নিয়্যতে কি পিল খেয়ে হায়েজ অফ রাখা যাবে?
২। একজন বলেছিলেন যে,  অভিজ্ঞ কোনো শাইখের কাছে জীবনে অন্তত একবার পুরো কোরান তেলাওয়াত শুনানো দরকার। না হয় গুনাহগার হবে। এটা কি ঠিক?

৩। একটা হাদীস পড়েছি যেখানে বলা আছে সাজদাহর সময় দুহাত যেন কুকুরের মত বিছিয়ে না দিই। এক্ষেত্রে কি করণীয়। মেয়েরা তো জড়োসড়ো হয়ে সাজদাহ দিই। এমতাবস্থায় কি দু বাহু হালকা উঠিয়ে রাখব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা-শারিরিক ক্ষতি থেকে কখনো মুক্ত নয়।এর একটি পারিপার্শ্বিকতা অবশ্যই  থাকবে।কেননা যেখানে আল্লাহ নারীদের জন্য হায়েযকে রেখেছেন,নিশ্চয় একে বন্ধ রাখলে শারিরিক ক্ষতি হবে।

তবে বিশেষ আ'মল যেমন হজ্ব-উমরার জন্য উলামায়ে কেরাম রুখসত দিয়ে থাকেন।হজ্ব ফরয তাছাড়া হজ্ব-উমরার জন্য মানুষ অনেক দূরদূরান্ত থেকে সফর করে যায়।কিন্ত নারীদের জন্য এ'তেক্বাফের বিষয়টা তেমন নয়।
সুতরাং এ'তেক্বাফের জন্য পিল খাওয়া কখনো উচিৎ হবে না।
যে নারীর রমজানের শেষ দশকে হায়েয আসার সম্ভাবনা রয়েছে উনি এ বৎসর এ'তেক্বাফে বসবেন না।তারপরও যদি বসেন,তাহলে যে দিন হায়েয শুরু হবে সেদিন উনি এ'তেক্বাফ থেকে বেরিয়ে যাবেন।কেননা হায়েয-নেফাস শুরু হওয়ার পরপরই এ'তেক্বাফ ফাসিদ হয়ে যায়।পরবর্তিতে যখন তিনি পবিত্র হবেন,তখন একদিনের এ'তেক্বাফকে রোযা সহ কা'যা করে নেবেন।
(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৬/৪২০)

কোনো মহিলা যদি আবেগতারিত হয়ে এ'তেক্বাফের জন্য পিল খেয়ে নেন,এবং উনার হায়েয বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে উনাকে নামায রোযা সবকিছুই পালন করতে হবে।এবং উনার জন্য এ'তেক্বাফ করাও তখন বিশুদ্ধ হবে।(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1419


এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/42781


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শবে কদর তো নির্দিষ্ট নয়, তাছাড়া নবীযুগেতো এরকম কোনো পিলের ব্যবস্থা ছিলনা, তাই শবে কদরের জন্য পিল সেবন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা দেখছি না।


(২)
হ্যা, অভিজ্ঞ কোনো শাইখের কাছে জীবনে অন্তত একবার পুরো কোরআন তেলাওয়াত করে শুনানো দরকার। কেননা হয়তো এমন কোনো ভুল থাকতে পারে, যা দ্বারা অর্থ বিগড়ে যেতে পারে। তখন কিন্তু গোনাহ হবে।

(৩)
এই হাদীস পুরুষের বেলায় প্রযোজ্য।
নারী পুরুষের নামাযের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/498


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 161 views
...