ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা-শারিরিক ক্ষতি থেকে কখনো মুক্ত নয়।এর একটি পারিপার্শ্বিকতা অবশ্যই থাকবে।কেননা যেখানে আল্লাহ নারীদের জন্য হায়েযকে রেখেছেন,নিশ্চয় একে বন্ধ রাখলে শারিরিক ক্ষতি হবে।
তবে বিশেষ আ'মল যেমন হজ্ব-উমরার জন্য উলামায়ে কেরাম রুখসত দিয়ে থাকেন।হজ্ব ফরয তাছাড়া হজ্ব-উমরার জন্য মানুষ অনেক দূরদূরান্ত থেকে সফর করে যায়।কিন্ত নারীদের জন্য এ'তেক্বাফের বিষয়টা তেমন নয়।
সুতরাং এ'তেক্বাফের জন্য পিল খাওয়া কখনো উচিৎ হবে না।
যে নারীর রমজানের শেষ দশকে হায়েয আসার সম্ভাবনা রয়েছে উনি এ বৎসর এ'তেক্বাফে বসবেন না।তারপরও যদি বসেন,তাহলে যে দিন হায়েয শুরু হবে সেদিন উনি এ'তেক্বাফ থেকে বেরিয়ে যাবেন।কেননা হায়েয-নেফাস শুরু হওয়ার পরপরই এ'তেক্বাফ ফাসিদ হয়ে যায়।পরবর্তিতে যখন তিনি পবিত্র হবেন,তখন একদিনের এ'তেক্বাফকে রোযা সহ কা'যা করে নেবেন।
(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৬/৪২০)
কোনো মহিলা যদি আবেগতারিত হয়ে এ'তেক্বাফের জন্য পিল খেয়ে নেন,এবং উনার হায়েয বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে উনাকে নামায রোযা সবকিছুই পালন করতে হবে।এবং উনার জন্য এ'তেক্বাফ করাও তখন বিশুদ্ধ হবে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শবে কদর তো নির্দিষ্ট নয়, তাছাড়া নবীযুগেতো এরকম কোনো পিলের ব্যবস্থা ছিলনা, তাই শবে কদরের জন্য পিল সেবন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা দেখছি না।
(২)
হ্যা, অভিজ্ঞ কোনো শাইখের কাছে জীবনে অন্তত একবার পুরো কোরআন তেলাওয়াত করে শুনানো দরকার। কেননা হয়তো এমন কোনো ভুল থাকতে পারে, যা দ্বারা অর্থ বিগড়ে যেতে পারে। তখন কিন্তু গোনাহ হবে।
(৩)
এই হাদীস পুরুষের বেলায় প্রযোজ্য।