ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার ভাষায় জবাব দেয়ার চেষ্টা করলাম, যাতেকরে সহজেই বিষয়টা আপনার বোধগম্য হয়।
(১)
স্ত্রী তালাক চাইলে রেগে গিয়ে তার এইটা প্রত্যাখান করার পর যদি স্ত্রী ফ্লোরে শুয়ে যায় এবং তাকে ফ্লোর থেকে বিছনায় শুয়ানোর উদ্দেশ্য তুলতে তুলতে যদি স্বামী যদি বলে "উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও"
এসব আলোচনার দ্বারা কোনো তালাক হবে না।এইখানে "উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও" তার তালাকের জবাব হিসেবে তো ব্যবহার হয়নি।বরং তাকে শুয়ানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে।
(২)
স্ত্রীকে ফ্লোর থেকে তুলতে গেলে, সে যদি তালাক চায়, স্ত্রী তালাক চাওয়াতে স্বামীর মনে রাগ থাকার পরও যদি স্বামী তাকে ফ্লোর থেকে বিছনায় বসিয়ে শোয়ানোর উদ্দেশ্য তুলতে তুলতে, বলে
"উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও" এতেও তালাক হবে না।
এইখানে দাঁড়াও স্ত্রীর তালাকের জবাব হিসেবে ব্যবহার হবে না।
(৩)
স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী রেগে প্রত্যাখান করার পর তাকে মুখ ধোয়া বা খেতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য যদি স্কামী বলে "উঠো দাঁড়াও, খেতে চলো/মুখ ধুইয়ে আসো/মুখ ধুইতে চলো"এক্ষেত্রেও তালাক হবে না।
(৪)
স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী যদি এভইড করে কাজের নির্দেশনা স্বরুপ বলে "দাড়াও এইটা করো বা ওইটা করো"
এতেও তালাক হবে না।
(৫) 'দাড়াও" শব্দটাতো তালাকের জবাব হিসেবে নয় বরং কথার কথা বা সচরাচর কাজের নির্দেশনা বা পরিস্থিতি পরিবর্তন বা শান্ত করার উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয়, সেজন্য এই শব্দকে কেনায় তালাকের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।