আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
হুজুর উওর দিলে বিষয়টা ভালো করে বুঝততে পারবো

প্রশ্ন ১:স্ত্রী তা* চাইলে আমি রেগে গিয়ে তার এইটা প্রত্যাখান  করার পর পর বা অনেক্ক্ষণ পর যদি স্ত্রী ফ্লোর এ শুই এবং তাকে ফ্লোর থেকে বিছনায় বসা শোয়ার উদ্দেশ্য তুলতে তুলতে, বলি""উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও"" একেএ কি তালাক হয়?এইখানে দাঁড়াও ওর তালাকের জবাব হিসেবেতো ব্যবহার হয়না।জানার জন্য

অনেক সময় পরিস্তিতি পরিবর্তন বা  স্ত্রী কে অনেক ভালোবাসি এইটা বুঝাইতে বা স্ত্রীকে স্বাভাবিক বা শান্ত করার উদ্দেশ্য ও যদি এমনটা করা হয় তাহলেও কি তালাক হয়?জানার জন্য

প্রশ্ন:২অথবা ওকে ফ্লোর থেকে তুলতে গেলে ও যদি তালাক চায়, ও তালাক চাওয়াতে মনে রাগ থাকার পরো যদি আমি তাকে ফ্লোর থেকে বিছনায় বসা শোয়ার উদ্দেশ্য তুলতে তুলতে, বলি""উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও"" একেএ কি তালাক হয়?এইখানে দাঁড়াও ওর তালাকের জবাব হিসেবেতো ব্যবহার হয়নি।জানার জন্য

অনেক সময় পরিস্তিতি পরিবর্তন বা  স্ত্রী কে অনেক ভালোবাসি এইটা বুঝাইতে বা স্ত্রীকে স্বাভাবিক বা শান্ত করার উদ্দেশ্য ও যদি এমনটা করা হয় তাহলেও কি তালাক হয়?জানার জন্য

প্রশ্ন ৩:অথবা ও তালাক চাইলে আমি রেগে প্রত্যাখান করার পর ,ও বসানো অবস্থায় থাকলে ওকে,মুখ ধোয়া বা খেতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য যদি বলি"উঠো দাঁড়াও, খেতে চলো/মুখ ধুইয়ে আসো/মুখ ধুইতে চলো"একেএে ও কি তালাক হয়?জানার জন্য

অনেক সময় পরিস্তিতি পরিবর্তন বা  স্ত্রী কে অনেক ভালোবাসি এইটা বুঝাইতে বা স্ত্রীকে স্বাভাবিক বা শান্ত করার উদ্দেশ্য ও যদি এমনটা করা হয় তাহলেও কি তালাক হয়?জানার জন্য

প্রশ্ন ৪:তালাক চাইলে যেহেতু এইসব শব্দ আমি পছন্দ করিনা তাই ওর চাওয়া টা এভইড করে কাজের নির্দেশনা স্বরুপ যদি বলি""দাড়াও এইটা করো বা ওইটা করো""অর্থাত দাঁড়াও শব্দটা কথার কথা ব্যবহার হয় এইটা ও কি তালাক হবে?জানার জন্য

৫)অর্থাত আমি জানতে চাই যে দাড়াও শব্দটাতো তালাকের জবাব হিসেবে নয় কথার কথা বা সচারাচর কাজের নির্দেশনা বা পরিস্থিতি পরিবর্তন বা শান্ত করার উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয় একেএে কি সেটা কেনায়া হয়ে যাবে?

দাঁড়াও বলতেই কি কেনায়া বাক্য একটু বুঝায় বলবেন।

@@আমি কখনো দাঁড়াও শব্দটা এইরকম পরিস্থিতিতে ব্যবহার করেছি বলে মনে হয়না।।ও তালাক চাইলেও আমি কখনো রাগ বা ঠান্ডা মাথায়ও  তালাকসূক বা কেনায়া বা সম্মসিসূচক কিছু বলিনা বরং এই তালাক বিষয়টাকেই আমি ঘৃণা করি।ও রাগ করলে বা ঝগড়া করলে বা কান্না করলেও আমি শান্ত করার চেষ্টা করি। শুধুমাত্র জানার উদ্দেশ্য প্রশ্নগুলো করা@
by (7 points)
হুজুর প্রশ্নটার উত্তর পায়নি

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার ভাষায় জবাব দেয়ার চেষ্টা করলাম, যাতেকরে সহজেই বিষয়টা আপনার বোধগম্য হয়।

(১)
স্ত্রী তালাক চাইলে রেগে গিয়ে তার এইটা প্রত্যাখান করার পর যদি স্ত্রী ফ্লোরে শুয়ে যায় এবং তাকে ফ্লোর থেকে বিছনায় শুয়ানোর উদ্দেশ্য তুলতে তুলতে যদি স্বামী যদি বলে "উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও" 


এসব আলোচনার দ্বারা কোনো তালাক হবে না।এইখানে "উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও" তার তালাকের জবাব হিসেবে তো ব্যবহার হয়নি।বরং তাকে শুয়ানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে।

(২)
স্ত্রীকে ফ্লোর থেকে তুলতে গেলে, সে যদি তালাক চায়, স্ত্রী তালাক চাওয়াতে স্বামীর মনে রাগ থাকার পরও যদি স্বামী তাকে ফ্লোর থেকে বিছনায় বসিয়ে শোয়ানোর উদ্দেশ্য তুলতে তুলতে, বলে
"উঠো বা দাড়াও, বিছনায় শোও" এতেও তালাক হবে না।
এইখানে দাঁড়াও স্ত্রীর তালাকের জবাব হিসেবে ব্যবহার হবে না।


(৩)
স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী রেগে প্রত্যাখান করার পর তাকে মুখ ধোয়া বা খেতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য যদি স্কামী বলে "উঠো দাঁড়াও, খেতে চলো/মুখ ধুইয়ে আসো/মুখ ধুইতে চলো"এক্ষেত্রেও তালাক হবে না।

(৪)
স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী যদি এভইড করে কাজের নির্দেশনা স্বরুপ বলে "দাড়াও এইটা করো বা ওইটা করো" 

এতেও তালাক হবে না।

(৫) 'দাড়াও" শব্দটাতো তালাকের জবাব হিসেবে নয় বরং কথার কথা বা সচরাচর কাজের নির্দেশনা বা পরিস্থিতি পরিবর্তন বা শান্ত করার উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয়, সেজন্য এই শব্দকে কেনায় তালাকের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...