আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১.আগের প্রশ্নে হইত ভাল করে বুজাতে পারি নাই।আমি একদিন বলসি হাসবেন্ড কে যে ডিভোর্স দিয়া দিও। হাসবেন্ড বলসে তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও। আরও কয়েক দিন বলসি যে  ছাইড়া দেও বা দিও।তখন হাসবেন্ড বলসে তুমি ছাইড়া দেও গা বা তুমার ভাল না লাগলে বা মন চাইলে তুমি ছাইড়া দেও গা বা দিও। আমি সিওর সে কখনো বলে নাই তুমার যখন ইচ্ছা বা যখন মন চাই  তখন দিও। ইমদাদুল হুজুর  বলেছিলেন যে সময় নির্দিষ্ট না থাকলে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে।আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি আমার মাথাই যাই আসে তাই মনে হই যে হইত এভাবে বলসে।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করলে না করে।

ক।এখন আমি কি সাময়িক অধিকার পাইসি।
খ।হাসবেন্ড এর কথা বিশ্বাস করে সংসার করলে কি সমস্যা হবে?যদি সে মিথ্যা বলে থাকে তাইলে তার জন্য সে দায়ি থাকবে।আমি যেহেতু ওয়াস ওয়াসার রোগি আমার ত যা মাথাই আসে মনে হই তাই ঘটছে।

গ।যদি আজিবনের অধিকার পাইয়া থাকি।আমি তালাক বলার আগে হাসবেন্ড ৩ এর অধিক বার যদি অধিকার দেওয়ার মত বলে তাইলে কি আমি ৩ তালাকের অধিকার পাইসি যদি কোন নিয়ত  না করে।
ঘ।আমি অনেক দিন পর এ পেজ থেকে মাসালা দেখতে দেখতে জানতে পারি যে মেয়েরা এভাবে বললে তালাক হই।তখন আমি জানতাম যে আমার কোন অধিকার নাই যেহেতু কাবিন নামাই অধিকার  দেওয়া নাই।তখন আমার ওয়াস ওয়াসা সমস্যা হয়ে গেছে মাথাই সব সময়  তালাক ঘুরত যে তালাক নিয়া ফেল। নিজের উপর তালাক বইলা ফেলসি।তালাক নেওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল  না।আমি তখন প্রেগন্যান্ট ছিলাম আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো  ছিল।এখন মুখেও হয়ত  বলসি।তখন ভাবসি আমার ত অধিকার নাই আমি বল্লেও কিছু হবে না।তালাক নেওয়ার উদ্দেশ্য বলি নাই।সবসময় মাথাই ঘুরত এখন। এখন আমার বলাই কি ৩ তালাক ই হইয়া গেছে?এখন পরজন্ত মাথা থেকে যাই না।মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করতেসি।

ঙ।আমি কি সংসার করতে পারব না আর।??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...