ইজাব কবুলে বাবা-মা এর নাম ভুল সংক্রান্ত একটা বিষয় জানতে চেয়েছিলাম, আজকে একটু এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই্।
১. ইজাব কবুলের সময় বর-কনে উপস্থিত ছিলো। তবে, দুই জন দুই রুমে ছিলেন এবং উকিল দুজনের মাঝে ইজাব কবুল পড়িয়েছেন।এমন অবস্থায় কাজী সাহেব বরের বাবার নামের স্থলে সৎ বাবার নাম ব্যবহার করেছিলেন এমতাবস্থায় তাদের বিয়ে হয়েছে কি?
২. আমার নামের সাথে হাসান মোহাম্মদ, এবং একটি ডাক নাম ও বাবার নামের সাথে হোসেন যুক্ত আছে।(বলেছিলেন আকিকার সময় এইভাবেই নাম রাখা হয়েছিলো)। কিন্তু পরে কাগজ পত্রে নাম ছোট ও সহজ করার জন্য, আমার নামের সাথে "হাসান মোহাম্মদ" ও বাবার নাম থেকে "হোসেন " সরিয়ে সকল কাগজ পত্র তৈর করা হয়, আমরা এখন সেই সংক্ষিপ্ত নামেই অফিসিয়াল কাজ করছি, আমার বিবাহের সময় আমার নাম ও আমার বাবার নামের সেই সংক্ষিপ্ত রুপেই বলা হয়েছে এভাবেই ইজাব কবুল হয়েছে।
(যেমন: হাসান মোহাম্মদ ***** চৌধুরী (ডাকনাম) , পিতা: **** হোসেন চৌধুরী (ডাকনাম) এভাবে পুরো নাম না বলে সোজাসোজি, **** চৌধুরী, পিতা : *****চৌধুরী এভাবে বলা হয়েছে)
এতে কি বিবাহ হয়েছে?
৩. ২ নং ক্ষেত্রে ইজাব কবুলের সময় সে আমার সাথেই ছিলো, উকিল বিবাহ পরিয়েছেন, নাম পরিচয় বলে বলে ইংগিত দেন নাই বা ইশরা দেন নাই,আমার বা তার দিকে।তবে সে আমার আগের পরিচিত। আমাদের বিয়ে কি হয়েছে?
৪. এভাবে নামের উচ্চারণে বা একই মানুষের নামের কিছু অংশ বাদ দিয়ে, বা আসল নামের জায়গায় ডাক নাম দিয়ে কেও যদি বিবাহ পড়ায় তার কি বিবাহ হবে?
৫. কোনো মিলাদ মাহফিলে " ইয়া হাবিবআল্লাহ, মুঝছে মাদীনা পে বুলা" এভাবে বলা হলে, আমি এরা কি উদ্দেশ্যে এটা বলেছে এটা ভাবতে ভাবতে তাদের সাথে সেখানেই উপস্থিত ছিলাম, এবং মিলাদ শেষ করে বসেছি, এর ফলে আমার ইমানে সমস্যা হবে?
৬. কেও যদি চাকুরী বা কাজের কারনে জোহর আসর, ুবং মাগরিব এশা একসাথে পড়া যাবে এমন মত পোষন করে,তবে কি তার ইমানে সমস্যা হবে?
৭.কেও যদি মজা করে কাওকে বলে, " এই ছেলে ডিম থেকে পেকে এসেছে" (মায়ের পেট থেকে বুঝানোর জন্য ডিম থেকে বলেছে)। আল্লাহ কোরআনে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন কথা বলেছেন এটা জেনেও ডিম থেকে এসেছে বলার দরুন কি ইমানে সমস্যা হবে?