আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
890 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
নিম্নোক্ত হাদীসটি  কি গ্রহণযোগ্য?
উক্ত হাদীস সম্পর্কে ফোকাহাকিরামের মতামত কি জানালে উপকৃত হব
وروى يحيى بن أيوب، عن عبيد الله بن حر بهذا الإسناد سخة بن أبي مَزيم، وابن غير إسماعيل بن الفرج الغافقي، حدثنا أحاديث صَالحة رواها عنه وغيرهما. حدثنا إبراهيم أحمد بن عبد الرحمن بن وهب، حدثنا عمي، حدثني يحيى بن أيوب، عن ابن جريج، عن عطاء بن أبي رباح، عن ابن عباس عن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قال المؤنثون أولاد الجن قيل لابن عباس يا أبا الفضل كيف ذلك قال هى الله ورسوله أن يأتي الرجل امرأته وهي حائض فإذا أتاها سبقه الشيطان إليها فحملت منه فاتت بالتونث.

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "হিজড়ারা জ্বীনদের সন্তান"। কোন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, "এটা আব্বাস কেমন (রাঃ) করে কে হতে পারে?" জবাবে তিনি বলেছিলেন "আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে, মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালীন যৌন সংগম না করে" সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব চলাকালে যৌন সঙ্গম করা হলে, সেই সময় শয়তান তার আগে থাকে, অর্থাৎ শয়তান ওই পুরুষের আগে থেকে যৌন সংগম করতে থাকে এবং সেই শয়তান দ্বারা ওই মহিলা গর্ভবতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জ্বীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলামে বলা হয় "খুন্নাস")। (অর্থাৎ, মহিলাটি ওই পুরুষ ও শয়তান এর মাধ্যমে গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে)।
(আল কামেল ৯/৫৮,শরহে বুখারি লি ইবনু বাত্তাল ৯\১৪৩)

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া অালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামী-স্ত্রী কর্তৃক সহবাসের সময়ে শয়তান উপস্থিত হয়ে থাকে।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عن ابن عباس قال ، قال رسول الله : لو أن أحدكم إذا أراد أن يأتي أهله قال اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتني فإن كان بينهما ولد لم يضره الشيطان ولم يسلط عليه
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সাতে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে এবং সে বলে আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদের যে রিযিক দেন তাত্থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং উভয়ের মাধ্যমে যদি কোন সন্তান নির্ধারণ করা হয় তাহলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারে না।সহীহ বোখারী-৭৩৯৬,সহীহ মুসলিম-১৪৩৪,সুনানে আবি দাউদ-২১৬১,ফাতহুল বারী-৯/২২৯)


 হায়েয শয়তানের স্পর্শের কারণে হয়ে থাকে,এ সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
عن حمنة بنت جحش قالت : كنت أستحاض حيضة كثيرة شديدة فأتيت رسول الله  أستفتيه وأخبره فوجدته في بيت أختي زينب بنت جحش فقلت يا رسول الله إني امرأة أستحاض حيضة كثيرة شديدة فما ترى فيها ؟ قد منعتني الصلاة والصوم ؟ فقال : أنعت لك الكرسف فإنه يذهب الدم ، قالت : هو أكثر من ذلك . قال : فاتخذي ثوبا ، فقالت : هو أكثر من ذلك إنما أثج ثجا ، قال رسول الله : سآمرك بأمرين أيهما فعلت أجزأ عنك من الآخر فإن قويت عليهما فأنت أعلم ، قال لها : إنما هذه ركضة من ركضات الشيطان ..فتحيضي ستة أيام أو سبعة أيام في علم الله تعالى ثم اغتسلي
হামনা বিনতু জাহশ রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার অত্যন্ত বেশী ঋতুস্রাব হত। আমি আমার অবস্থা বর্ণনা ও মাসআলাহ জিজ্ঞেস করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে আমার বোন যয়নাব বিনতু জাহশের ঘরে পেলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার অত্যন্ত বেশী রক্তস্রাব হয়। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে (সালাত ইত্যাদি বিষয়ে) কি পরামর্শ দেন? আমার সালাত-(রোযা) সিয়ামও বন্ধ। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে তোমার রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী।তিনি বলেন, কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী। আমার তো রীতিমত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাহলে আমি তোমাকে দু’টি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। তার কোন একটি অনুসরণ করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। উভয়টির উপর যদি ‘আমল করতে পার, তাহলে তা তুমিই ভাল জান। তিনি তাকে বললেনঃ এটা শয়তানের লাথি বা স্পর্শবিশেষ। কাজেই তুমি (প্রতি মাসে) নিজেকে ছয় অথবা সাতদিন ঋতুবতী ধরে নেবে। আর এর প্রকৃত বিষয় সম্পর্কে আল্লাহই ভাল অবগত।(সুনানে আবি-দাউদ-২৮৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে হাদদীসের কথা উল্লেখ করেছেন,সেটা সঠিক।হাদীসটি সনদ হিসেবে দুর্বল।এটা ইবনে আব্বাস রাযির এর আছার বা মতামত।সাহাবির কোনো কথা বা মতামত যদি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উর্ধে হয়ে থাকে,তাহলে সেটাকে হুকমান হাদীসে মারফু বলা হয়।
এই হাদীস বা আছার সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের কোনো আলোচনা খুজে পাইনি।হিজড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-6414


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 464 views
...