আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
দয়া করে পয়েন্ট অনুযায়ী উত্তর দিলে খুশি হুজুর
আসসালামু আলাইকুম হুজুর

১.আমি যখন বলছি ডিভোর্স দিয়া দিও বা ছাইড়া দিও তখন যদি হাসবেন্ড বলে তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও তুমার ভাল না লাগলে বা মন চাইলে তুমি ছাইড়া দিও । (এতে বুজা  যাই যখন ইচ্ছা বা যখন মন চাবে)। কিন্তু এটা সরাসরি বলে  নাই এরকম  টা বুজা যাই  তাই বললাম ।আপনি বলেছিলেন যে   সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে? যেহেতু সময় নির্দিষ্ট না।ওলি উল্লাহ হুুজুর বলেছেন মজলিস ছাড়া ও অধিকার দেওয়া বুজাবে।আমি এখন কোন টা অনুসরণ করব। পরে বলার কারনে কি তালাক হবে। আমি কি সংসার করতে পারব না।
ক।আর যদি বলে অই সময় এর জন্য রাগ কইরা বলসে। তাইলেও কি অই মজলিশ পরজন্ত অধিকার দেওয়া বুজাবে?
২.আমি হাসবেন্ড কে মেসেজে  একদিন বলেছিলাম মুক্তি দেও।আমি তখন কেনায়া তালাক সম্পর্কে  জানতাম না।আমি হাসবেন্ড  কে ভয় দেখানো  বা অইটা বললে হাসবেন্ড  কি বলে তা জানার  জন্য  বলেছিলাম বা ভবিষ্যতে ডিভোর্স দিয়া দেয় এমন টা বুজাইছিলাম।আমি তখন বুজতাম না  কাগজ  কলম ছাড়া মুখে  ডিভোর্স  দিয়া  যায় জানতাম না।হাসবেন্ড  ভাবসে আমি এম্নেই রাগ কইরা বলসি একটু পর ঠিক সব হইয়া যাবে।তখন হাসবেন্ড তালাকের কোন নিয়ত  ছাড়া  বলেছিল মুক্তি দিলাম। ওলি উল্লাহ হুজুর বলেছিলেন  এতে তালাক হবে না যেহেতু নিয়ত ছিল না। আমার ওয়াস ওয়াসার সমস্যা আছ।। সন্দেহ  হই খালি।আপনি যদি বলতেন এতে তালাক হবে কিনা?

৩.আমি হাসবেন্ড  কে অনেক বার তার নিয়ত  সম্পর্কে  জিজ্ঞেস করসি।তারে অনেক বিরক্ত করসি তার কথা আমার  বিশ্বাস হত না শয়তানের ওয়াস ওয়াসায়।

আমি তারে জিজ্ঞেস করসি তুমি কি এই কথা দারা বুজাইছো যে আমি আমার বউ কে তালাক দিলাম বা একবারে ছাইড়া  দিলাম।এখন সে যদি আমার মেসেজ অইটুকু পরার সময়  তার মনে তালাক বা ছাড়ার চিন্তা চলে আসে এবং  মেসেজে উত্তর দেয় যে আমি কখনো তালাক দিলাম বা ছাইড়া  দিলাম বলি নাই।এইটা লেখার সময়  ও যদি তালাক বা ছাড়ার চিন্তা  আসে। কিন্তু  বাস্তবে ত সে তা বলে নাই কখনো। শুধু আমার মেসেজ  পরার সময় বা মেসেজে উত্তর দেওয়ার সময়  অই ধরনের  চিন্তার জন্য  কি তালাক হবে?.আগে সত্যি সত্যি সে কখনো অইগুলা বলে নাই।

৪.হাসবেন্ড  ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম  বলেছিল কিনা তা মনে করার জন্য বউ  যদি নিজেকে হাসবেন্ড মনে করে মানে হাসবেন্ড  এর হয়ে নিজে নিজেকে বলে ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম তাইলে কি এতে তালাক হয়ে যাই।হাসবেন্ড  বলে নাই

৫.কিছু বিষয় আছে যার সমাধান  ওলি উল্লাহ হুজুর দিছেন যে তালাক হই নাই।যেমন....থাকব না ;যাব গা সংসার করব না;তুমার সাথে সম্পর্ক  নাইব...বউ এগুলা বলাই হাসবেন্ড  তালাকের নিয়ত  ছাড়া  বলসে জাও গা, না থাকলা,বাড়িতে এসে যেন তুমাকে না দেখি,আমার  সন্তান দিয়া যেখানে খুশি  জাও।এখন সব বিষয়  কি আবার বইলা মাসালা নেওয়ার দরকার আছে।নাকি অই হুজুরের মাসালা  অনুযায়ী  সংসার করতে পারব?

৬.অনেক বিষয়  আছে আমার খালি মনে হই হাসবেন্ড  হইত বলসে কিন্তু  আমি সিওর  না।আমি বলসি ছাইড়া দেও..তখন কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতাম না।বা এখনি তালাক দিক এমন টা বুজাই  নাই।ভবিষ্যতে জানি ডিভোর্স দিয়া দেয় এমন টা বুজাইছি।।তখন যদি হাসবেন্ড  বলে যাও গা।বলছে নাকি তাও সিওর না।তালাক বা ছাড়ার  কোন নিয়ত  না করে।ওলি উল্লাহ হুজুর  বলেছিলেন তালাক হবে না?  হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করলে বলে তুমি ছাড়ার কথা যখন বলস তখন আমি কিছুই  বলি নাই বা কিছু  বলসি নাকি মনে নাই

৭.এখন  আমাকে সমাধান  দিন হুজুর। মাসালায় এরকম দিমত আসলে আমার করনিয় কি। আমি কি সংসার করতে পারব। আমি চিন্তায় পাগল হইয়া গেসি।অনেক কিছু না বুজার কারনে না জানার কারনে শয়তানের ওয়াস ওয়াসার কারনে ভালো  একটা সম্পর্ক নিয়া সন্দেহ তে পরে গেসি হুজুর। আমার কি আরও কোন হুজুর  থেকে মাসালা  নেওয়ার দরকার আছে? যা না ঘটছে এমন অনেক প্রশ্ন মাথায় আসে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আমি যখন বলছি ডিভোর্স দিয়া দিও বা ছাইড়া দিও, তখন যদি হাসবেন্ড বলে 'তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও' তোমার ভাল না লাগলে বা মন চাইলে তুমি ছাইড়া দিও' । (এতে বুজা যাই যখন ইচ্ছা বা যখন মন চাবে)। কিন্তু এটা সরাসরি বলে নাই, এরকমটা বুজা যায়।

এখানে উভয়টারই সম্ভাবনা রয়েছে, হয়তো অর্থ এটা হবে যে, এই মজলিসের মধ্যে মন চাইলে বা ভালো না লাগলে তুমি ছাইড়া দিও, আবার অর্থ এটাও হতে পারে যে, যখনই তোমার ইচ্ছা হবে,তখনই তুমি ছাইড়া দিতে পারবে"

যেহেতু এখানে উভয় সম্ভাবনা রয়েছে, তাই স্বামীকেই জিজ্ঞাসা করবেন, তার একথার উদ্দেশ্য কি? সে কি সাময়িক অধিকার দিয়েছিলো না স্থায়ী অধিকার দিয়েছিলো।

(ক) যদি বলে অই সময় এর জন্য রাগ কইরা বলসে। তাইলেও মজলিশ পর্যন্ত অধিকার সীমাবদ্ধ থাকবে।

(২)
"আমি হাসবেন্ড কে মেসেজে একদিন বলেছিলাম মুক্তি দেও। আমি তখন কেনায়া তালাক সম্পর্কে  জানতাম না। আমি হাসবেন্ডকে ভয় দেখানো বা অইটা বললে হাসবেন্ড কি বলে, তা জানার  জন্য বলেছিলাম বা ভবিষ্যতে ডিভোর্স দিয়া দেয় এমন টা বুজাইছিলাম।আমি তখন বুজতাম না  কাগজ  কলম ছাড়া মুখে  ডিভোর্স দেয়া যায় জানতাম না। হাসবেন্ড ভাবসে আমি এম্নেই রাগ কইরা বলসি একটু পর ঠিক সব হইয়া যাবে। তখন হাসবেন্ড তালাকের কোন নিয়ত ছাড়া  বলেছিল মুক্তি দিলাম। "

এতে তালাক হবে না।

(৩)
আমি হাসবেন্ডকে অনেক বার তার নিয়ত সম্পর্কে  জিজ্ঞেস করসি। তারে অনেক বিরক্ত করসি তার কথা আমার  বিশ্বাস হত না শয়তানের ওয়াস ওয়াসায়।
আমি তারে জিজ্ঞেস করসি তুমি কি এই কথা দারা বুজাইছো যে, আমি আমার বউ কে তালাক দিলাম বা একবারে ছাইড়া দিলাম।এখন সে যদি আমার মেসেজ অইটুকু পরার সময় তার মনে তালাক বা ছাড়ার চিন্তা চলে আসে এবং মেসেজে উত্তর দেয় যে, আমি কখনো তালাক দিলাম বা ছাইড়া দিলাম বলি নাই। এইটা লেখার সময়ও যদি তালাক বা ছাড়ার চিন্তা আসে। কিন্তু বাস্তবে ত সে তা বলে নাই কখনো। 

শুধু আপনার মেসেজ  পড়ার সময় বা মেসেজে উত্তর দেওয়ার সময় অই ধরনের চিন্তার জন্য তালাক হবে না।

(৪)
হাসবেন্ড ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম বলেছিল কি না? তা মনে করার জন্য বউ যদি নিজেকে হাসবেন্ড মনে করে মানে হাসবেন্ড এর হয়ে নিজে নিজেকে বলে ছাইড়া দিলাম, তালাক দিলাম।
তাহলে এতেকরে তালাক হবে না।

(৫)
থাকব না ;যাব গা সংসার করব না;তুমার সাথে সম্পর্ক  নাইব...বউ এগুলা বলাই হাসবেন্ড  তালাকের নিয়ত  ছাড়া  বলসে জাও গা, না থাকলা,বাড়িতে এসে যেন তুমাকে না দেখি,আমার  সন্তান দিয়া যেখানে খুশি  জাও।এখন সব বিষয় আবার বইলা মাসালা নেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। 

বরং আপনার উল্লেখিত মুফতি সাহেবের পরামর্শ অনুযায়ী সংসার করতে পারবেন।

(৬)
আমি বলসি ছাইড়া দেও..তখন যদি হাসবেন্ড  বলে যাও গা।বলছে নাকি তাও সিওর না।

এতে করে তালাক হবে না।

(৭)
আপনার একটাই সমাধান। আপনি অযথা টেনশনকে দূর করবেন।কোনো প্রকার টেনশন করবেন না।
আপনার সংসারে কোনো সমস্যা হয়নি।আপনি নিশ্চিন্তে সংসার করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...