(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, ফজর নামাজের ভিতর যদি সালাম ফিরানোর পূর্বে সূর্য উদিত হয়,তাহলে সেই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে সেটির কাজা আবশ্যক হবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৩১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
উকবা বিন আমের জুহানী রাযি. বলেন,
ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ
তিনটি সময়ে রাসুল ﷺ আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)
قولہ: بخلاف الفجر أي فإنہ لا یؤدي فجر یومہ وقت الطلوع لأن وقت الفجر کلہا کامل فوجبت کاملۃ فتبطل بطرو الطلوع الذي ہو وقت الفساد۔ (شامي ۱؍۳۷۳ کراچی، شامي، کتاب الصلاۃ ۲؍۳۳ زکریا، البحر الرائق ۱؍۲۵۱، بدائع الصنائع ۱؍۳۲۷ کراچی)
সারমর্মঃ-
ফজর এর (আসরের) বিপরীত,কেননা সেদিনের ফজর সূর্য উদিত হওয়ার সময় আদায় করা যায়না। কেননা ফজরের ওয়াক্ত পুরাটাই কামিল,তাই পূর্ণাঙ্গ ভাবেই সেটি আদায় আবশ্যক। সুতরাং নামাযের মাঝে সূর্য উদিত হওয়ার দ্বারা নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ফজরের নামাজ আদায় হয়নি,বাতিল হয়ে গিয়েছে।
পরবর্তীতে উক্ত নামাজের কাজা আপনার উপর আবশ্যক।
তিনি মসজিদ নির্মান করে দিতে পারেন বা মসজিদ নির্মান কাজে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করতে পারেন।
প্রিয়নবী (স.) বলেছেন,
مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ ، بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِى الْجَنَّةِ.
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।’ (বুখারি: ৪৫০)