আসসালামু আলাইকুম।
শাইখ আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, আমার বয়স ২২, আমি আমার পরিবারের ছোট মেয়ে, ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ হয়েছি বাবা ছোট বেলায় মারা গেছেন, অনেক পরিশ্রম করেছি আল্লাহ অবশেষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স দিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন হওয়ার পর আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন পুরো জীবন্টাই বদলে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে হেদায়েতের পর নিজেকে পুরো পরিবর্তন করে ফেলি কোন ছেলে ফ্রেন্ডকেই আমি আর আমার জীবনে রাখিনি, আলহামদুলিল্লাহ ক্লাসের ছেলেদের সাথে আমি প্রয়োজনে ও কথা বলি না, স্যারদের দিকে ও ক্লাসে না তাকানোর ট্রাই করি, আমি আমার সাধ্যমতো দ্বীনের যতো ব্যাপার আমাকে জানিয়েছেন সব কিছু মানাএ চেস্টা করতাম আলহামদুলিল্লাহ, তারপর এই ফিতনাময় পরিবেশে বিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই বিয়ের জন্য ওয়েবসাইট গুলোতে বায়ো দিলাম, আমার পরিবার এই দায়িত্ব আমার উপরই ছেড়ে দিয়েছেন উনারা চান আমি নিজে কাওকে পছন্দ করি তারপর সব ঠিক মনে হলে উনারা জাস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা টা করে দিবেন উনারা সিদ্ধান্ত নিবেন না অবশ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া বা আমার জন্য পাত্র খোঁজা এই কাজ গুলো করার মতোন কোন অভিভাবক ও আমার নেই। যাই হোক ওয়েবসাইটে বায়ো দিলাম ২০২০এর শেষের দিকে, আমার সাথে অনেকে যোগাযোগ করেছে, আমি নিজেও অনেক অনেক অনেক বেশি বায়োডাটার সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু রিজেক্ট হয়েছি গায়ের রঙ সাদা না বলে, তারপর এবার অনেক বেশি ছাড় দিয়ে দেখা শুরু করলাম, স্টুডেন্ট কে বিয়ে করতে আমার কোন আপত্তি নেই, জব না থাকুক দ্বীন থাকলেই হবে এভাবে ও দেখেছি কিন্তু এতো এতো মানুষের সাথে যোগাযোগ হয়েছে অনেকের সাথে কথা অনেক দূর এগিয়েছে কিন্তু শেষ মেষ কোন না কোন কারণে হয়নি, আমি অনেকের ব্যাপারে অনেক বেশি আবেগ প্রবণ ও হয়ে গিয়েছিলাম আমি প্রত্যেক বারই পাজর ভাংগা কষ্ট পেয়েছি, যখনি কেও রিজেক্ট করেছে জায়নামাযে অজোরে কেদেছি, এভাবে ২/৩ বছর চলে যাওয়ার পর এখন আমি আর এগুলো নিতে পারতেছি না, আমি এখন আশাই হারিয়ে ফেলেছি, গত মাসে লাস্ট একজনের সাথে যোগাযোগ করেছি উনি গ্রেজুয়েশন শেষ করেছে মাত্র জব নাই তাও আমি তার সাথে যোগাযোগ করেছি সেও আমার বায়ো পছন্দ করেছে কথা কিছুদুর এগিয়েছে পরে ইস্তেখারা যেইদিন করলাম তারপরের দিনই না হয়ে গেসে, আমার সাথে একজন যোগাযোগ করেছে গত ২সপ্তাহ আগে ছবি দিতে বল্ল দিলাম, তারপর বলে এভাবে না ওভাবে ছবি দেন সেজে না, না সেজে দেন, বাকা না সোজা, এসব শুনে আমার আত্নমর্জাদায় লাগতেছিলো তাই আমি ই না করে দিসি একদম আশাহত হয়ে গেসি আমি, আমি মানসিক ভাবে খুব একা ফিল করি, আমার মা আমার পরিবারের বাকিরা আমার বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তা করে আমি যদি বলি আমি বিয়ে করে ফেলছি এটাই তাদের কাছে সবচেয়ে খুশির সংবাদ, কিন্তু এতো চেস্টা করে ও এতো ছাড় দিয়ে ও যখন আমি প্রত্যেকবার এতো কষ্ট পেয়েছি এখনো পাচ্ছি এখন আমার ঈমান আমল একেবারেই নাই পর্যায়ে হয়ে গেসে, আমার নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে না, একদমি ইচ্ছে করে না, অন্তরে কোন নুর অনুভব করি না, সালাত আমাকে প্রশান্তি দিচ্ছে না সালাতে কোন ফিলিংস পাচ্ছি না, শয়তান আমাকে আগের জীবনে ফিরে যেতে ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে, আমার আশা ছেড়ে দিয়েছি আমার জন্য কোন ভালো মানুষ আল্লাহ রেখেছেন এটা আর ভাবতে পারছি না, আমার বড় বোনের ২৯বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিলো তাও ভালো মানুষের সাথে হয়েছে এমনটা বলতে পারছি না কিন্তু আমার বোন ও অনেক কষ্ট করেছে জীবনে দ্বীনের বুজ নাই যদিও, আমার ও খুব ভয় হয়।
আমার ঈমান নিয়ে আমি পেরেশানি তে ভুগছি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ টা মারাত্নক রকমের ফেতনায় ভরপুর শাইখ নিশ্চয়ই আপনি জেনে থাকবেন, আর আমি আমার পরিবার থেকে দূরে একাকিত্ব মানসির যন্ত্রণায় আমি পড়াশোনা করতে পারি না, আমার নামাজ, আমল আখলাক সব শেষ হয়ে যাচ্ছে আমি অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছি, আর শুধু অভিযোগ চলে আসতেছে কেনো রব আমাকে দিচ্ছেন না এরকম
আমার এখন কি করা উচিত শাইখ কিভাবে নিজের ঈমান আমল টিকিয়ে রাখতে পারি