আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আমাকে একজন তার ১২০০০টাকা এক জায়গায় জমা করতে বলে কারণ আমার জন্য তিনি একটা জিনিস কিনেছেন।আমিও সেই কাজ করি এবং তিনি আমাকে আসা যাওয়ার ভাড়া বাবদ ১০০০ টাকা দেন। পরে আমি জানতে পারি যে এটা ছিল ঘুষের অংশ।মানে যার মাধ্যমে কিনেছেন তাকে কিছু ঘুষ দেয়া লাগছে। তা জেনে আমি আমার কাছে যে ১০০০ টাকা ছিল তা্র অবষিষ্ট ২৫০ টাকা আর খরচ করি নাই কারণ আমার মনে হচ্ছিল তা হারাম টাকা। প্রশ্ন ১-আমাকে ভাড়ার জন্য দেয়া টাকা কি হারম হবে?

প্রশ্ন ২- পরবর্তি আমি একদিন দোকানে একটা সিম ক্রয় করি কিন্তু ভাংতি ছিল না বলে সেই ২৫০ টাকা ব্যবহার করি এই নিয়তে যে পরে ভংতি হলে এই টাকা আলাদা করে ফেলবো আবার।।যদিও অন্য দোকান থেকে ভাংতি পেতাম হয়তো। তবে পরে টাকা ভাংতি করে ২৫০ টাকা আলাদা করে রাখি। এখন এভাবে ওই টাকা ব্যবহার করা কি জায়েজ হয়েছে? এবং সিম টি কি আমি ঘুষের  টাকায় কিনেছি বলে ধরা হবে, সিমটি কি আমি ব্যবহার করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


কুরআনুল কারীমের আয়াত-

لا تاكلوا اموالكم بينكم بالباطل

 এর ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেছেন, أن يأكله بغير عوض (শর্তযুক্ত আকদে) বিনিময়হীন উপার্জনই হল বাতিল পন্থার উপার্জন। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১৭২)

হযরত হাসান বসরীসহ অন্যান্য অনেক তাফসীরবিদও আয়াতটির একই ধরনের তাফসীর করেছেন (দ্রষ্টব্য: রূহুল মাআনী ২/৭০, ৫/১৫; তাফসীরুল মানার ৫/৪০)
.

شعب الإيمان (2/ 434):
" عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْأَنْصَارِيِّ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْكَسْبِ أَطْيَبُ؟ قَالَ: " عَمَلُ الرَّجُلِ بِيَدِهِ، وَكُلُّ بَيْعٍ مَبْرُورٍ ".
সায়ীদ বিন উমায়ের আনছারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন- ‘কোন প্রকারের জীবিকা উত্তম?’ উত্তরে তিনি বললেন— নিজ হাতের কামাই এবং সৎ ব্যবসায়।
(মিশকাত ২৭৮৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ থেকে যাহা বুঝা যাচ্ছে,সেটা হলোঃ-
আপনাকে একজন এক জায়গায় তার ১২০০০ টাকা জমা করতে বলেছে,আর আপনাকে ভাড়া বাবদ ১০০০ টাকা দিয়েছে।

তার মানে বুঝা যাচ্ছে যে এটি আপনার যাতায়াত ভাড়া ও পারিশ্রমিক উভয়টিই।
তিনি আপনাকে উক্ত টাকার বিনিময়ে কাজ করে নিয়েছে।

সুতরাং এটি ঘুষ নয়।
এ টাকা নেয়া আপনার জন্য জায়েজ।

হ্যাঁ যদি যাতায়াত বাবদ টাকা হতে যাতায়াতের পর টাকা বেঁচে যায়,আর সেই ব্যাক্তি যদি বেঁচে যাওয়া টাকা চায়,সেক্ষেত্রে তাকে বাকি টাকা দিতে হবে। 

(০২)
সিম টি আপনি ঘুষের টাকায় কিনেছেন বলে ধরা হবেনা, সিমটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...