জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কুরআনুল কারীমের আয়াত-
لا تاكلوا اموالكم بينكم بالباطل
এর ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেছেন, أن يأكله بغير عوض (শর্তযুক্ত আকদে) বিনিময়হীন উপার্জনই হল বাতিল পন্থার উপার্জন। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১৭২)
হযরত হাসান বসরীসহ অন্যান্য অনেক তাফসীরবিদও আয়াতটির একই ধরনের তাফসীর করেছেন (দ্রষ্টব্য: রূহুল মাআনী ২/৭০, ৫/১৫; তাফসীরুল মানার ৫/৪০)
.
شعب الإيمان (2/ 434):
" عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْأَنْصَارِيِّ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْكَسْبِ أَطْيَبُ؟ قَالَ: " عَمَلُ الرَّجُلِ بِيَدِهِ، وَكُلُّ بَيْعٍ مَبْرُورٍ ".
সায়ীদ বিন উমায়ের আনছারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন- ‘কোন প্রকারের জীবিকা উত্তম?’ উত্তরে তিনি বললেন— নিজ হাতের কামাই এবং সৎ ব্যবসায়।
(মিশকাত ২৭৮৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ থেকে যাহা বুঝা যাচ্ছে,সেটা হলোঃ-
আপনাকে একজন এক জায়গায় তার ১২০০০ টাকা জমা করতে বলেছে,আর আপনাকে ভাড়া বাবদ ১০০০ টাকা দিয়েছে।
তার মানে বুঝা যাচ্ছে যে এটি আপনার যাতায়াত ভাড়া ও পারিশ্রমিক উভয়টিই।
তিনি আপনাকে উক্ত টাকার বিনিময়ে কাজ করে নিয়েছে।
সুতরাং এটি ঘুষ নয়।
এ টাকা নেয়া আপনার জন্য জায়েজ।
হ্যাঁ যদি যাতায়াত বাবদ টাকা হতে যাতায়াতের পর টাকা বেঁচে যায়,আর সেই ব্যাক্তি যদি বেঁচে যাওয়া টাকা চায়,সেক্ষেত্রে তাকে বাকি টাকা দিতে হবে।
(০২)
সিম টি আপনি ঘুষের টাকায় কিনেছেন বলে ধরা হবেনা, সিমটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।