আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
808 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম

উস্তাদ গ্রামে দেখা যায় কেউ রাতে আঙ্গুল ফুটালে বা জায়নামাজে বসে আঙ্গুল ফুটালে মুরব্বিরা নিষেধ করেন।বলেন এরকম করা নাকি নিষেধ। আমি জানতে চাচ্ছি এটার কি কোনো সত্যতা আছে নাকি শোনা কথা শুধু???

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

যেহেতু শরিয়তের বিধানে অর্থাৎ কুরআন এবং হাদিসে  রাতে আঙ্গুল ফোটানো যাবে না এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই৷ 
এতে কোনো কুলক্ষন নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছে  

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ " . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ .

মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও হামাহ- এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব বলল, হে আল্লাহর রসূল! বর্ণনাকার ইউনুস (রহঃ) কর্তৃক রিওয়ায়াতকৃত হাদীসের অবিকল। (মুসলিম শরীফ ৫৬৮২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯৫)

কিছু কুসংস্কার সম্পর্কে জানুনঃ


তবে শরীয়তের বিধান হলো নামাজ অবস্থায় আঙুল ফোটানো মাকরুহে তাহরিমি । আর নামাজের বাইরে মসজিদে অযথা আঙুল ফোটানো মাকরুহে তানযিহি । (আল বাহরুর রায়েক : ২/৩৬, রদ্দুল মুহতার : ২/৪৯৩)

হাদীস শরীফে এসেছে   
ما رواه ابن ماجه مرفوعاً: «لاتفرقع أصابعك وأنت تصلي»."
রাসুল সাঃ নামাজরত অবস্থায় আঙ্গুল ফোটানো নিষেধ করেছেন।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে     
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 642):
"(قوله: وفرقعة الأصابع) هو غمزها أو مدها حتى تصوت، وتشبيكها هو أن يدخل أصابع إحدى يديه بين أصابع الأخرى، بحر. (قوله: للنهي) هو ما رواه ابن ماجه مرفوعاً: «لاتفرقع أصابعك وأنت تصلي»." وروى في المجتبى حديثاً: «أنه نهى أن يفرقع الرجل أصابعه وهو جالس في المسجد ينتظر الصلاة». وفي رواية: «وهو يمشي إليها». وروى أحمد وأبو داود وغيرهما مرفوعاً: «إذا توضأ أحدكم فأحسن وضوءهو ثم خرج عامداً إلى المسجد فلا يشبك بين يديه فإنه في صلاة»." ونقل في المعراج الإجماع على كراهة الفرقعة والتشبيك في الصلاة. وينبغي أن تكون تحريميةً للنهي المذكور، حلية وبحر، (قوله: ولا يكره خارجها لحاجة) المراد بخارجها ما ليس من توابعها؛ لأن السعي إليها والجلوس في المسجد لأجلها في حكمها كما مر؛ لحديث الصحيحين: «لا يزال أحدكم في صلاة ما دامت الصلاة تحبسه»." وأراد بالحاجة نحو إراحة الأصابع، فلو لدون حاجة بل على سبيل العبث كره تنزيهاً، والكراهة في الفرقعة خارجها منصوص عليها، وأما التشبيك فقال في الحلية: لم أقف لمشايخنا فيه على شيء، والظاهر أنه لو لغير عبث بل لغرض صحيح، ولو لإراحة الأصابع لا يكره، فقد صح عنه صلى الله عليه وسلم أنه قال: «المؤمن كالبنيان يشد بعضه بعضاً وشبك أصابعه»؛ فإنه لإفادة تمثيل المعنى، وهو التعاضد والتناصر بهذه الصورة الحسية"
যার সারমর্ম হলো নামাজ রত অবস্থায় মাকরুহ,মসজিদে নামাজ ছাড়াও অন্য সময়ে এটি করা অনুচিত।
,
তবে বাহিরে আঙ্গুল ফোটানো নিষেধ নয়।
,
এই দিক গুলো লক্ষ করেই মুরব্বিরা জায়নামাজে বসে আঙ্গুল ফোটানো নিষেধ করেছেন।
ইহা কুসংস্কার নয়,বরং এই বিধান মানতে হবে।
এটা শরীয়তেরই একটি বিধান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...