জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সরকারের ইসলাম বিরোধী কোনো আইন মানা জায়েজ নেই।
,
ইসলাম বিরোধী না হলে তার যেকোনো হুকুম মানা ওয়াজিব।
তার শরীয়াহ বিরোধী কোনো আইন মানা যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى المَرْءِ المُسْلِمِ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ، مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ، فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ»
হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলিম আমীরের কথা পছন্দ হোক বা না হোক তার কথা শোনা ও মানা উচিত যতক্ষণ না সে গোনাহের আদেশ করে। যদি সে গোনাহের আদেশ করে, তাহলে তার কথা শোনা ও মানা যাবে না। [বুখারী, হাদীস নং-৭১৪৪]
হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেউ যদি ঘুষ দিয়ে সেখানে বেশি উচু ৭/৮ তলাবিশিষ্ট বিল্ডিং করার পারমিশন পাশ করে নেয়,তাহলে সেটি জায়েজ হবেনা।
এখানে সরকারি আইন না মানা ও ঘুষ প্রদানের গুনাহ হবে।
তবে সেই বিল্ডিংয়ে থাকা,তাহা বিক্রয় সবই জায়েজ।
তাই এরপর সেই বিল্ডিং এর কোনো ফ্লাট যদি অন্য কেউ ক্রয় করতে চায়,সেক্ষেত্রে সেটা ক্রয় করা এবং সেখানে থাকা জায়েজ হবে।