ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।(সূরা লুকমান-১৪/১৫)
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার সাথে সর্বদা উত্তম আচরণ করতে হবে। কখনো তাদের সাথে রাগ করা যাবে না। আপনি মাতাপাতার কাছে ক্ষমা চাইবেন।তবে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। যেহেতু আপনি সহশিক্ষা বিষয় নিয়ে তর্ক করতে যেয়ে বলেছেন, তাই আপনার গোনাহও হবে না।
মাগরিবে সফরে যেতে না করার ক্ষেত্রে মাতাপিতা যদি যাওয়ার জন্য বলে, তাহলে এক্ষেত্রে জেদ ধরাতে কোনো গোনাহ হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি মাতাপিতার কাছে ক্ষমা চাইবেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।তবে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)আপনি মাফ চাওয়ার পর যদি তারা মাফ না করেন, তাহলে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই ক্ষমা চাইবেন।
(৩)যখনই মনে রাগ চলে আসবে, আপনি আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শাইতানির রাজিম পড়ে নিবেন।দাড়ানো থাকলে বসে যাবেন।
(৪) আল্লাহর অবাধ্যতায় মাতাপিতার বিধিনিষেধকে মান্য করা যাবে না। সুতরাং গায়রে মাহরাম কারো সামনে মুখ খুলার আদেশ দিলে তখন সেই আদেশকে মান্য করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।
(৫)জ্বী, আপনার আম্মুর গোনাহ হবে।আল্লাহ উনাকে তাওবাহর তাওফিক দান করুক।আমীন।
জ্বী , নামাযের সময়কে যত্নসহকারে মূল্যায়ন করার নিমিত্তে সফরের সিডিউলকে ঠিক করার জন্য আপনি জেদ ধরতে পারবেন।এখানে মাতাপিতার আদেশ নিষেধকে মান্য করা ওয়াজিব নয়।কেননা আল্লাহর বিধানের উল্টো কারো কথাকে মান্য করা যাবে না।