বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েয পূর্ণ তিন দিন হওয়ার পর প্রায় ১৬ ঘন্টা বন্ধ থেকে আবার শুরু হয়। এখন এই ১৬ ঘন্টা সময়ের মধ্যে যে ৩/৪ ওয়াক্ত সালাত ছিল তা আদায় করতে হবে না।কেননা রক্তস্রাব বন্ধ থাকলেও সেই সময়কে হায়েয হাসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে।
وَالطُّهْرُ إذَا تَخَلَّلَ بَیْنَ الدَّمَیْنِ فِي مُدَّةِ الْحَیْضِ فَهُوَ کَالدَّمِ الْمُتَوَالِی قَالَ: وَهَذِهِ إحْدَی الرِّوَایَاتِ عَنْ أَبِی حَنِیفَةَ رَحِمَهُ اﷲُ وَوَجْهُهُ أَنَّ اسْتِیعَابَ الدَّمِ مُدَّةَ الْحَیْضِ لَیْسَ بِشَرْطٍ بِالْإِجْمَاعِ فَیُعْتَبَرُ أَوَّلُهُ وَآخِرُهُ کَالنِّصَابِ فِي بَابِ الزَّکَاةِ.
مرغیناني، الهدایة شرح البدایة، 1: 32، بیروت: المکتبة الاسلامیة
(২)
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক)সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
(খ)যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/50
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি মা'যুর না হন, তাহলে যখন স্রাব বের হওয়ার সন্দেহ হলেই কেবল আপনি টিস্যু দ্বারা চেক করবেন।