আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম। উস্তায, একটু সাহায্যের দরকার। এক আপু বেশ বিপদে পড়ে আমার কাছে একটা সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু এটা করা ঠিক হবে কি না বুঝতে পারছি না। তিনি ডিভোর্সি এবং তার একটা সন্তান আছে। এই সন্তানের কাস্টাডি নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরে কোর্টে মামলা চলছে। কিছুদিন আগে সেই আপুর বিয়ে হয়েছে। এখন আগের পক্ষের বাবা তার বিয়ের বিষয়টা জানতে পারলে, কোর্টে পুরো ব্যাপারটা নেগেটিভলি উপস্থাপন করে ছেলের কাস্টাডি নিয়ে নিবেন। এজন্যে উনি উনার ম্যারেজ সার্টিফিকেটটি তোলেননি। এখন উনি যেখানে কর্মরত আছেন, সেখানে তার ম্যারেজ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। উনি আমাকে রিকুয়েস্ট করছেন যেন, আমি সার্টিফিকেটটা বানিয়ে দিই। এখন আমার মনে হচ্ছে, পুরো কাজটা হয়তো জালিয়াতি গোছের হয়ে যাচ্ছে, তাই করতে ভয় পাচ্ছি আর উনার কথার সত্যতা যাচাই করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি এমনভাবে সাহায্য চাচ্ছেন যে আমি না করতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী? আল্লাহকে ভয় করে না করে দিবো নাকি উনার অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে কাজটা করে দিবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ
যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাস্তব জরুরত হলে মূল বিধান থেকে সরে আসা যায়, তবে এখানে বাস্তব জরুরত বোধগম্য হচ্ছে না। বিবাহের কাবিন বা ম্যারেজ সার্টিফিকেটের খবর প্রথম স্বামী পাবে কিভাবে। যেকোনো একজন কাজীর কাছে কাবিননামা করা যায়। কাজী সাহেবকে বিষয়টা বললে তিনিও অবশ্যই বিষয়টাকে গোপন রাখবেন। সুতরাং ঐ বোনকে বলেন, তিনি যেন, কাজী সাহেবের মাধ্যমেই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...