আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
মসজিদের পেশ ইমাম স্থানীয় মহিলাদেরকে কুরআন শিক্ষা দেন। স্থানীয় মহিলাদের মাঝে অনেকেই অবিবাহিত আবার বিবাহিত রয়েছেন। একটি বাড়িতে উক্ত ইমাম এই কুরআন শিক্ষার ক্লাস নেন।
এই ব্যপারের কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানালে ভাল হয়।
অর্থাৎ মসজিদের পেশ ইমাম স্থানীয় মহিলাদেরকে কুরআন শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে হাদিস ও কুরআন এর আলোকে মতামত কি?

জাঝাকাল্লাহ খইরন.!

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো বালেগাহ মহিলাদের জন্য বালেগ পুরুষ শিক্ষকের কাছে কুরআন শিক্ষা করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

আল্লামা সালেহ আল ফাউযান রহ বলেন:

لا ينبغي أن يدرّس الرجل النساء خصوصاً في القرآن؛ لأن المرأة سترتل القرآن وسترخم صوتها فيه وتتغنى به كما قال النبي صلى الله عليه وسلم :
( من لم يتغنّ بالقرآن فليس منا ) وهي أمام رجلٍ أجنبي؛ لأن هذا محلّ فتنة، والله سبحانه وتعالى قال:
{ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ }

“পুরুষের জন্য মহিলাদেরকে বিশেষত: কুরআন পড়ানো উচিৎ নয়। কারণ মহিলাটি পর পুরুষের সামনে তারতীল তথা ধীর-স্থীরভাবে সুন্দর কণ্ঠে তিলাওয়াত করবে, সুর করবে যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

مَنْ لَمْ يَتَغَنَّ بِالقُرْآنِ فَلَيْسَ مِنَّا

‘যে ব্যক্তি সুন্দর কণ্ঠে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।’ (অর্থাৎ আমাদের ত্বরীকা ও নীতি-আদর্শ বহির্ভূত।) [আবূ দাউদ, উত্তম সূত্রে-রিয়াদুস সালেহিন/১০১৪] আর এটাই হল, ফেতনার স্থান। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন:

إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ

“যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কু বাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে।” (সূরা আহযাব: ৩২)”

আরো জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেবের জন্য এভাবে বালেগাহ মহিলাদের কুরআন শিক্ষার ক্লাস নেয়া জায়েজ হবেনা।
কবিরা গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...