বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/52954/
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
১. কাপড় প্রবাহিত পানিতে মানে ট্যাপের পানিতে ধোয়ার নিংড়ানোর
সময় হাতে যে পানি লাগে, হাতে সেই কাপড় থাকা অবস্থাতেই সেই পানি সেই
কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না।কেননা প্রবাহিত পানিতে তিনবার ধৌত করা লাগে না।এবং যে
পানি হাতে লাগে, সেই পানিও নাপাক নয়।
২. কাপড় নিংড়ানোর সময় কিছু পানি হাতের তালু বেয়ে কনুই পর্যন্ত
নেমে আসে। কাপড় ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিংড়ানোর সময় সেই পানি থাকা অবস্থায় হাতে কাপড় সামান্য
ছোয়া লাগে।যদি তা প্রবাহিত পানিতে কাপড় ধৌত করার পর হয়ে থাকে, তাহলে তা পবিত্র, নতুবা অপবিত্র হিসেবে বিবেচিত
হবে।
إنْ
غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ
فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ
بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا
تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে
পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে
থাকে, এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,
তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে, সেই পানি ও কাপড়
এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না। আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক
বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/23740
পাক-নাপাক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/53602/
সুঁই মাথার মত নাপাকির ছিটা মাফ- https://ifatwa.info/52485/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে ঐ প্যান্ট ধৌত করা আবশ্যক নয়। কারণ তাতে নাপাকির কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে
না। আবার লাগলেও অতি সামান্য লেগেছে। তবে তবুও প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ধৌত করে নেওয়া
উত্তম।
২. হ্যাঁ,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত নামাজগুলো পড়া সহীহ হয়েছে।
৩. তিনবার পানি পরিবর্তন
করে কাপড় ধুয়ে নিংড়ানোর দ্বারা হাতও পবিত্র
হয়ে যাবে। তবে সর্বশেষ তবুও আলাদা ভাবে ধৌত করে নেওয়া উত্তম।