আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
273 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম।একজন প্রশ্ন করেছন।সেটা হুবহু দিচ্ছি। উত্তর জানাবেন প্লিজ।
১)আমি অনেকে আচরনে মনে কষ্ট পেয়েছি,অনেক ছোট হয়েছি।তাদের উপর রাগ করে, তাদের কে দেখানোর জন্য কোন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে কোন কোর্সে যদি ভর্তি হই সেটা কি রিয়া হবে বা আল্লাহ কি এটা কবুল করবেন?

কারন,আমি যদি কোন কিছু শিখি সেটা নিজে জেনে আমল করতে পারব,অন্যদের শেখাতে পারব।এখন যাদের কাছে অপমানিত হচ্ছি বা তাদের কে জানানোও প্রয়োজন।তাদের কে সে কোর্স শেষ করারপর যদি বলি  যে এটা শেষ করেছি।তাহলে কি রিয়া হবে?


২)আমি কোর্সে ভর্তি হয়ে সেটা কন্টিনিউ করার সময় জানাবো।তাদের জানানোও জরুরি।কারন তারা জানতে ও আগ্রহী যে আমি কোথায় কোর্স করছি।বর্তমানে যেহেতু করছি না তাই জানাতেও পারছি না।আমার নিজের যেহেতু শেখাও জরুরি,তাদের জানাতে হবে কাজর স্বার্থেও।এখানে কিছু মান সম্মান ধরনের বিষয়ও আছে।সবমিলিয়ে আমার ইলম অর্জন কি লোক দেখানো হবে?আমি কি সেই জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হব যারা মানুষ জ্ঞানী বলবে এজন্য জ্ঞান অর্জন করেছে।


৩)আমার নিয়ত বুঝতে পারছি না আমি।মানুষের অপমান একটা বিষয় সেটা মাথায় আছে,তাদের জানাতে হবে সেটাও মাথায় আছে।নিজের যে শিখতে হবে সেটাও মাথায় আছে। এখন ভর্তি কি হয়ে যাব?আল্লাহর কাছে কবুল হবে তো?এখানে আমার করনীয় কি?

আমাকে একজন বারবার বলছে তোমার কোর্স করা উচিত,নিজে জানা গুরুত্বপূর্ণ। না হলে মানুষকে জানাতে পারবা না,শেখাতে পারবা না।এখন ভর্তি হলে তাকে সহ অন্যদের জানাতে হবে। এখানেই সমস্যা। নিয়ত,কবুল না হওয়া নিয়ে চিন্তিত। জানাবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আসল নিয়ত যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা হয়,আর পাশাপাশি অন্যকে দেখানোর বিষয়ও থাকে,তাহলে এটি রিয়া হবেনা।

তদুপরি পূর্ণ নিয়ত শুধু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাই হওয়া উচিত।
এতে যেমন বরকত মিলবে,তেমনই পূর্ণ ছওয়াব মিলবে।

(০২)
আপনি তাদের জানাতে পারবেন,তবে আপনার মূল
নিয়ত থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। 

আপনার আসল নিয়ত যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা হয়,আর পাশাপাশি উল্লেখিত বিষয়াবলীও থাকে,সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে আপনার ইলম অর্জন লোক দেখানো হবেনা।

আপনি সেই জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হবেননা, যারা মানুষ জ্ঞানী বলবে এজন্য জ্ঞান অর্জন করেছে।

আর যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা আপনার নিয়ত হিসেবে নাই থাকে,শুধু লোক দেখানোর বিষয়ই থাকে,সেক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট রিয়া হবে।
যাহা শিরকে আছগর।

(০৩)
আপনার মূল নিয়ত থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। 
তাহলেই ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবেনা।
পাশাপাশি অন্য নিয়ত আসলেও সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...