আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in পবিত্রতা (Purity) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

 জরুরি প্রশ্ন।

1
শায়েখ আমার স্ত্রীর পিরিয়ড সাধারণত থাকে ৬/৭ দিন।কিন্তু বিগত কিছ্য মাস ধরে তা ৮/৯ হচ্ছে। এবং ৫/৬ দিনে মেইন ফ্লো শেষ হয়ে যায়। এরপর হাল্কা হলুদাভ ও বাদামী থাকে,৭দিনের পর ত এত কম যে বুঝাই যায়না। এবং তা হাতে দেখলে সাদাই মনে হয়,কিন্তু টিস্যুতে নিলে অতিওল্প হাল্কা হলুদাভ লাগে। ও ব্যাপারটা নিয়ে অনেক চিন্তিত যে এটা কি আদৌ পিরিয়ড কিনা।কারণ এতদিন থাকার কথানা। এটা কি চোখের ভুল না টিস্যু কারণে এমন কালার দেখাচ্ছে আল্লাহ ভাল জানেন। ত কাল(৯ম দিন) মাগ্রিবের কিছুক্ষন আগে সে চেক করে বর্নহীন মত কিছু পায়।আর এটা এমন ছিল না যে টিস্যুতে চেক করবে।তাই সে ধরে নেয় পিরিয়ড শেষ,এবং নামাজ শুরু করে। পরে সে শীতের কারণে সারা রাত আর চেক করেনি। ফজরের সময় আবার তেমন হলুদাভ পায়।তাহলে কি এটা পিরিয়ড আবার শুরু হয়েছে ধরবে? না এটা পবিত্র হিসেবে ধরবে কিন্তু যে স্রাব আসছে তা নাপাক ধরবে?

২, অনেক সময় স্রাব ভিতরে আটকে থাকে।প্রসাবের সাথে বেরোয় না।এবং বাইরে থেকে দেখাও যায়না।ভেতরেই বদ্ধ থাকে স্ত্রীলিংগের বাইরেএ চামড়া বা অংশ দ্বারা।যেহেতু এটা বাইরে আসেনি।তাই এটা অযু ভংগকারী হবে কি? এবং তা ধৌত করা আবশ্যক কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার স্ত্রী প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তথা দশম দিনে ফজরের সময় হলুদাভ পেয়েছে,এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।

এক্ষেত্রে দশদিন তার পিরিয়ড হিসেব গন্য হবে।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।
আরো জানুনঃ 

(০২)
যেহেতু এটা বাইরে আসেনি। তাই এটা অযু ভঙ্গকারী হবেনা। এবং তা ধৌত করা আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...