আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আমার নানা-নানি আমার খালার বাসায় থাকেন। আমার খালু পেশায় একজন ব্যাংকার। ওইখানে নানা-নানি থাকার সুবাদে আমার মা এক-দুই সপ্তাহ পর পরই ঘনঘন আমার খালার বাসায় যান এবং যেয়ে সপ্তাহের ছুটি কাটান। এক্ষেত্রে আমাকেও যাওয়ার জন্য জোরাজোরি করা হয়। কিন্তু আমি শায়খ আহমুদুল্লাহর হুজুরের এক প্রশ্নত্তরে শুনেছিলাম ব্যাংকার মামার বাসায় দাওয়াত খাওয়াও ঠিক হবে না যথাসম্ভব ইগনোর করতে হবে। কিন্তু আমি যদি আমার খালুর বাসায় না যাই তাহলে তারা নাকি অখুশি হয়, অহংকারী ভাবে আমাকে,ছোটোবেলা থেকে মানুষ করেছে এটা বলে, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে এটা বলে, আবার কোনোক্ষেত্রে কষ্ট ও পেতে পারে । আমার পরিবারের কেউ পরিবারের ভেতরের গায়রে-মাহরামদের সাথে পর্দার বিষয়ে একটুও সচেতন নয়।তাই ঐখানে গেলে আমার পর্দা নিয়েও অনেক স্ট্রাগল করতে হয়,তাই যেতে মন চায় না। এমতাবস্থায় আমার কি করনীয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع 
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাংকার খালুর হালাল কোনো ইনকাম সোর্স না থাকলে, আপনি বা আপনার পরিবারের কারো  ঐ খালুর বাসায় গিয়ে কোনো কিছু ভক্ষণ করা জায়েয হবে না।কোনো প্রকার হাদিয়া গ্রহণ করাও জায়েয হবে না। হ্যা, যদি কখনো নিরুপায় হয়ে বাসায় গিয়ে দাওয়াত খান বা কোনো কিছু গ্রহণ কর নেন,তাহলে সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...