আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম,
উস্তাদ, আমি একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। ইন্টারভিউ এর সময় কম্পানির দুই জন মালিকই উপস্থিত ছিলেন। তখন মৌখিক ভাবে চুক্তি হয় আমি ৩ মাস তাদের সাথে কাজ করবো যদি ভালো লাগে তবে পারমানেন্ট হিসেবে আমাকে রাখবে। এর মাঝে আমি পারিবারিক কিছু সমস্যার জন্য ১৪-১৫ দিন এর মত ছুটি কাটাই। আলহামদুলিল্লাহ যে তারা আমার বেতন কাটে নাই। কিন্তু ৪ মাস পার হওয়ার সময় আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে আমি কি পারমানেন্ট?  তাদের একজন উত্তর দেয় যে শিক্ষানবিশ কাল ৬ মাস কিন্তু অপর মালিক স্বীকার করেন যে ৩ মাসের কথা হয়েছিল।  কিন্তু তারা বলে যে তাদের বলতে ভুল হয়েছে তাই ৬ মাস পরে আমি পারমানেন্ট হয়েছি কিনা জানাবে। পরে আমি পারমানেন্ট হই আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু বার বার বলার পরেও কোম্পানি কোনো চুক্তি পত্র করছে না। আমার সাথে যারা পুরনো লোক আছে তাদেরও কোনো চুক্তি পত্র নাই।

একমাসে তারা কয়েকদিন ওভারটাইম করানোর পরেও কোনো ওভারটাইমের বোনাস দেয় নাই। যদিও চুক্তি নাই যেহেতু চুক্তিপত্র নাই।

এছাড়াও তারা বলেছিলো যে কোম্পানির উপার্জন ভালো হলে আমাদের বেতনও বাড়বে। কিন্তু তারা নিজেদের বেতন বাড়ালেও আমাদের বেতন দিচ্ছে সরকারি ভাবে ক্লাস ৮ পাস করা লোকের যেই বেতন থাকার কথা তার চেয়েও কম। ৮হাজার টাকারও কম। মালিকের মাঝে একজন আমার বন্ধু। তাকে দেখালাম যে একিরকম মাত্র শুরু করেছে এমন কোম্পানির স্টার্ট এই বেতন শুরু করেছে দুইগুন এরও বেশি। কিন্তু সে কথা ঘুরিয়ে দেয়।

এছাড়াও উল্লেখ্য যে, হুট হাট তারা বিভিন্ন নিয়ম এসে বলে যায় যা শুরুর সময় বলে নাই। বা আমাদের আগে নোটিশও দেয় নাই।

উস্তাদ আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
১. আমারা যে চুক্তি বিহিন ভাবে কাজ করছি এইটা ইসলামের দৃষ্টিতে কিরুপ? আমার বা তাদের এমন চুক্তি বিহিন কাজ কি হারাম হচ্ছে?

২. ৩ মাসের কথা বলে ৬মাস শিক্ষানবিশ রাখার ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান কি যেহেতু আমিই লিখিত চুক্তি ছাড়া জয়েন করেছি?

৩. আমাদের বেতন কাঠামো নিয়ে কি তাদের কিছু বলা আমাদের উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।

 পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে, 
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....

তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
আপনাদের কাজ জায়েজ হচ্ছে।
তবে তারা যে কথা অনুযায়ী চুক্তি সম্পাদনা করছেননা,এটি তাদের জন্য উচিত হচ্ছেনা।
তাদের গুনাহ হবে।

(০২)
এটি তাদের স্পষ্ট ধোকা ও মিথ্যার আশ্রয়। 
যাহা জায়েজ নয়।

(০৩)
অবশ্যই বলা উচিত হবে।
নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সচেষ্ট হতে পারেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...