আসসালামু আলাইকুম,
উস্তাদ, আমি একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। ইন্টারভিউ এর সময় কম্পানির দুই জন মালিকই উপস্থিত ছিলেন। তখন মৌখিক ভাবে চুক্তি হয় আমি ৩ মাস তাদের সাথে কাজ করবো যদি ভালো লাগে তবে পারমানেন্ট হিসেবে আমাকে রাখবে। এর মাঝে আমি পারিবারিক কিছু সমস্যার জন্য ১৪-১৫ দিন এর মত ছুটি কাটাই। আলহামদুলিল্লাহ যে তারা আমার বেতন কাটে নাই। কিন্তু ৪ মাস পার হওয়ার সময় আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে আমি কি পারমানেন্ট? তাদের একজন উত্তর দেয় যে শিক্ষানবিশ কাল ৬ মাস কিন্তু অপর মালিক স্বীকার করেন যে ৩ মাসের কথা হয়েছিল। কিন্তু তারা বলে যে তাদের বলতে ভুল হয়েছে তাই ৬ মাস পরে আমি পারমানেন্ট হয়েছি কিনা জানাবে। পরে আমি পারমানেন্ট হই আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু বার বার বলার পরেও কোম্পানি কোনো চুক্তি পত্র করছে না। আমার সাথে যারা পুরনো লোক আছে তাদেরও কোনো চুক্তি পত্র নাই।
একমাসে তারা কয়েকদিন ওভারটাইম করানোর পরেও কোনো ওভারটাইমের বোনাস দেয় নাই। যদিও চুক্তি নাই যেহেতু চুক্তিপত্র নাই।
এছাড়াও তারা বলেছিলো যে কোম্পানির উপার্জন ভালো হলে আমাদের বেতনও বাড়বে। কিন্তু তারা নিজেদের বেতন বাড়ালেও আমাদের বেতন দিচ্ছে সরকারি ভাবে ক্লাস ৮ পাস করা লোকের যেই বেতন থাকার কথা তার চেয়েও কম। ৮হাজার টাকারও কম। মালিকের মাঝে একজন আমার বন্ধু। তাকে দেখালাম যে একিরকম মাত্র শুরু করেছে এমন কোম্পানির স্টার্ট এই বেতন শুরু করেছে দুইগুন এরও বেশি। কিন্তু সে কথা ঘুরিয়ে দেয়।
এছাড়াও উল্লেখ্য যে, হুট হাট তারা বিভিন্ন নিয়ম এসে বলে যায় যা শুরুর সময় বলে নাই। বা আমাদের আগে নোটিশও দেয় নাই।
উস্তাদ আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
১. আমারা যে চুক্তি বিহিন ভাবে কাজ করছি এইটা ইসলামের দৃষ্টিতে কিরুপ? আমার বা তাদের এমন চুক্তি বিহিন কাজ কি হারাম হচ্ছে?
২. ৩ মাসের কথা বলে ৬মাস শিক্ষানবিশ রাখার ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান কি যেহেতু আমিই লিখিত চুক্তি ছাড়া জয়েন করেছি?
৩. আমাদের বেতন কাঠামো নিয়ে কি তাদের কিছু বলা আমাদের উচিত হবে?