আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। বিরক্ত করার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। হঠাৎ করে নিচের বিষয় গুলা মনে হয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। আমি স্থানীয় এক মুফতি থেকে মাসালা নিয়েছিলাম ওনি বলেছিলেন তালাক হই নাই।আপনি যদি সংক্ষেপে বইলা দিতেন তাহলে ভিতরে শান্তি লাগত।
১.আমি হাসবেন্ড কে বলেছিলাম ডিভোর্স দিয়া দিও সে বলছিল তুমি দিয়া দিও। এই বিষয়  টা হাসবেন্ড এক হুজুর কে জিজ্ঞেস করছিল আর আমাকে বলসে কোন চিন্তা করো না কিছু হই নাই। পরে আমি বলসি কি জিজ্ঞেস করছো হুজুর কে। আসলে তার সঠিক ঘটনা মনে নাই ভুল বইলা ফেলসে হুজুর কে । তখন হাসবেন্ড  বলসে... বলসি ডিভোর্স দিয়া দিও ডিভোর্স দিয়া দিলাম.. এটুকু বলার সাথে সাথে আমি বলসি কিসের ডিভোর্স দিয়া দিলাম।। তখন হাসবেন্ড বলসে  আরে ডিভোর্স দিয়া দিলাম এই কথা তুমি বলছো তাই বলসি হুজুরকে। তখন আমি বলসি আমি কখনো অই কথা বলি নাই আর তুমি ও বল নাই।কিসের উল্টা পাল্টা বইলা জিজ্ঞেস করছো। হাসবেন্ড বলসে তুমি অই কথা বললেও কিছু হবে না হুজুর তাই বলসে।
ক।হুজুর কে হাসবেন্ড কি জিজ্ঞেস করসে তা জানতে চাওয়াই হাসবেন্ড আমাকে অইভাবে বলাই কি কোন সমস্যা হব??
খ।হাসবেন্ড যদি অই কথা (ডিভোর্স দিলাম)নিজে বলসে বলে মাসালা জিজ্ঞেস  করে আর আমাকে হুজুর কে কি জিজ্ঞেস করসে তা বলার জন্য বলে তাইলে কি তালাক হবে যদি সত্যি সে কথা কখনো বইলা না থাকে।আসলে যা ঘঠছে সেটা তার মনে ছিল না ভুল ভাবে বইলা ফেলসে

২.হাসবেন্ড যদি বলে তুমার যা মন চাই তাই কর।তুমার যেভাবে ভাল লাগে অই ভাবেই থাকো।(এই কথা দিয়া হইত বুজাতে পারে তারে ছাড়া যদি ভাল থাকি তাইলে যেন তাই থাকি তাও যেন ভালো থাকি)আমি সন্দেহ থেকে বললাম তারে এখন জিজ্ঞেস করতে পারব না সে এমনিতেই  আমার উপর বিরক্ত এসব নিয়া।অই নিয়ত থাকলে কি হুজুর অধিকার  দেওয়া বুজাবে?

ক।সাময়িক অধিকার দেওয়ার পর সাথে সাথে আমি কিছু  বলি নাই এটা আমি নিশ্চিত। কিন্তু কখন বলছি তা মনে নাই তখন কি বৈঠক ছিল নাকি শেষ  হইয়া গেছিল।আমি তখন ওয়াস ওয়াসা সমস্যা  ছিল।সারাক্ষণ মাথাই তালাক এর বিষয়  গুলা ঘুরত আর অইভাবে বললে যে অধিকার হই জানতাম না।তাই এসব নিয়া ভাবি নাই।

খ।সাময়িক তালাকের বৈঠক নাকি একাধিক দিন ও হতে পারে।হাসবেন্ড   সাময়িক  অধিকার দেওয়ার মত কিছু বললে বউ যদি সেসময়  তালাক হওয়ার মত কিছু না বলে।একটু পর তার সাথে সাভাবিক কথা বলে সাভাবিক কাজ যেমন খাওয়া ঘুমানো। তারপর যদি তালাক হওয়ার মত কথা বলে  তাইলে কি তালাক পতিত হবে??তালাকের সব বিষয় তার মাথায় সবসময় থাকে কারন সে এই বিষয় ওয়াস ওয়াসার রোগি।
৩.হাসবেন্ড  ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম বলছে কিনা মনে করার জন্য বউ যদি  হাসবেন্ড  এর হয়ে নিজের দিকে ইংগিত করে ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম বলে তাইলে কি তালাক পতিত হবে।কিন্তু  হাসবেন্ড  অই সব বাস্তবে বলে নাই।বউ যদি সাময়িক তালাকের  অধিকার ভুক্ত  থাকে।কিন্তু তালাক নেওয়ার  সময় ছিল  কি ছিল না মানে বৈঠক। সে বিষয়  আমি সন্দিহান আমি নিশ্চত না

৪.আমি এই ওয়েব সাইটে অনেক প্রশ্ন  করসি একেক সময়  একেক হুজুর  মাসালা দিছেন।এতে কি কোন সমস্যা হব।। এই বিষয় মাসালা কি যেকোনো এক হুজুর থেকে নিতে হবে।

আমি কি আপানাকে সব বুজাইতে পারছি কিনা আমি জানি না।একটা বিষয়  সমাধান  পাইলে শয়তান আরেকটা  প্রশ্ন  মাথায়  আনে।প্রথম  দিকে আমাদের  জা হইসিল তাতে কোন  সমস্যাই হইছিল  না।মাসালা জানার পর থেকে  আস্তে আস্তে আমার ওয়াস ওয়াসা হয়ে দিন দিন শুধু  সমস্যা  বারতেই আছে।হাসবেন্ড ও এখন বিরক্ত।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১) 
"আমি হাসবেন্ড কে বলেছিলাম ডিভোর্স দিয়া দিও সে বলছিল তুমি দিয়া দিও। এই বিষয়টা হাসবেন্ড এক হুজুর কে জিজ্ঞেস করছিল, আর আমাকে বলছে, কোন চিন্তা করো না কিছু হয় নাই। পরে আমি বলসি কি জিজ্ঞেস করছো হুজুর কে। আসলে তার সঠিক ঘটনা মনে নাই ভুল বইলা ফেলছে হুজুরকে । তখন হাসবেন্ড  বলসে... বলসি ডিভোর্স দিয়া দিও ডিভোর্স দিয়া দিলাম.. এটুকু বলার সাথে সাথে আমি বলসি কিসের ডিভোর্স দিয়া দিলাম।। তখন হাসবেন্ড বলসে  আরে ডিভোর্স দিয়া দিলাম এই কথা তুমি বলছো তাই বলসি হুজুরকে। তখন আমি বলসি আমি কখনো অই কথা বলি নাই আর তুমি ও বল নাই।কিসের উল্টা পাল্টা বইলা জিজ্ঞেস করছো। হাসবেন্ড বলসে তুমি অই কথা বললেও কিছু হবে না হুজুর তাই বলসে।"

(ক) হুজুরকে হাসবেন্ড কি জিজ্ঞেস করেছিলো? তা জানতে চাওয়ায়, হাজবেন্ড আপনাকে ঐভাবে বলেছে, এতেকরে কোন সমস্যা হবে না। তালাক পতিত হবে না।

(খ) হাসবেন্ড যদি ঐ কথা (ডিভোর্স দিলাম) নিজে বলেছে বলে মাস'আলা জিজ্ঞেস করে, কিন্তু যদি সত্যি সে এই কথা কখনো বলে না থাকে। আসলে যা ঘটেছে সেটা তার মনে ছিল না, ভুল ভাবে বইলা ফেলছে, এতেকরে কোনো তালাক পতিত হবে না।


(২) হাসবেন্ড যদি বলে তোমার যা মন চায় তাই কর।তোমার যেভাবে ভাল লাগে অই ভাবেই থাকো।(এই কথা দিয়া হইত বুজাতে পারে তারে ছাড়া যদি ভাল থাকি তাইলে যেন তাই থাকি তাও যেন ভালো থাকি)

আপনার আশংকাকৃত ঐ নিয়তে বলে থাকলে অধিকার দেওয়া বুঝাবে। এজন্য স্বামীকে তার নিয়ত সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে।

(ক) সাময়িক অধিকার দেওয়ার পর সাথে সাথে আমি কিছু বলি নাই এটা আমি নিশ্চিত। কিন্তু কখন বলছি তা মনে নাই,তখন বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছে কি না? সেটা অস্পষ্ট। আর অস্পষ্ট বিষয়ে তালাকের ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তালাক হবে না ।
সুতরাং যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত ব্যক্তি, তাই আপনার কোনো তালাকই পতিত হবে না।

(খ) সাময়িক তালাকের বৈঠক নাকি একাধিক দিন ও হতে পারে।হাসবেন্ড   সাময়িক  অধিকার দেওয়ার মত কিছু বললে বউ যদি সেসময়  তালাক হওয়ার মত কিছু না বলে।একটু পর তার সাথে সাভাবিক কথা বলে সাভাবিক কাজ যেমন খাওয়া ঘুমানো। তারপর যদি তালাক হওয়ার মত কথা বলে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।

(৩)
হাজবেন্ড ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম বলছে কি না? মনে করার জন্য বউ যদি হাসবেন্ড এর হয়ে নিজের দিকে ইংগিত করে ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম বলে তাইলে তালাক পতিত হবে না। কেননা স্ত্রী কখনো স্বামীকে তালাক দিতে পারে না।

(৪) 
আপনার সকল বিষয় বুঝতে পেরেছি, অাপনি একাধিক প্রশ্ন করেছেন, আপনার কোনো প্রশ্ন দ্বারাই তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...