আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
450 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আশাকরি আল্লাহ ভালো রেখেছেন আপনাদের কে।আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে পূর্বের চেয়ে অনেক অনেক ভালো রেখেছেন।

হুজুর কিছু জানার আগে কয়েকটি কথা বলে নেয়া উচিৎ বলে আমি মনেকরি।হুজুর অনেক অনেক জাজাকাল্লাহ আপনাকে,আমাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্যে এবং বার বার বিরক্ত করার পরো আমাকে সময় দিয়েছেন ধৈর্য সহকারে এবং প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।আল্লাহ আপনার ঈমান আমাল ও এলেমে আরো বারাকাহ দান করুন এই দোয়া সবসময় করি।

হুজুর আপনি জানেন যে আমি কি পরিমান ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত ছিলাম।আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক সুস্থ আছি আল্লাহর ইচ্ছায়।

হুজুর আমি কয়েকটি পয়েন্ট শুধু জানতে চাইবো,,তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি সব বিষয়ে সুনিশ্চিত থাকতে পারবো এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে হেফাজত থাকতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আর হুজুর আমি দারুল ইফতা তেও যোগাযোগ করেছিলাম,হুজুর রা বলেছিলেন যে এগুলা শুধুই আপনার মনের ওয়াসওয়াসা, এগুলার দ্বারা কোনো সমস্যা হয়নাই।

১/হুজুর যে বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করে শর্ত দেয়া হয় হুবুহু সেই বিষয় যখন পাওয়া যাবে ঠিক তখনি তো তালাক হবে তাইনা??/

২/হুজুর ধরেন একটা বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে এবং যে বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে তার কয়েকটি দিক রয়েছে।এখন কোন দিকটা শর্ত দেয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করা হবে কিভাবে?? আপনি বলেছিলেন যখন মুখে উচ্চারিত শব্দের মাঝে বিরোধ দেখা দিবে তখন নিয়্যাত যেই ছুরুতের উপর ছিলো সেই ছুরুত কেই শর্ত হিসেবে ধরা হবে।এইটা তো ঠিক আছে তাইনা?

৩/হুজুর কেও কেনায়া বা শর্তযুক্ত তালাক প্রদান করলো এবং সেই সময়ে যেই ছুরুতের উপর নিয়্যাত করেছিলো বা যে নিয়্যাতে উক্ত কথাটি বলেছিলো সেই নিয়্যাত টাই তো ধর্তব্য হবে তাইনা?? পরবর্তী সময়ে গিয়ে যদি নিয়্যাত করে বা উক্ত শর্ত/কথা বলার পর নিয়্যাত করে তাহলে কি উক্ত নিয়্যাত ধর্তব্য হবে? নাকি যখন শর্ত দেয় বা উচ্চারণ করে ঠিক সেই মূহুর্তে যেই নিয়্যাত ছিলো সেই নিয়্যাত টাই ধর্তব্য হবে?

৪/হুজুর আমরা আম মানুষ,,মুফতি সাহেবের নিকট ফতোয়া নেয়ার পর সেই ফতোয়ার উপর মন্তব্য করা কি ঠিক হবে?

হুজুর দোয়া চাই খাছ করে,,আমি যেনো সামনে থেকে এমন ওয়াসওয়াসা তে আর আক্রান্ত না হই।এটা খুবই কষ্টের একটা অধ্যায়, যা বলে বুঝানো যাবেনা।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরত রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)।

আরো জানুনঃ- 

★যে শব্দ বলে কসম কাটবে, তার নিয়ত যদি ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হয়,বরং ঐ শব্দ সেই নিয়তেরও সম্ভাবনা রাখে,এমন হতে হবে।
তার খেলাফ হওয়া যাবেনা। 

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
যে বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করে শর্ত দেয়া হয়, হুবুহু সেই বিষয় যখন পাওয়া যাবে, ঠিক তখনই তালাক হবে। 

(০২)
তখন নিয়্যাত যেই ছুরতের উপর ছিলো সেই ছুরত কেই শর্ত হিসেবে ধরা হবে।এইটা ঠিক আছে।
তবে এখানে যে শব্দ বলে কসম কাটবে, নিয়ত ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হতে হবে।

(০৩)
পরবর্তী সময়ে গিয়ে যদি নিয়্যাত করে বা উক্ত শর্ত/কথা বলার পর নিয়্যাত করে, তাহলে উক্ত নিয়্যাত ধর্তব্য হবেনা।

যখন শর্ত দেয় বা উচ্চারণ করে ঠিক সেই মূহুর্তে যেই নিয়্যাত ছিলো, সেই নিয়্যাত টাই ধর্তব্য হবে।

(০৪)
বিজ্ঞ মুফতি সাহেব যদি দলিলের আলোকে ফতোয়া প্রদান করে থাকেন,সেক্ষেত্রে সেই ফতোয়ার বিপরীত  মন্তব্য করা ঠিক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...