আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালামু আলাাইকুম

  1. আমার বউ মোবাইলে IMO এর মাধ্যমে একটা ছেলের সাথে ম্যসেজ করছিল আমি তা দেখে ফেলি এবং রাগের মাথায় শুধু তালাক দিলাম বলেছি এখানে এক তালাক বা দুই তালাক বলিনি এবং তারপর আরোবলি তোকে মুক্তি দিলাম আমার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করবিনা তোর রাস্তা তুই দেখে নে এবং আরো অনেক গালাগালি করি এই কথাগুলো 26.07.2022 তারিখে বলি তারপর 30.07.2022 তারিখে তারপর আবার তার সাথে থেকেছি  এবং পরবর্তীতে আমি চাকরিতে চলে আসি তখন তাকে অনেক বার বলেছি আমি তোমাকে তালাক দেব এবং আরও বলেছি তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি এখন    আমাদের    তালাক হবে কি। (এখানে 05.08.2022 থেকে 13.10.2022 তারিখ এর মধ্য সময়ে বলা হয়েছে )

 

  1. এখানে আমি তালাক দিলাম বলেছি এই কারনে পরবর্তীতে তাকে আমি বলেছি তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি(আমার এইটায় মনে হচ্ছে জানিনা রাগের মাথায় আমার মনে অন্য কিছু ছিল কি না আল্লাহ ভালো জানেন) এখন আমাদের সম্পর্ক হারাম এখন তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি  বলার জন্য তালাক হবে কি. দয়া করে জানাবেন.

 

     3.তার দুই দিন পর সেই ছেলেকে ভয় দেখানোর জন্য তাকে বলেছি আমি আমার বউকে     তালাক দিয়ে দিচ্ছি,তোর জন্য তালাক দিয়া লাগছে ,তালাক দেব এগুলো বলার জন্য কি তালাক হবে

4.আমার বউ এর সাথে কথা বলার সময় এক সময় বলি এরপর তোর যার সাথে বিয়ে হবে তারসাথে যেন বিস্বাসঘাতকতা আর করবি না এগুলো বলার জন্য কি তালাক হবে কি.

5.আমি এক মুফতী কে প্রশ্ন করি তিনি বলেন এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে এখন এক তালাকে বায়েন পতিত হয়ে গেলে তারপর যদি আবার তালাক দেওয়া হয় তাহলে কি আবার তালাক হবে.

 

6. হুজুর মুখে বললে যে তালাক হয়ে যায় আমার তা জানা ছিল না আসলে এ বিষয়ে আমার কোন knowledge ছিল না .তার দুই দিন পর সেই ছেলেকে শুধু ভয় দেখানোর জন্য তাকে বলেছি আমি আমার বউকে তালাক দিয়ে দিচ্ছি,তোর জন্য তালাক দিয়া লাগছে ,তালাক দেব এগুলো তাকে বলার কারন হচ্ছে সে যেন টেনশনে থাকে ভয়ে থাকে. হুজুর আমি মুন্সীগন্জ জেলায় চাকরি করি এই কথা গুলো হয় 26.07.2022 তারিখের দিকে তারপরে আমি ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে বউ এর সাথে থাকছি হুজুর মুখে বললে যে তালাক হয়ে যায় আমার তা জানা ছিল না আসলে এ বিষয়ে আমার কোন knowledge ছিল না আমার একটা ছেলে আছে চার বছর বয়স দয়াকরে আমাকে সঠিক একটা সমাধান দেন.

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক খুবই মারাত্মক । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৩৭৭ তে আছেঃ-

الطَّلَاقُ الصَّرِيحُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ طَلْقَةٌ، ثُمَّ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ تَقَعُ أُخْرَى، وَيَلْحَقُ الْبَائِنُ أَيْضًا بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ أَوْ خَالَعَهَا عَلَى مَالٍ، ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ وَقَعَتْ عِنْدَنَا، وَالطَّلَاقُ الْبَائِنُ يَلْحَقُ الطَّلَاقَ الصَّرِيحَ بِأَنْ قَالَ لَهَا: أَنْتِ طَالِقٌ ثُمَّ قَالَ لَهَا: أَنْتِ بَائِنٌ تَقَعُ طَلْقَةٌ أُخْرَى، وَلَايَلْحَقُ الْبَائِنُ الْبَائِنَ". ( ١ / ٣٧٧)
সারমর্মঃ
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তার সাথে পুনরায়  স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যমেও তালাক যুক্ত করা যায়।
অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তারপর স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়,তবে অস্পষ্ট বাক্যের মাধ্যেম তালাক যুক্ত করা যায়না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ আছে যে, আপনি আপনার স্ত্রীকে রাগের মাথায় "তালাক দিলাম" বলেছেন,কোনো সংখ্যা বলেননি।

★এর দ্বারা আপনার স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে।

এর পর আপনি আপনার স্ত্রীকে বলেছেন, "তোকে মুক্তি দিলাম,আমার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করবিনা,
তোর রাস্তা তুই দেখে নে"

★এর দ্বারা আপনার স্ত্রীর উপর আরো এক তালাক পতিত হয়েছে যেটি বায়েন তালাক। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
শরীয়তের বিধান হলো, এক তালাকে বায়েন পতিত হলে ইদ্দতের পরে কোনো তালাক পতিত হবেনা।
ইদ্দতের মধ্যে কেনায়া বাক্যে আবারল তালাক দিলে তালাক হবেনা।  তবে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে তালাক হয়।
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর মোট দুই তালাক পতিত হয়েছে।
দুই তালাকের বায়েন।

তাই আবারো ঘর সংসার করতে চাইলে আপনাকে আবারো নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০২)
এখন তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি বলার জন্য তালাক হবেনা।এখানে পূর্বের তালাকের খবর দেয়া উদ্দেশ্য। 

(০৩)
এগুলো বলার জন্য তালাক হবেনা।

(০৪)
এগুলো বলার জন্য তালাক হবেনা।

(০৫)
এখন স্পষ্ট বাক্যে আবারো তালাক দিলে আবারো তালাক পতিত হবে। 
এক্ষেত্রে সব মিলে ৩ তালাক পতিত হয়ে আপনার স্ত্রী আপনার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যাবে।
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাকে পুনরায় বিবাহ করার সুযোগ নেই।

(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর মোট দুই তালাক পতিত হয়েছে।
দুই তালাকের বায়েন।

তাই আবারো ঘর সংসার করতে চাইলে আপনাকে আবারো নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...