আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبر كاته
টিউশন করাত গেলে অনেকে মিথ্যা বলে। যেমন কলেজে অনার্স করে কিন্তু বলে যে চিটাগং ভার্সিটিতে পড়ে,নকল আইডি কার্ড বানায়।এসব মিথ্যা বলে টিউশন নেয়।

১)এ-ই মিথ্যা বলে টিউশন নিলে টাকাটা কি হারাম হবে,?

২)মিথ্যা বলার কারণে কবিরা গুনাহ হবে?

৩)যদি কারো অবস্থা এমন হয় যে টিউশন ছাড়া সে চলতে পারবে না তখন কি করণীয়?

৪)আগে টিউশন করানোর অভিজ্ঞতা অনেকের থাকেনা।নতুন টিউশন করাতে গেলে এক্সপেরিয়েন্স আছে কিনা জিজ্ঞেস করে।এক্সপেরিয়েন্স নাই বললো টিউশন দেয় না।নতুন করাতে গেলে তো এক্সপেরিয়েন্স থাকবে না এটা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় কি করণীয়??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ
যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ধোকা ও প্রতারণা করে এবং মিথ্যা বলে টিউশন নেওয়া কখনো জায়েয হবে না,তবে যদি কেউ ধোকা প্রতারণা করে টিউশনি নিয়ে পরবর্তীতে ঠিকটাক মত পড়াতে সক্ষম হয়,ছাত্রদের হক আদায় করে পড়ায়,যে যে বিষয় পড়াবে,সে বিষয়ে কোনো ত্রুটি না রাখে, তাহলে তখন টিউশনি বাবৎ প্রাপ্ত টাকা হারাম হবে না।

(২)মিথ্যা বলার কারণে কবিরা গুনাহ হবে।

৩)যদি কারো অবস্থা এমন হয় যে,সে  টিউশন ছাড়া চলতে পারবে না,তাহলে তখনও মিথ্যা বলে টিউশনি গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নাই।সে তার পরিচয়ে যে যে টিউশনি পাবে,সেটাই সে পড়াবে। নতুবা ভিন্ন কাজ করবে।

৪) এক্সপেরিয়েন্স না থাকা সত্তেও লোকদেরকে এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে বলে টিউশনি বাগিয়ে নেওয়া কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...