বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ
যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ধোকা ও প্রতারণা করে এবং মিথ্যা বলে টিউশন নেওয়া কখনো জায়েয হবে না,তবে যদি কেউ ধোকা প্রতারণা করে টিউশনি নিয়ে পরবর্তীতে ঠিকটাক মত পড়াতে সক্ষম হয়,ছাত্রদের হক আদায় করে পড়ায়,যে যে বিষয় পড়াবে,সে বিষয়ে কোনো ত্রুটি না রাখে, তাহলে তখন টিউশনি বাবৎ প্রাপ্ত টাকা হারাম হবে না।
(২)মিথ্যা বলার কারণে কবিরা গুনাহ হবে।
৩)যদি কারো অবস্থা এমন হয় যে,সে টিউশন ছাড়া চলতে পারবে না,তাহলে তখনও মিথ্যা বলে টিউশনি গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নাই।সে তার পরিচয়ে যে যে টিউশনি পাবে,সেটাই সে পড়াবে। নতুবা ভিন্ন কাজ করবে।
৪) এক্সপেরিয়েন্স না থাকা সত্তেও লোকদেরকে এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে বলে টিউশনি বাগিয়ে নেওয়া কখনো জায়েয হবে না।