ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
ﻭﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻭﻁﺀ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺑﻘﺪﺭ ﻛﻔﺎﻳﺘﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻨﻬﻚ ﺑﺪﻧﻪ ﺃﻭ ﻳﺸﻐﻠﻪ ﻋﻦ ﻣﻌﻴﺸﺘﻪ ، .. ﻓﺈﻥ ﺗﻨﺎﺯﻋﺎ ﻓﻴﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻛﺎﻟﻨﻔﻘﺔ ﻭﻛﻮﻃﺌﻪ ﺇﺫﺍ ﺯﺍﺩ "
স্ত্রীর সন্তুষ্টি পর্যন্ত স্বামীর উপর স্ত্রীকে সহবাস করা ওয়াজিব(অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র স্বামীকে সহবাস করতে হবে)।যতক্ষণ না স্বামীর শরীর দুর্বল হচ্ছে বা স্বামীকে তার জীবিকানির্বাহ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সহবাসের পরিমাণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক্ষেত্রে উচিৎ খোরপোষ ইত্যাদির মত সহবাসের পরিমাণকে বিচারক ঠিক করে দেবেন।(দৈনিক না সাপ্তাহিক? এইভাবে ঠিক করে দিবেন)(ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৪৬)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ আরো বলেনঃ
وَفِي الْبَدَائِعِ: لَهَا أَنْ تُطَالِبَهُ بِالْوَطْءِ لِأَنَّ حِلَّهُ لَهَا حَقُّهَا، كَمَا أَنَّ حِلَّهَا لَهُ حَقُّهُ، وَإِذَا طَالَبَتْهُ يَجِبُ عَلَيْهِ وَيُجْبَرُ عَلَيْهِ فِي الْحُكْمِ مَرَّةً وَالزِّيَادَةُ تَجِبُ دِيَانَةً لَا فِي الْحُكْمِ عِنْدَ بَعْضِ أَصْحَابِنَا وَعِنْدَ بَعْضِهِمْ تَجِبُ عَلَيْهِ فِي الْحُكْمِ. اهـ
বাদায়েয়ুস সানায়ে কিতাবে বর্ণিত আছে,সহবাস চাওয়ার অধিকার স্ত্রীরও রয়েছে,কেননা স্বামী উক্ত স্ত্রীর জন্য হালাল হওয়াটা স্ত্রীর অধিকারের অন্তর্ভূক্ত হবে। যেমন স্ত্রী স্বামীর জন্য হালাল হওয়াটা স্বামীর অধিকারের অন্তর্ভূক্ত হয়।সুতরাং যখন স্ত্রী স্বামীর কাছে সহবাসকে তলব করবে,তখন জবাব দেয়াটা স্বামীর উপর ওয়াজিব।এমনকি প্রথম একবারের জন্য স্বামীকে কোর্ট বিচারের মাধ্যমে মজবুর(নিরুপায়) করা হবে । এবং একবাবের বেশী সহবাস সম্পর্কে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামদের মতে দিয়নাতান ওয়াজিব করে থাকেন।(এবং তাও অাবশ্যকীয়)আর কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামদের মতে বৈচারিক তথা কোর্ট বিচারের মাধ্যমে দাবী করাও ওয়াজিব হবে।{রদ্দুল মুহতার;৩/২০৩}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের ডাকে সাড়া দেওয়া নৈতিকভাবে ওয়াজিব। সুতরাং স্ত্রীর ডাকে স্বামীকে সাড়া দিতে হবে। তবে যেহেতু স্বামী শীতকালের গোসলের অজুহাত দেখাচ্ছেন, তাই স্ত্রীর উচিত, জোরাজুরি না করে বরং ফজরের পর মুহূর্তে স্বামীকে আহবান করা।অথবা এমন সময় আহবান করা যখন, গোসলে কোনো সমস্যা ঘটবে না।