ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে আর্দ্রতা দেখলে এর সর্বমোট ১৪ টি সূরত হতে পারে।
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।এবং স্বরণ না থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।
স্বপ্নদোষ স্বরণ না থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ(বিধান সহ)যথাঃ-
(১)বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত(ফরয হবে)
(২)মযি সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে না)
(৩)ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত(ফরয হবে না)
(৪)বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে)
(৫)বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে)
(৬)মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(ফরয হবে না)
(৭)বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) (মিনহ্তুল খালিক-১/৫৮)
বিঃ দ্র; ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম আবু ইউসুফ রাহ কে তারাফাইন বলা হয়ে থাকে।এবং ইমাম আবু-হানিফা ও আবু ইউসুফকে শায়খাইন বলা হয়ে থাকে।
(২)
এক দিরহাম এর কম পরিমান বীর্য যদি বিছানায় লাগে সেক্ষেত্রে বিছানাকে নাপাক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। হ্যা, উক্ত বিছানাতে নামায না পড়াই উত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩)
মনে সন্দেহ আসলেই বিছানা চেক করতে হবে।বিছানাকে চেক করার পর দিরহাম হলে ধৌত করতে হবে।
(৪)
যেই বিষয়ের ওয়াসওয়াসা আসবে, সেই বিষয়কে নিয়ে কোনো টেনশন করবেন না।আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে।