বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মোগল সাম্রাজ্য কর্তৃত রচিত অনবদ্য ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ফেকহি কিতাব "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,
لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ
কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-
(১)
যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো। (২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমু বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো। (৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তোকে মারবো না, ছেড়ে দিলাম! (মারবো না অর্থে)
তুমি আজ থেকে মুক্ত। (বন্দী জীবন থেকে মুক্তি অর্থে)
তুমি বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক। (স্বাধীন নাগরিক অর্থে)
দুই বন্ধুর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো। (বন্ধুত্বের সমাপ্তি অর্থে)
উপরে উল্লেখিত অবস্থায় তালাক হবে না।কেননা এই শব্দগুলো তালাকের পরিস্থিতি ব্যতিত ভিন্ন পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে। এই শব্দ গুলো দ্বারা শুধুমাত্র তখনই তালাক হবে যখন সেগুলোকে তালাকের পরিস্থিতিতে বলা হবে।বিশেষ করে ছেড়ে দিলাম শব্দ।যেমন,মুযাকারায়ে তালাক বা রাগান্বিত অবস্থায়।