জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوْا أَيْدِيَهُمَا جَـزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِّنَ اللهِ، وَاللهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ»
‘‘তোমরা চোর ও চুন্নির (ডান) হাত কেটে দিবে তাদের কৃতকর্মের (চৌর্যবৃত্তি) দরুন আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে শাস্তি সরূপ। বস্তত আল্লাহ্ তা‘আলা অতিশয় ক্ষমতাবান মহান প্রজ্ঞাময়’’। (মায়িদাহ্ : ৩৮)
‘আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تُقْطَعُ يَدُ السَّارِقِ إِلاَّ فِيْ رُبْعِ دِيْنَارٍ فَصَاعِدًا.
‘‘সিকি দিনার তথা এক গ্রাম থেকে একটু বেশি স্বর্ণ (অথবা উহার সমমূল্য) এবং এর চাইতে বেশি চুরি করলেই কোন চোরের হাত কাটা হয়। নতুবা নয়’’। (বুখারী ৬৭৮৯, ৬৭৯০)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
قَطَعَ رَسُوْلُ اللهِ يَدَ سَارِقٍ فِيْ مِجَنِّ ثَمَنُهُ ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক চোরের হাত কাটলেন একটি ঢাল চুরির জন্য যার মূল্য ছিলো তিন দিরহাম তথা প্রায় নয় গ্রাম রূপা কিংবা উহার সমমূল্য’’। (বুখারী ৬৭৯৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কেউ যদি টাকা চুরি করে, আর সেই টাকা দিয়ে চাকরির আবেদন করে।চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যদি চাকরি করে। তাহলে তার চাকরী হারাম হবেনা।
তবে সেই ব্যাক্তির উপর আবশ্যক, উক্ত চুরির টাকা মালিকের নিকট যেভাবেই হোক ফেরত দেয়া।
প্রয়োজনে মোবাইলে ফ্লাক্সিলোড বা বিকাশ নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে হলেও ফেরত দিতে হবে।
মালিককে কোনোভাবেই খুজে পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে মালিকের নামে সদকার নিয়তে সদকাহ করে দিতে হবে।
(০২)
কেউ যদি হারাম টাকা দিয়া কোথাও ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করে।সে যদি ভর্তি পরীক্ষায় টিকে।
তাহলে তার পড়ালেখা হারাম হবেনা।