হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
সুতরাং তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।
,
তবে স্ত্রী যদি স্বামীর তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হয়,তাহলে তার জন্য করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে স্ত্রী তার সাথে থাকতে হয়, তাহলে স্ত্রী গুনাহগার না হলেও স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, আপনি আপনার স্বামীর সাথে কথা বলতেছিলেন,
কথা বলতে বলতে হঠাৎ শুনলেন সে তালাক দিলাম এটা বলছে। তবে কবে বলছে তা নিয়ে সন্দেহ আর এখন এটা মন হচ্ছে যে আপনি ভুল শুনলেন নাকি। আবার যখন ও যেদিন ঐ কথাটা (তালাক দিলাম) শুনেছিলেন তখনই ভুল শুনলেন কিনা এটা মনে মধ্যে চলে আসছিলো কিনা তা নিয়েও সন্দেহ।ঐদিন কোনো ঝগড়া চলছিলো কিনা বা নরমাল কথাবার্তা হয়েছিলো কিনা তা নিয়েও সন্দেহ।আবার এটাও সন্দেহ হচ্ছে যে, এই কথাটা কি আমার নামাজ,ওজু ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সন্দেহজনিত সমস্যাটা শুরু হওয়ার আগে শুনলাম নাকি পরে।
★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
এক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হলোঃ-
আপনি আপনার স্বামীকে বলবেন যে সেদিন তিনি কি আপনাকে উদ্দেশ্য করে "তালাক দিলাম" বলেছিলেন?
যদি তিনি স্বীকার করেন যে হ্যাঁ, বলেছিলাম। তাহলে আপনার উপর এক তালাক পতিত হবে।
আর যদি তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন,তাহলে তালাক হবেনা।