আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)

শায়খ আমার স্বামী একদিন কথা বলতেছিলো (ফোনে না সরাসরি তা নিয়ে সন্দেহ।তবে উনি চাকরি সূত্র বাইরে থাকেন আড়াই মাস তিন মাস পরপর আসেন।) কিন্তু কথা বলতে বলতে হঠাৎ শুনলাম সে তালাক দিলাম এটা বলছে তবে কবে বলছে তা নিয়ে সন্দেহ আর এখন এটা মন হচ্ছে যে আমি কি ভুল শুনলাম নাকি। আবার যখন ও যেদিন ঐ কথাটা (তালাক দিলাম) শুনেছিলাম তখনই ভুল শুনলাম কিনা এটা মনে মধ্যে চলে আসছিলো কিনা তা নিয়েও সন্দেহ।ঐদিন কোনো ঝগড়া চলছিলো কিনা বা নরমাল কথাবার্তা হয়েছিলো কিনা তা নিয়েও সন্দেহ।আবার এটাও সন্দেহ হচ্ছে যে, এই কথাটা কি আমার নামাজ,ওজু ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সন্দেহজনিত সমস্যাটা শুরু হওয়ার আগে শুনলাম নাকি পরে??এই ঘটনার সাথে সাথে বা কয়েকদিন পরেও কোনো মুফতিকে জিজ্ঞেস করিনি এমনকি তাকেও ভায়ে জিজ্ঞেস করিনি যে সে বাস্তবে এটা বলেছে কিনা কারন ভয় হচ্ছিল সে রেগে যেতে পারে এসব শুনে।ভাবছি সুযোগ বুঝে তাকে জিজ্ঞেস করবো কিন্তু ভয়ে জিজ্ঞেস করতে পারিনি যেকারণে কবে কখন  বলেছে তা নিয়ে সন্দেহে পড়ে গেছি।

এখন কি করবো আমি কি করনীয়??তাকে তালাকের ব্যাপারে কি জিজ্ঞেস করবো কিনা যে সে সত্যিই এটা বলেছিলো কি?নাকি তালাক হয়েছে বলে ধরে নিবো? 

(https://ifatwa.info/64790/ এখানে ১ নং প্রশ্নের ঘটনার সাথে উপরের ঘটনা এক না উপরের ঘটনাটা অন্য একদিন ঘটেছে)

না বুঝলে বলবেন

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/51644/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
সুতরাং তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।
,
তবে স্ত্রী যদি স্বামীর তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হয়,তাহলে তার জন্য করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে স্ত্রী তার সাথে থাকতে হয়, তাহলে স্ত্রী গুনাহগার না হলেও স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী আপনাকে "তালাক দিলাম" বলেছে কিনা, সেই ব্যাপারে আপনি সন্দিহান। 

এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বামীকে বলবেন যে সেদিন তিনি কি আপনাকে উদ্দেশ্য করে "তালাক দিলাম" বলেছিলেন?

যদি তিনি স্বীকার করেন যে হ্যাঁ, বলেছিলাম। তাহলে আপনার উপর এক তালাক পতিত হবে। 

আর যদি তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন,তাহলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...