জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ক্যালকুলেটর নকলের অন্তর্ভুক্ত নয়।
তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে এটির ব্যবহারের উপর যদি নিষেধাজ্ঞা জারী হয়,সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা জায়েজ হবেনা।
কেননা সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে,যাহা জায়েজ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
(০২)
সে যদি বিষয়টি না জানে,তাহলে এতে গুনাহের কথা বলে দেওয়া হলো।
তবে যদি তার মাধ্যমে মাফ চাওয়া বা সমাধানের উদ্দেশ্য থাকলে সমস্যা হবেনা।
(০৩)
আযানের জবাব কাজ করতে করতে দেওয়া যাবে।
(০৪)
অন্য ধর্মের স্যার থেকে শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহন করা যাবে।
(০৫)
নাপাকি লাগা স্থান শুকিয়ে যাওয়ার পর তাতে যদি পানি পড়ে তাহলে সেটি আবার নাপাক হয়ে যাবে।
(০৬)
কারো থেকে টাকা চুরি করে কোনো জিনিস ক্রয় করলে পড়ে সেই টাকা ফেরত দিলে জিনিসটা ব্যবহার করতে পারবেন।
(০৭)
মিথ্যা কথা বলে টাকা নিলে সেই টাকা ব্যবহার জায়েজ হবেনা।
তবে উক্ত টাকাকে হারাম টাকা বলা হবেনা।
এক্ষেত্রে উক্ত টাকা ব্যবহার করতে চাইলে সত্য কথা জানিয়ে দেয়া জরুরী।
সাধারণত মিথ্যা বলে মাতাপিতার নিকট থেকে টাকা নেওয়া কখনো জায়েয না।তবে যদি এমন হয় যে, কিছু টাকা না হলে দ্বীন পালনে সমস্যা তৈরী হতে পারে, তথা দ্বীন পালনের সহায়ক হিসেবে খরচ করার জন্য যদি টাকার প্রয়োজন হয়, যেমন, মেয়েদের ক্ষেত্রে হাত মোজা, পা মোজা ক্রয় করা , রোরখা ক্রয় করা যা অভিভাবকগণ সেচ্ছায় দিবে না। এভাবে ফরয বিধান পালন করতে যেয়ে মাতাপিতাকে ভিন্নপথ দেখিয়ে টাকা গ্রহণের রুখসত থাকতে পারে।