আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
বিয়ের উদেশ্য একটা ছেলে একটা মেয়ে একা দেখা করে কথা বলতে পারবে? আবার যদি একটার পর একটা মেয়ে দেখতেই থাকা হয় পছন্দ না হয় এটা কি জায়েজ?ইসলামে বলা হয়েছে যাকে ভালো লাগবে তাকেই বিয়ে করতে। এই প্রশ্ন দুইটার উত্তর খুবই দরকার আমার।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে।কথা বলতে পারবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)

যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً فَقَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا؟» قُلْتُ : لَا قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّه أَحْرٰى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا»

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জনৈকা নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, তুমি কি তাকে দেখেছ? আমি বললাম, না, দেখিনি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তাকে দেখে নাও। কেননা, এই দেখা তোমাদের মাঝে (বৈবাহিক সম্পর্ক) প্রণয়-ভালোবাসা জন্ম দিবে। 
(নাসায়ী ৩২৩৫, তিরমিযী ১০৮৭, ইবনু মাজাহ ৮৬৬৫, আহমাদ ১৮১৫৪, সহীহাহ্ ৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৮৫৯।)

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

 (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে। 
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫।)
,

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
পাত্র-পাত্রীর পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ ও অালাপ চারিতার কয়েকটি মূলনীতি-

(১)খালওয়াত হতে পারবে না।

(২)মুবাহ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না

(৩)ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।যদি কামভাব জাগ্রত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়,অথবা কোনো একজন উপভোগ করতে শুরু করে নেয়,তাহলে তখন সেটা হারাম হয়ে যাবে।

(৪)মহিলা নরম ভাষায় কথা বলতে পারবে না।

(৫)মহিলা পূর্ণ হেজাব তথা কবজা পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা,এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে।

(৬)প্রয়োজন অতিরিক্ত কথাবর্থা বলা যাবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 
 
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
(০১)
বিয়ের উদেশ্য একটা ছেলে একটা মেয়ে একা দেখা করে কথা বলতে পারবেনা।
এভাবে৷ গায়রে মাহরাম নারী পুরুষ এর একাকিত্ব হারাম।

(০২)
একটার পর একটা মেয়ে দেখতেই থাকা হয় পছন্দ না হয় এটা সমীচীন নয়।
,
নিয়ম হলো,বিবাহের প্রস্তাব জানানোর পর,আগে মেয়ের যাবতীয় তথ্য কোনো ভাবে নেয়া।
তার দ্বীনদারিত্ব, সৌন্দর্য,পড়াশোনা, উচ্চতা ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য নেয়া,তার পারিবারিক যাবতীয় তথ্য নেয়া।
তারপর ছেলের পরিবারের কোনো মহিলা সদস্যের মাধ্যমে মেয়েকে আগে দেখে নেয়া।

এতো সব কিছু জানার পর যদি সেই ব্যাক্তি উক্ত মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে।কথা বলতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...