আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
হুজুর দুঃখিত আবারও প্রশ্ন করার জন্য।
আমার একটা প্রশ্ন বাদ পরে গেছিল। আর কিছু নতুন প্রশ্ন ছিল৷
হুজুর এখানের প্রথম ঘটনাটি কষ্ট করে পড়বেন আবারও৷
প্রথম ঘটনার লিংক: https://ifatwa.info/62542/
হুজুর আমার সন্দেহের কারনে হাসবেন্ডকে জিজ্ঞেস করতাম আপনি " হয়ত দিলাম বলছি" এটা তো সন্দেহের ভিত্তিতেই বলছেন তাই না? সত্যি সন্দেহের ভিত্তিতে বলছেন নাকি মিথ্যা বলছেন মনে থাকার পরও৷ আমার স্বামী বলতো আমি সন্দেহের কারনেই বলছি, হয়ত কথাটা কেনো বলে মানুষ? সন্দেহের কারনেই তো।
তো আবারও জিজ্ঞেস করি একদিন৷
সেদিন সে আমাকে বলে, শুনো তোমাকে বুঝিয়ে বলতেছি। আমি তাকে সংক্ষেপে বলতে বলি। মানে পুরো শব্দ উল্লেখ না করে। তো সে বলা শুরু করে ---"সেদিন এসবের পরে যখন তুমি আমাকে ফোন দিছিলা কি বলছি জানার জন্য। তখন আমার কিছু মনে ছিল না৷ রেগে ছিলাম খারাপ লাগতেছিল। আমি চাচ্ছিলাম তাড়াতাড়ি ফোন রাখতে। আমার তখন কিছুই মনে ছিল না। তাই তখন "লাম বলছি" বলি। আর মনে পড়তেছে না এসব বলে ফোন রেখে দেই।"
হুজুর এখানে বোল্ড অংশটুকু দেখেন। উক্ত ঘটনার দিন সে "হয়ত দিলাম বলছি" বলে। কিন্তু আমাকে আবার বলে বুঝানোর সময় তার হয়ত কথাটা বাদ পড়ে যায়। সে সংক্ষিপ্ত করে লাম বলছি বলে কিন্তু হয়ত শব্দ টা বাদ পরে যায়।
তো আমার এটা নিয়ে ভয় হয় আমি তাকে বলি এটা কেনো বললেন৷ আপনি তো হয়ত দিলাম বলছি বলছিলেন। এখন হয়ত কথাটা তো বললেন না। আমার স্বামী বলে, আরে সেদিন আমি কি বলছি তুমি জানো না? আমি তোমাকে এখন বুঝাচ্ছি। বুঝাইতে গেলে এমন বাদ পরতেই পারে৷ এটার মানে তো আমি আগের হয়ত কথাটাই তো বুঝাইছি।
কিন্তু আমি তারপরও এটা নিয়ে ভয় পাই৷ আর তাকে একই জিনিস বলতে থাকি। এভাবে বলি- আচ্ছা এটার দ্বারা তো আপনি হয়ত কথাটাই তো বুঝাইছেন তাই না? বার বার জিজ্ঞেস করায় আমার স্বামী রেগে গিয়ে বলে, না আমি তো অন্য কিছু মিন করছি।
তখন আমি আরও ভয় পেয়ে যাই,
তখন ইমদাদুল হুজুরকে ফোন করে জানানো হয় ঘটনাটি, সে বলে বুঝানোর সময় এমনটা হলে সমস্যা হবে না।।
তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় হুজুর সে তো বার বার জিজ্ঞেস করতেছিল আপনি কি ঐটায় মিন করছেন কিনা তো আমি রেগে গিয়ে বলছি হ্যা বলছি। হুজুর এটাতে কি সমস্যা হবে কিনা। তখন হুজুর বলছে না সমস্যা হবে না।
হুজুর এখানে একটু দেখেন, আমি কিন্তু তাকে জিজ্ঞেস করি আপনি তো হয়ত কথাটাই মিন করছেন তাই না? সে কিন্তু বলছিল, না আমি তো অন্য কিছু মিন করছি। কিন্তু হুজুরকে বলার সময় আবার অন্য ভাবে বলে ফেলছে। আমি তখন তাকে বলি আপনি হ্যা বলছি বলেন নাই। আমি তো অন্য কিছু মিন করছি এটা বলছেন। আর আমি তো এভাবে বলি নাই। তার মনে ছিল না কি বলছিল। পরে আমি বলার পর মনে পড়ে। আসলে তাকে একই প্রশ্ন বার বার করায় আর একই জিনিস নিয়ে বারবার ঘটাঘাটি করায় এমনটা হয়ে গেছে। সে সব গুলিয়ে ফেলতছিল।
প্রশ্ন-১ঃ হুজুর এখানে ঘটনার সময় বলছে একটা আর ইমদাদুল হুজুরকে জিজ্ঞেস করতে যেয়ে সে অন্যটা বলে ফেলছে এটাতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?
হুজুর আপনাকে গত মাসে বলছিলাম এটা আমার শেষ প্রশ্ন। এর পর আমি অনেকটা ঠিক হয়েও গেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমার এই কথাটা মনে পড়ে।আর মনে হয় প্রশ্ন করাটা দরকার৷ আমি এটার জন্য ইস্তেখারাও করেছি৷ প্রশ্ন করবো কিনা এই ব্যাপারে। কিন্তু ইস্তেখারা করার পর প্রশ্ন করার আগ্রহ কমে গিয়েছিল। তাই প্রশ্ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু গতকাল থেকে এটা নিয়ে টেনশন হুট করে বেরে যায়। উল্লেখ্য যে, আমি ওয়াসওয়াসার কারনে জিকির করতাম, আর বিভিন্ন দোয়া পরতাম শয়তানের প্ররচনা থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ফজরে উঠতে না পারায় সকালের জিকির করতে পারতেছি না।
প্রশ্ন-২: হুজুর এর জন্য কি এমনটা হতে পারে? ইস্তেখারার ফালাফল পাওয়ার পরও কি শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে পারে? হুজুর আমি সন্দেহের কারনে আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক হালাল আছে কিনা এটা নিয়েও কয়েকদিন ইস্তেখারা করি৷ তো এরপর আমাদের সম্পর্ক হালাল আছে এই বিষয়ে আমার কনফিডেন্স বেড়ে যায়। তো আমি এটা মেনে নেই। তারপর কিছুদিন এসব ঘটনা মনে পড়ে নাই৷ কিন্তু হুট করে মাঝে মাঝে এসব ঘটনা মনে পড়ে। ভয় হয়। তখন মনে হয় আমার আবার এসব ঘটমা মনে পড়তেছে কেনো৷ ইস্তেখারা কি আবার করবো।
প্রশ্ন-৩: হুজুর ফলাফল পাওয়ার পরও এমন হওয়াটা কি ওয়াসওয়াসার কারনে হতে পারে?
হুজুর শেষ আরেকটি প্রশ্নঃ অনেক দিন আগে আমি আমার স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলার সময় একটা গান গাচ্ছিলাম। গানের লিরিক্স এমন ছিল---
তুৃমি যাকে ভালোবাসো, স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো
তার জীবনে ঝড়, তোমার কথা শব্দ দূষন তোমার গলার স্বর, আমার দরজায় খিল দিয়েছি, আৃার দারূন জ্বর, তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর।
তো গানটা শুনে আমার স্বামী রেগে যায়, বলে তুমি কি মিন করতে চাচ্ছো। আমি বলি এটা তো গান কি মিন করবো। আসলে তাকে রাগানোর জন্যই বলছিলাম লিরিক গুলো। তখন আমার স্বামী বলে, এমনি বলছো আচ্ছা দাড়াও দেখাচ্ছি। পরে আমরা অন্য প্রসঙ্গে চলে যাই। সকালে দেখি সে সেদিন এই লিরিকগুলো তার ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিতে ক্যাপশন দিয়েছিল। সে হয়ত কথা বলা শেষে অথবা কথা বলতে বলতে ছবি আপলোড দেয় এই ক্যাপশন দিয়ে। আমার সঠিক মনে নাই।
হুজুর তখন আমরা কেউই কেনায়া সম্পর্কে জানতাম না৷ এটা যে কেনায়া শব্দ তাও জানতাম না। জানার পর আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করি আপনি যে আপনার ছবিতে ক্যাপশন দিছেন এটা তো আমাকে দেখানোর জন্য দিছেন। এর দ্বারা কি কোন নিয়ত ছিল?
সে বলে আমার এই সম্পর্কিত কিছুই মাথায় ছিল না৷ তুমি গান গাইছো তাই তোমাকেও দেখানোর জন্য ক্যাপশন দিছি৷ এই সম্পর্কিত কিছুই আমার মাথায় আসে নাই৷ তাছাড়া এটা একটা গান এই হিসেবেও ক্যাপশন দিছি।
আমি তাকে আরও ডিটেইলসে প্রশ্ন করি যে, ক্যাপশন দেওয়ার সময় আপনার কি মনে হইছে বা কল্পনাতেও আসছে আমাকে অন্য কারো সাথে ঘর বাধতে বলতেছেন৷ এরকম কিছু৷ বা আলাদা হওয়ার কথাও মাথায় আসছে?
সে বলে আমার মাথায় এসব কিছুই ছিল না। কল্পনাতেও আসে নাই৷
প্রশ্ন-৪: হুজুর আমার প্রশ্ন এই গান ক্যাপশন দেওয়াতে কি কোন সমস্যা হইছে?
