আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
সরকারের পক্ষ থেকে সবার জন্য জীবন পেনশন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন এরকম পেনশন প্যাকেজ অলরেডি চালু করেছে। সেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট মেয়াদে কিছু টাকা জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট একটি বয়সে গিয়ে প্রতি মাসে পেনশন চালু হয়ে যাবে। তাদের কাছে সুদের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের যুক্তি হলো এই মেয়াদে সুদে এত পরিমানে ফিডব্যাক কভার করা সম্ভব না, তারা নাকি সে টাকা বিভিন্য জায়গায় ইনভেস্ট করে মুনাফা করে তা কাস্টোমারদের দেয় (সত্য মিথ্যা আল্লাহ ভালো জানেন)। আমার জানার বিষয় হচ্ছেঃ

১. এই পেনশন স্কিম ও সাধারন জীবন বিমা কি শরিয়তের দৃষ্টিতে একই।

২. সরকারী জনসাধারন পেনশন স্কিম সম্পর্কে শরিয়তের বিধান কি।

৩. আমি যদি ভবিস্যতে টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে এবং মুল প্রদত্ত অর্থের অতিরিক্ত না গ্রহণ করার নিয়তে পেনশন পলিসি গ্রহন করি সেটা কি জায়েজ হবে?

৪. আমার একটি ডিপিএস আছে, সেটার লভ্যাংশ আমার বিনা সোয়াবের আশায় দান করার ইচ্ছা আছে। সেটা কি আমার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখায় খরচ করতে পারব? মসজিদের টয়লেট নির্মানে খরচ করতে পারব? এতিম খানায় কোন এতিমকে দিতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।

দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।

তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।

সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1204

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সরকারি বাধ্যতামূলক বীমা ব্যতিত বাদবাকী সকল প্রকার বীমা নাজায়েয ও হারাম।

সরকারের পক্ষ থেকে সবার জন্য জীবন পেনশন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন এরকম পেনশন প্যাকেজ অলরেডি চালু করে দিয়েছে। পদ্ধতি হল, সেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট মেয়াদে কিছু টাকা জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট একটি বয়সে গিয়ে প্রতি মাসে পেনশন চালু হয়ে যাবে।

(১)এই পেনশন স্কিম ও সাধারন জীবন বিমা একই। তবে যদি সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, বা সরকার আলেম উলামাদের সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করে, তাহলে নিয়মনীতিকে কিছুটা পরিবর্তন করে সেটাকে সুদমুক্ত রাখা সম্ভব হতে পারে।

(২)সরকারী জনসাধারন পেনশন স্কিম নাজায়েয ও হারাম। তবে সরকারি বাধ্যতামূলক হলে সেগুলোর রুখসত থাকবে।

(৩) হ্যা,ভবিষ্যতে টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে এবং মূল প্রদত্ত অর্থের অতিরিক্ত গ্রহণ না করার নিয়তে যদি পেনশন পলিসি গ্রহন করা হয়, তাহলে সেটা নাজায়েয হবে না।

(৪) আপনার একটি ডিপিএস আছে, সেটার লভ্যাংশ বিনা সোয়াবের আশায় দান করার আপনার ইচ্ছা আছে। সেটাকে আপনার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখায় খরচ করতে পারবেন, যদি আপনার বাবা সামর্থ্যহীন থাকেন। নতুবা কোনো এতিম খানায় বা গরীব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...