বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।
দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।
তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।
সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1204
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সরকারি বাধ্যতামূলক বীমা ব্যতিত বাদবাকী সকল প্রকার বীমা নাজায়েয ও হারাম।
সরকারের পক্ষ থেকে সবার জন্য জীবন পেনশন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন এরকম পেনশন প্যাকেজ অলরেডি চালু করে দিয়েছে। পদ্ধতি হল, সেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট মেয়াদে কিছু টাকা জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট একটি বয়সে গিয়ে প্রতি মাসে পেনশন চালু হয়ে যাবে।
(১)এই পেনশন স্কিম ও সাধারন জীবন বিমা একই। তবে যদি সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, বা সরকার আলেম উলামাদের সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করে, তাহলে নিয়মনীতিকে কিছুটা পরিবর্তন করে সেটাকে সুদমুক্ত রাখা সম্ভব হতে পারে।
(২)সরকারী জনসাধারন পেনশন স্কিম নাজায়েয ও হারাম। তবে সরকারি বাধ্যতামূলক হলে সেগুলোর রুখসত থাকবে।
(৩) হ্যা,ভবিষ্যতে টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে এবং মূল প্রদত্ত অর্থের অতিরিক্ত গ্রহণ না করার নিয়তে যদি পেনশন পলিসি গ্রহন করা হয়, তাহলে সেটা নাজায়েয হবে না।
(৪) আপনার একটি ডিপিএস আছে, সেটার লভ্যাংশ বিনা সোয়াবের আশায় দান করার আপনার ইচ্ছা আছে। সেটাকে আপনার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখায় খরচ করতে পারবেন, যদি আপনার বাবা সামর্থ্যহীন থাকেন। নতুবা কোনো এতিম খানায় বা গরীব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।