আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (24 points)
আমরা ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারী কলেজে ক্লাস শুরু করেছিলাম। সেই হিসেবে প্রতিবছর এই দিনটাকে ব্যাচডে হিসেবে পালন করা হয়। এবারও পালন করা হবে, তাই সবার থেকে ২৫০/- করে নেওয়া হয়েছে। এখানে এবার গান বাজনা হবেনা তবে কেক কাটা, ফানুস ওরানো, ফটোসেশান হবে। টিচাররা থাকবে আর আমাদের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা। সবার দ্বীনের বুঝ নাই তাই এখানে ম্যাক্সিমামই বেপর্দা অবস্থায় থাকবে যা অবশ্যই গুনাহের কাজ। টাকা দিয়ে কনট্রিবিউট করা মানে তো এই গুনাহের কাজে সাহায্য করা। তাই আমাদের মধ্যে যাদের দ্বীনের বুঝ আছে আমরা কজন টাকা দিতে চাইনি। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে টাকা দিতেই হবে, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কোনো ভাবে ম্যানেজ করা যায় কিনা কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। টাকা দিতেই হবে। এখন যেহেতু আমরা একরকম বাধ্য টাকা দিতে তাহলে ওই প্রোগ্রামে যেই খাবারের ব্যবস্থা করা হবে তা খাওয়া কি আমাদের জন্য উচিত হবে? খাবারটা খেলে কি কোনো গুনাহ হবে আমাদের?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাচডে পালন করা কুসংস্কার ও বিজাতীয়দের অনুকরণ। সুতরাং তা নাজায়েয। এত্থেকে প্রত্যেক মুসলমানকে অবশ্যই অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে। যদি কেউ নিরুপায় হয়ে চাদা দিতে বাধ্য হয়, তাহলে তার জন্য তখন টাকা প্রদানের রুখসত থাকলেও তার মন যে অসন্তুষ্ট, সেটা সে প্রকাশ্যে বলে দিবে।এবং ঐ অনুষ্টানে অংশ গ্রহণ করবে না এবং সেই খাবারও সে গ্রহণ করবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...