ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।
সুতরাং কোনো এক অালেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব।এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাযহাবের মধ্যেও ইখতেলাফ হতে পারে। এজন্য ফুকাহায়ে কেরামের সাতটি স্থর রয়েছে। একদল ফুকাহায়ে কেরাম হলেন, আসহাবে তারজিহ স্থরের। মাযহাবে মধ্যে কোনো মাস'আলায় দ্বিমত থাকলে আসহাবে তারজিহ ফুকাহাগণ কোনো একটি মাস'আলাকে তারজিহ দিয়ে থাকেন। মাযহাবের মধ্যকার কোনো মাস'আলা উক্ত মাযহাবের ফকিহদের পরস্পসর বিরোধী বক্তব্য সকল মাযহাবেই রয়েছে। এই দ্বিমত প্রমাণ করে, মাযহাব মানার অর্থ অন্ধ অনুকরণ নয়।
নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত জায়েয। এটাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বিদ'আত হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/472