জবাবঃ
ইশরাক নামাযের ফযিলতঃ
হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الغداة في جماعة ثم قعد يذكر الله حتى تطلع الشمس، ثم صلى ركعتين كانت له كأجر حجة وعمرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تامة تامة تامة.(هذا حديث حسن غريب)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)
ইমাম তিরমিযি রাহ উক্ত হাদীসকে হাসান বলেছেন।তাছাড়া হযরত জবির রাযি থেকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দৈনন্দিন আদত বা অভ্যাস বর্ণিত রয়েছে,
عن جابر بن سمرة، قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا صلى الفجر قعد في مصلاه حتى تطلع الشمس.
هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাঃ ফজরের নামায পড়ার পর সূর্যোদয় পর্যন্ত জায়নামাযেই বসে থাকতেন।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৫)অর্থাৎ ইশরাকের জন্যই বসে থাকতেন
এই হাদীস সমূহ দ্বারা ইশরাকের নামাযই উদ্দেশ্য। কেননা সূর্যোদয়ের দিনের প্রথমভাগে যে নামায পরা হয় সেটার নাম ইশরাক।
হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নাসায পড়বে।
তবে যদি কোথাও ফরয নামায পরবর্তী মসজিদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়,বা যদি কেউ ফরয নামায পরবর্তী নামায মসজিদে বসার সুযোগ না পায়,তাহলে এমতাবস্থায় সে যদি বাড়িতেই ই নামায পড়ে নেয়।তাহলে আশা রাখা যায় যে, কে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়া পাবে।তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না, আর করলে সে সওয়াব পাবে নাll
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর ঘুমালে পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।