আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (28 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

১/ আরাফাতের ময়দানে পাথরে নিজের নাম লিখলে লাভ কি বা না লিখে আসলে ক্ষতি কি?

২/ বার বার উমরাহ করতে গেলে আইশা মসজিদে গোসল দিতে হয়? যদি কেউ করে আসে কি করতে হবে এখন?
৩/ জান্নাতুল বাকী যিয়ারত কীভাবে করতে হয়?

উমরাহতে মসজিদে নববীতে বা মদীনায় কি কি করতে হয় নিয়মসহ বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি!


৪/ বিদায়ী তাওয়াফের নিয়ম কি?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আরাফাতের ময়দানে পাথরে নিজের নাম লিখলে কোনো লাভ হবে,এ সম্পর্কে হাদীসে কিছুই নেই।
সুতরাং এক্ষেত্রে কোনো লাভ নেই।
না লিখে আসলে কোনো ক্ষতি নেই।

(০২)
বার বার উমরাহ করতে গেলে আইশা মসজিদে গোসল করা আবশ্যক নয়।
তবে বাহির দেশের কেহ এক সফরে ২য় বা ৩য় বার ওমরাহ করতে চাইলে সেখান থেকে ইহরাম বাধতে পারবেন। 

মসজিদে আয়েশা মক্কার তানঈম এলাকায় অবস্থিত। হেরেমের বাইরে এহরাম বেঁধে ওমরাহ করার এটি মক্কা থেকে সর্বাধিক নিকটবতী স্থান। মক্কা থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার উত্তরে মক্কা-মদিনা রোড তরীক আল হিজরতে অবস্থিত। 

এই মসজিদ থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধা যায়। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রা. এখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে উমরা করেছিলেন। পরে সেখানে একটি বিশাল মসজিদ গড়ে উঠে। 

বিদায় হজ্জের সময় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রা.- কে তার ভাই হজরত আবদুর রহমান রা.-এর সঙ্গে হারামের বাইরে এখান থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধার জন্য পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে এখান থেকে মক্কাবাসীরা ওমরার জন্য ইহরাম বেঁধে থাকেন।

বিদেশি হাজিরাও কোন সফরের দ্বিতীয়-তৃতীয় ওমরার জন্য ওখান থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে থাকেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَهْلَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَكُنْتُ مِمَّنْ تَمَتَّعَ، وَلَمْ يَسُقِ الْهَدْىَ، فَزَعَمَتْ أَنَّهَا حَاضَتْ، وَلَمْ تَطْهُرْ حَتَّى دَخَلَتْ لَيْلَةُ عَرَفَةَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ لَيْلَةُ عَرَفَةَ، وَإِنَّمَا كُنْتُ تَمَتَّعْتُ بِعُمْرَةٍ. فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْقُضِي رَأْسَكِ، وَامْتَشِطِي، وَأَمْسِكِي عَنْ عُمْرَتِكِ ". فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ فَأَعْمَرَنِي مِنَ التَّنْعِيمِ مَكَانَ عُمْرَتِي الَّتِي نَسَكْتُ.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলাম। আমিও তাদেরই একজন ছিলাম যারা তামাত্তুর নিয়্যত করেছিল এবং সঙ্গে কুরবানীর পশু নেয়নি। তিনি বলেনঃ তার হায়েয শুরু হয় আর আরাফা এর রাত পর্যন্ত তিনি পাক হননি। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আজ তো আরাফার রাত, আর আমি হজ্জের সঙ্গে উমরারও নিয়্যত করেছি। আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ মাথার বেণী খুলে ফেল, চুল আঁচড়াও আর উমরা হতে বিরত থাক। আমি তাই করলাম। হজ্জ সমাধা করার পর আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর (রহঃ) কে ‘হাসবায়’ অবস্থানের রাতে (আমাকে উমরা করানোর) নির্দেশ দিলেন। তিনি তানঈম হতে আমাকে ‘উমরা করালেন, যেখান হতে আমি ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। (বুখারী শরীফ ৩১৬.২৯৪) (আ.প্র. ৩০৫, ই.ফা. ৩১০)

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
জান্নাতুল বাকী জিয়ারতের নিয়মঃ-

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূল (সা.) প্রায় সময়ই শেষ রাতে কবর জিয়ারত করতেন। তাই সম্ভব হলে শেষ রাতে কবর জিয়ারত করা উত্তম। কেননা মন তখন অধিক নরম থাকে। তাছাড়া অন্য সময়ও কবর জিয়ারত করা রাসূল (সা.) থেকে প্রমাণিত। অধিকাংশ আলেমের মতে, জুতা-স্যান্ডেল পায়ে রেখে কবরের কাছে যাওয়া যায়। তবে ইমাম আহমদের মতে, প্রয়োজন না হলে জুতাসহ যাওয়া মাকরুহ। (ফিকহুস সুন্নাহ)। 

জিয়ারতকারী যখন কবরের কাছে পৌঁছবে, মৃত ব্যক্তির মাথা বরাবর কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে। জিয়ারতকারী কবরবাসীকে সম্বোধন করে সালাম দেবে এবং তাদের জন্য মহান প্রভুর কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করবে। এ ক্ষেত্রে হাত তুলে ও না তুলে উভয় অবস্থায় দোয়া করা যাবে। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বাকি কবরস্থানে পৌঁছে হাত উঠিয়ে দোয়া করেছিলেন। (মুসলিম) 

জিয়ারতের দোয়া : 

আয়েশা (রা.) বলেন, 

قَالَتْ قُلْتُ كَيْفَ أَقُولُ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " قُولِي السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَلاَحِقُونَ " .
আমি রাসূলকে (সা.) জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। কবরবাসীকে কী বলব? তখন তিনি বললেন, হে আয়েশা তুমি বলবে, ‘মু'মিন ও মুসলমানদের বাসভূমির অধিবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের মধ্যে থেকে যারা আগে আগে চলে গেছে এবং যারা পেছনে রয়েছে আল্লাহ তাদের সবার ওপর করুণা বর্ষণ করুন। ইনশাআল্লাহ আমরা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। (মুসলিম ২১৪৬,(ইসলামী ফাউন্ডেশন, ২১২৫, ইসলামীক সেন্টার ২১২৮)

মসজিদে নববীতে করনীয়,এ বিষয়ে সুন্নত তরীকাগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
(১) মসজিদে নববী যিয়ারতের সাথে হজ্জ বা উমরার কোন সম্পর্ক নেই। এটা আলাদা ইবাদত। বছরের যে কোন সময় এটা করা যায়। এটা হজ্জের রুকন, ফরয বা ওয়াজিব কিছুই নয়। এটা স্বতন্ত্র মুস্তাহাব ইবাদত। 

(২) পবিত্র মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়তে মদ্বীনা মুনাওয়ারা রওনা দেবেন। সেখানে পৌঁছে সালাত আদায়ের পর আপনি নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করবেন। কিন্তু আপনার সফরটি কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে হবে না। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কষ্টসাধ্য সফর করা শরীয়তে জায়েয নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ -صلى الله عليه وسلم- وَمَسْجِدِ الْأَقْصَى
অর্থাৎ, (ইবাদতের নিয়তে) মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আকসা ব্যতীত কঠিন ও কষ্টসাধ্য সফরে যেও না। (বুখারী ১১৮৯)

এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কঠিন সফরে যাওয়া বৈধ নয়। কিন্তু সফররত অবস্থায় পথিমধ্যে আপনার কোন আত্মীয় বা কোন অলী-আওলিয়ার কবর সামনে পড়লে আপনি তা যিয়ারত করতে পারেন। মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলত রয়েছে। হাদীসে আছেঃ
صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ
অর্থাৎ, আমার এ মসজিদে নববীতে সালাত আদায় অপরাপর মসজিদের এক হাজার সালাতের চেয়েও বেশী সাওয়াব। (ইবনে মাজাহ ১৪০৪)

(৩) মুস্তাহাব হল প্রথমে ডান পা আগে দিয়ে মসজিদে নববীতে প্রবেশ করবেন এবং পড়বেনঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ - بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ - اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ -
এ দোয়াটি অন্যান্য যে কোন মসজিদে ঢুকার সময়ও পড়া যায়।

(৪) মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকআত দুখুলুল মসজিদ অথবা অন্য যে কোন সালাত আপনি আদায় করতে পারেন। অতঃপর আপনার ইচ্ছা মোতাবেক দোয়া মুনাজাত করতে থাকবেন। উত্তম হলো এগুলো রিয়াদুল জান্নাতে বসে করা। আর এ স্থানটি হলো মসজিদটির মিম্বর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মধ্যবর্তী অংশের জায়গাটুকু। এ স্থানটি সাদা কার্পেট বিছিয়ে নির্দিষ্ট করা আছে। ভীড়ের কারণে সেখানে জায়গা না পেলে মসজিদের যে কোন স্থানে বসে সালাত আদায় ও দোয়া-দরূদ পড়তে পারেন।

(৫) সালাত আদায়ের পর কবর যিয়ারত করতে চাইলে আদব, বিনয়-নম্রতা ও নিচু স্বরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে এভাবে তাঁকে সালাম দিনঃ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ - اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ - اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
অথবা এতদসঙ্গে আপনি এভাবেও বলতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
রাসূলুল্লাহ  নিজেই বলেছেনঃ
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلاَّ رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ
অর্থাৎ ‘‘যে কেউই আমাকে সালাম দেয় তখনই আললাহ তা‘আলা আমার রূহকে ফেরত দেন, অতঃপর আমি তার সালামের জবাব দেই।’’ (আবূ দাউদ ২০৪১)

(৬) এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ - اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।

(৭) যিয়ারতের সময় অত্যন্ত সাবধান থাকবেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোন সাহায্য চাওয়া যাবে না। রোগমুক্তি বা কোন মকসূদ পূরণের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা মৃত কবরবাসীদের কাছে কোন কিছু যাওয়া যায় না। চাইতে হবে শুধু আল্লাহ গাফূরুর রাহীমের কাছে। 

(৮) 
যেহেতু আল্লাহ আপনাকে মদ্বীনা মুনাওয়ারায় পৌঁছার তাওফীক দিয়েছেন সেহেতু আমাদের পুরুষদের জন্য সুন্নাত হল ‘‘জান্নাতুল বাকী’’ কবরস্থান যিয়ারত করা। এটা মদ্বীনার কবরস্থান। সেখানে শায়িত আছেন উসমান রাদিআল্লাহু আনহুসহ অসংখ্য সাহাবায়ে কিরাম। হামযা রাদিআল্লাহু আনহুসহ উহুদ যুদ্ধের শহীদগণ উহুদ প্রান্তে শায়িত আছেন। যিয়ারতের সময় তাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। তাদের কবর যিয়ারতের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের এ দোয়াটি পড়তেন যা সহীহ মুসলিমে আছেঃ
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاূءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ يَرْحَمُ اللهُ المستقدمين منا والمستأخرين نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ

কবর যিয়ারতে আমাদেরকে উৎসাহিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
زُورُوا الْقُبُورَ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُكُمُ الآخِرَةَ
‘‘তোমরা কবর যিয়ারত কর, কেননা এ যিয়ারত তোমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’’(মুসলিম ৯৭৬)

কবর যিয়ারতের মূল উদ্দেশ্য হল, আখেরাতের কথা স্মরণ করা এবং দোয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির উপকার করা। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে যে, কোন অবস্থাতেই মৃত ব্যক্তির কাছে কিছুই চাওয়া যাবে না। চাইলে শির্ক হয়ে যাবে আর শির্ক ঈমান থেকে বহিস্কার করে দেয়। ফলে সে আর মুসলিম থাকে না। অতএব যাই আপনি চাইবেন তা শুধু আল্লাহর কাছেই চাইবেন।

(৯) মদ্বীনা শরীফ গমনকারীদের জন্য মুসতাহাব হল ‘‘মসজিদে কুবা’’ যিয়ারত করা এবং সেখানে সালাত আদায় করা। কেননা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কিছুতে আরোহণ করে বা পায়ে হেঁটে যখনই এখানে আসতেন তখন তিনি এখানে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِه، ثُمَّ أَتٰى مَسْجِدَ قُبَاءَ فَصَلَّى فِيهِ صَلاَةً كَانَ لَه، كَأَجْرِ عُمْرَةٍ
‘‘যে ব্যক্তি তার বাড়ীতে পবিত্রতা অর্জন করল, অতঃপর মসজিদে কুবায় এসে সালাত আদায় করল সে একটি উমরা করার সাওয়াব অর্জন করল।’’ (ইবনে মাজাহ ১৪১২)
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

(০৪)
বাংলায় এটিই নাম,যাহা প্রশ্নে উল্লেখিত আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
৪নং প্রশ্নের নিয়ম জানতে চাচ্ছি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
0 votes
1 answer 138 views
...