আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
edited by
১. https://ifatwa.info/65372/ এই লিংকের ১নং ও ২নং এ এর উত্তরে আপনি বলেছেন বইগুলো পাক। সেক্ষেত্রে, ভেজা হাতে বই স্পর্শ করলে কিংবা মুখের লালা লাগলেও কি নাপাকি ছড়াবে বা নাপাক হবে?

২. প্রায় ১৮ কাঠা (কম ও হতে পারে) জুরে একটি ফিশারি আছে। তবে খুব বেশী পানি নেই। সেই ফিশারিতে নাপাক কাপড় একবার কচলিয়ে ধৌত করলে কি কাপড়ের জুতা কিংবা অন্যান্য কাপড় নাপাক হবে?

৩. সেই ফিশারিতে আমি একাধিক বার বীর্যযুক্ত হাত ধুয়েছি প্রায় ৭-৮ দিন আগে এবং অনেক সময় প্রশ্রাব সেই ফিশারিতে পড়ে। সেই ফিশারিতে কি কাপড় পাক হবে?

৪. প্রত্যেকটা নাপাক কাপড় ধুয়ার পর কি পানি সরিয়ে দিতে হবে?

৫. কাপড় ধোয়ার পরও কাপড় ধুইছি কি না মনে করতে পারিনা। এক্ষেত্রে করণীয় কি? আমার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে ধুইছি। কিন্তু, তারা আমার কষ্ট কমানোর জন্য মিথ্যাও বলে থাকতে পারে। কারণ, একবার তারা আমাকে তাদের লেপ দিয়া বলেছিল এটা আমার লেপ। এক্ষেত্রে, আমি কিভাবে বুঝবো নাপাক কাপড় আসলেই ধুইছি কি না? আমার প্রায়ই ধুইলে মনে থাকে না।

৬. টিউবওয়েলের পাশে বীর্যযুক্ত কাপড় ধোয়ার পানি জমে থাকলে সেই জায়গা কতদিন নাপাক থাকবে? কারণ সেই জায়গায় প্রায় সময়ই পানি পড়ে।

৭. পাক নাকি নাপাক এই ধরনের সম্ভবনা আসলেই সেটা পাক ধরে নিয়ে চলাটা কি উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এক্ষেত্রে, ভেজা হাতে বই স্পর্শ করলে কিংবা মুখের লালা লাগলেও নাপাক হবেনা।

(০২)
https://ifatwa.info/23365/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ : " أَنَّهُ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُطْرَحُ فِيهَا الْحِيَضُ وَلَحْمُ الْكِلَابِ وَالنَّتْنُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:  الْمَاءُ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ"
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বুজা'আহ কুপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,আমরা কি বুজা'আহ কুপ থেকে অজু করবো?
বুজা'আহ এমন এক কুপ, যাতে হায়েযের কাপড়,কুকুরের গোশত এবং অপবিত্র ও ময়লা জিনিষ ফেলা হয়ে থাকে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,(বেশী পরিমাণ হলে)পানি পবিত্র,তাকে কোনো জিনিষ অপবিত্র বানাতে পারে না।
(সুনানে আবি-দাউদ-৬৬,সুনানে তিরমিযি-৬৬, সুনানে নাসাঈ-৩২৬,সুনানে আহমদ-১১২৫৭)

হযরত আবু-উমামা বাহিলি রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:   إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ، إِلَّا مَا غَلَبَ عَلَى رِيحِهِ وَطَعْمِهِ وَلَوْنِهِ
ابن ماجه (521) ، والدارقطني (47) ، والبيهقي (1226) ، والطبراني في "الكبير" (7503)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় পানি পবিত্র, তাকে কোনো জিনিষই অপবিত্র বানাতে পারে না।তবে যদি স্বাদে,গন্ধে কিংবা রংয়ে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসে,তাহলে তা অপবিত্র হিসেবে গণ্য হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-৫২১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শুধু ১৮ কাঠা হলেই হবেনা,চারদিক থেকে দশ, দশ স্কয়ার বর্গহাত হতে হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত পুকুর  যদি দশ, দশ স্কয়ার বর্গহাত পুকুর হয়,তাহলে তাতে এভাবে নাপাক কাপড় একবার কচলিয়ে ধৌত করলে কাপড়ের জুতা কিংবা অন্যান্য কাপড় নাপাক হবেনা।

(৩-৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত পুকুর  যদি দশ, দশ স্কয়ার বর্গহাত কুপ হয়,সেক্ষেত্রে যেখান থেকে কাপড় ধৌত করবে, সেখানের পানিতে নাপাকির চিন্হ, গন্ধ/রং দেখা না গেলে উক্ত স্থানে কাপড় ধৌত করা যাবে। 

★এমতাবস্থায় প্রত্যেকটা কাপড় ধোয়ার পর সেখানে নাপাকির চিন্হ, গন্ধ/রং দেখা না গেলে পান সড়িয়ে নিতে হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে ধুয়েছেন বলেই ধরে নিবেন।

(০৬)
সেই জায়গা থেকে পানি গুলো চলে না যাওয়া পর্যন্ত নাপাকই থাকবে।

(০৭)
সেখানে নাপাকি পড়া না পড়া সংক্রান্ত কোনো কিছু না জানলে এবং নাপাকির চিন্হ, গন্ধ/রং পাওয়া না গেলে সেই স্থানকে পাক ধরে নিয়ে চলতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...