আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)
edited by


১. স্ত্রীকে কাবিননামার ১৮,১৯ বাদে মৌখিকভাবে তালাক গ্রহণের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা - সে বিষয়ে সন্দেহ হলে কোনটি গ্রহণযোগ্য হবে? অধিকার দেওয়া হয়েছে নাকি হয় নি?

২. কাবিননামায় অধিকার দেওয়া থাকুক বা না থাকুক; স্বামী কি মুখে বলার মাধ্যমে স্ত্রীকে যখন তখন তালাক গ্রহণের অধিকার দিতে বা ফেরত নিতে পারে?
হুজুর আপনি বলেছেন যে, "পারে"। তারপরেও প্রশ্নটি করলাম। কারণ ফেরত নিতে পারে কিনা তা আপনি বলেন নি।

৩.  আমি এক হুজুরের কাছে তালাকের মাসয়ালা নিতে যাওয়া সময় মনে মনে বলেছিলাম, "আল্লাহ তালাক যেন না হয়, কারণ তালাক হলে আমাদেরকে হারাম সম্পর্কে থাকা লাগবে আমরা হয়ত আলাদা হব না। তাই দয়া করে পরিক্ষা নিও না। আমাদের যেন তালাক না হয়।"
হুজুর মাসয়ালা দিয়েছিলেন যে, "তালাক হয় নি"।
A. আমার দোয়া করার কারণে কোনো সমস্যা হয়েছে?

B. মাসয়ালা নেওয়ার পরে যদি চিন্তা করে থাকি যে, "হুজুর তালাক হয়েছে মাসয়ালা দিলে অন্য মাযহাব থেকে মাসয়ালা নিতাম।"
আমি জানি অন্য মাযহাব থেকে মাসয়ালা নেওয়া যায় না। তবে আমার এমন চিন্তার কারণে কোনো সমস্যা হয়েছে? বা হুজুর "তালাক হয় নি" মাসয়ালা দিলেন- সেই মাসয়ালাটি কি পরিবর্তন হয়েছে? আমি হানাফি

৪.   ধরুন, কেউ ব্যবসা করছে তবে তার ইনভেস্টের টাকাটি ১০০% বৈধ কিনা তা সে জানে না। আবার তার এবং তার স্ত্রীর সম্পর্ক ১০০% বৈধ কিনা সে জানে না। ব্যক্তিটি যদি মনে করে যে, সম্পর্ক এবং ব্যবসা হালাল বা হারাম কি হয় হোক, টেনশন বাদ দিয়ে চালিয়ে যাই। ব্যক্তিটির এমন মনে করার কারণে কি তার সম্পর্ক এবং ব্যবসা হারাম হয়ে যাবে?
(ঐখানে উল্লেখ্য যে, তাদের সম্পর্ক এবং ইনভেস্টের টাকা হালাল আছে। তবে সেই ব্যক্তিটি এ ব্যাপারে জানে না। সে না জানার কারণে চিন্তিত আছে যে, হালাল হয় নাকি আবার হারাম হয়। তাই সে চিন্তা বাদ দিয়ে ধরে নিয়েছে যে, কি হয় হোক চালিয়ে যাই)

৫.  কেউ যদি হুরমতের নিয়তে তার স্ত্রীকে বলে যে, "মানুষ তোমাকে দেখছে বা দেখবে"
"মানুষকে দেখাও আরও (মানে সে যেন নিজেকে মানুষকে না দেখায়"
তাহলে সমস্যা হবে?

. আপনার এসব গালির চুড়ান্ত পর্যায়ের অমানবিকতা। এখানে এমন কিছু গালি রয়েছে, যেইসব গালির কারণে আপনার উপর দোররা তথা ৮০ টি বেত্রাঘাত আসবে।তবে তালাক হবে না।   হুজুর এসব হলো আপনার বক্তব্য। তবে আমার এখন শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে?

৭. আমার ছোট ছেলেটি (বয়স ১০ মাস) আমার স্ত্রীকে হাত দিয়ে মারছিল। আমি আমার স্ত্রীকে বলছিলাম যে, "ও তোমাকে আদর করছে"। আমি যদি হুরমত, তালাক বা যিহারের নিয়তে কথাটি বলে থাকি তবে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্ত্রীকে কাবিননামার ১৮,১৯ বাদে মৌখিকভাবে তালাক গ্রহণের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা - সে বিষয়ে সন্দেহ হলে অধিকার দেওয়া হয় নাই সেটাই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

(২) কাবিননামায় অধিকার দেওয়া থাকুক বা না থাকুক; স্বামী মুখে বলার মাধ্যমে স্ত্রীকে যখন তখন তালাক গ্রহণের অধিকার দিতে। অধীকার দেয়া কয়েকভাবে হতে পারে। অস্থায় অধিকার দেয়া স্থায়ী অধিকার দেয়া। অধিকার দেয়ার পর আর ফিরিয়ে নেয়া যাবে না।

(৩) আমি এক হুজুরের কাছে তালাকের মাসয়ালা নিতে যাওয়া সময় মনে মনে বলেছিলাম, "আল্লাহ তালাক যেন না হয়, কারণ তালাক হলে আমাদেরকে হারাম সম্পর্কে থাকা লাগবে আমরা হয়ত আলাদা হব না। তাই দয়া করে পরিক্ষা নিও না। আমাদের যেন তালাক না হয়।"
হুজুর মাসয়ালা দিয়েছিলেন যে, "তালাক হয় নি"।

(A)আপনার  দোয়া করার কারণে কোনো সমস্যা হয়নি।
(B)মাসয়ালা নেওয়ার পরে যদি চিন্তা করে থাকেন যে, "হুজুর তালাক হয়েছে মাসয়ালা দিলে অন্য মাযহাব থেকে মাসয়ালা নিতাম।"
এমন চিন্তা স্পষ্টত গোমরাহি। এরকম।কোনো চিন্তা আর কখনো করবেন না।

(৪)কেউ ব্যবসা করছে তবে তার ইনভেস্টের টাকাটি ১০০% বৈধ কিনা তা সে জানে না। আবার তার এবং তার স্ত্রীর সম্পর্ক ১০০% বৈধ কিনা সে জানে না। ব্যক্তিটি যদি মনে করে যে, সম্পর্ক এবং ব্যবসা হালাল বা হারাম কি হয় হোক, টেনশন বাদ দিয়ে চালিয়ে যাই। ব্যক্তিটির এমন মনে করার কারণে তার সম্পর্ক এবং ব্যবসা হারাম হয়ে যাবে না। বাস্তবে দেখতে হবে, হালাল হলে হালাল আর হারাম হলে হারাম।


(৫)কেউ যদি হুরমতের নিয়তে তার স্ত্রীকে বলে যে, "মানুষ তোমাকে দেখছে বা দেখবে"
"মানুষকে দেখাও আরও (মানে সে যেন নিজেকে মানুষকে না দেখায়"
তাহলে সমস্যা হবে না।

(৬)আপনার এসব গালির চুড়ান্ত পর্যায়ের অমানবিকতা। এখানে এমন কিছু গালি রয়েছে, যেইসব গালির কারণে আপনার উপর দোররা তথা ৮০ টি বেত্রাঘাত আসবে।তবে তালাক হবে না।   হুজুর এসব হলো আপনার বক্তব্য। 


আপনি প্রথমে স্ত্রীর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবেন।তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। 

(৭)আমার ছোট ছেলেটি (বয়স ১০ মাস) আমার স্ত্রীকে হাত দিয়ে মারছিল। আমি আমার স্ত্রীকে বলছিলাম যে, "ও তোমাকে আদর করছে"। 
আপনি হুরমত, তালাক বা যিহারের নিয়তে কথাটি বলে থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...