সামর্থ্য থাকলে কি পুর ফান্ড এ পড়া যাবে?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ  কেও যদি iom এ পুর ফান্ডে যখন আবেদন  করে তখন  তার পরিবারের অবস্থা বেশি ভালোনা তাকে মাসে ৫০০ টাকা দিবেনা ইলম অর্জনে তার পরাশোনার খরচ  সে নিজের টিওশন দিয়ে দিতো এখন তার স্টুডেন্ট  বাড়সে টাকা ও বেশি হইসে মাসে কিছু  টাকা থাকে এখন উস্তায বলসিলো কিছু টাকা হজ্ব এর জন্য জমানোর জন্য  তার অনেক ইচ্ছে  জমাবে আবার মনে হয় iom এর টাকা না দিয়ে জমালে কি হজ্ব হবেনা অনেক চিন্তা কাজ করে কারন যখন পুর ফান্ডে আবেদন  করসিলো তখন তার ৫০০ টাকায় পড়ার সামর্থ্য  ছিলনা  এখন সে কি করবে? এখন কি পুরো টাকা iom এ দিবে যদি না দিয়ে জমায় তাহলে কি গুনাহ হবে? কারন iom এ তো কোনো  রুলস ছিলনা যে কোনোসময় সামর্থ্য  হলে পুরোটাকা দিতে হবে?  এখন কি করবো উস্তায?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সামর্থ্য যখন হবে তখন পূর্ণ ফিস দিতে হবে:

IOM এর রুলসে একথা ছিল কি না? এটা মূখ্য বিষয় নয়। আপনার সামার্থ্য নাই বিধায় আপনি গরীব ফান্ডে আবেদন করেছিলেন।এখন যেহেতু সামর্থ্য হয়েছে, তাই নীতিগতভাবে আপনি পূর্ণ টাকা IOM কে দিবেন। IOMকে পূর্ণ টাকা না দিয়ে হজ্বের জন্য টাকা জমানো কখনো উচিৎ হবে না।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।