ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম খেলে দু'আ ইবাদত কিছুই কবুল হওয়ার আশা রাখা যায় না। হারাম মাল হাদিয়া দিলেও গ্রহণ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবাকে বুঝাবেন যে, উনার চাকুরী সুদের সাহায্য মূলক থাকলে, সেই চাকুরী ও চাকুরী বাবৎ প্রাপ্ত ট্কা হারাম ছিল। এগুলো এখন সদকাহ করতে হবে। এবং কোনো প্রকার পেনশন ইত্যাদি গ্রহণ করা যাবে না। হ্যা, আপনি ১০হাজার টাকা দিয়ে ঘরের যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করে নিয়ে আসবেন।আপনার বাবা যে জিনিষপত্র ক্রয় করবে, সেগুলো আপনি/আপনার স্ত্রী গ্রহণ করবেন না।