আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ মুহতারাম।আমরা প্রায়শই দেখি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সময় কোর'আন ও হাদিস থেকে বিভিন্ন কোট(quote) করা হয়।অনেকসময় দেখা যায় যে, যে আয়াতটি বলা হলো তার অর্থ সাধারণ ভাবে বর্তমান বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও মূল আয়াতটি মূলত অন্য একটি বিধানের উপর নির্ভরশীল। উদাহরণ স্বরুপ আমার মনে যেকারণে প্রশ্নটি এসেছে সে বিষয়টি বলছি।হাদিয়া দেয়া-নেয়া বিষয়ে আমি একটু ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে অনলাইনে একজনকে সূরা নিসা'র ৪ নং আয়াতের শেষাংশ উল্লেখ করতে দেখলাম এভাবে-''তারা যদি খুশি হয়ে তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো।''কিন্তু মূল আয়াতটি ঘেটে দেখলাম তার আগে দেনমোহরের বিষয় আনা হয়েছে।অর্থাৎ এই হাদিয়া কি সাধারণ সকল হাদিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে?নাকি এটি আলাদা?

তাছাড়া কোর'আনের আয়াত বিভিন্ন জায়গায় কোটেশন করার কোনো নিয়ম ও বিধান রয়েছে কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:

﴿ الٓرۚ كِتَٰبٌ أُحۡكِمَتۡ ءَايَٰتُهُۥ ثُمَّ فُصِّلَتۡ مِن لَّدُنۡ حَكِيمٍ خَبِيرٍ ١ ﴾ [هود: ١]
এটি কিতাব যার আয়াতসমূহ সুস্থিত করা হয়েছে, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত সত্ত্বার পক্ষ থেকে। (সূরা হুদ: ১১: ১)

,
কুরআন নিজেই সবকিছুর ব্যাখ্যা تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ (নাহল ১৬/৮৯)। 
.
★সুতরাং কুরআনের আয়াতের ভিতর অনেক কিছুই আছে,অনেক আহকাম আছে,যাহা বিশেষজ্ঞরা ছাড়া সাধারণ ব্যাক্তিবর্গরা তেমন অনুধাবন করতে পারেনা।
,  
এই জন্যই কুরআনের আয়াতের সাথে কোনো মাসয়ালার কিছু অংশ মিলে গেলেই সেটা দিয়ে দিয়ে ফুকাহায়ে কেরামগন দলিল দিয়ে থাকেন।

তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো
★ভালো মানের আলেম হতে হব্র,যে সব অর্থ ভালো ভাবে বুঝতে পারে,তাফসীরও জানে।
★পুরো আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে যেনো  ব্যপারটি এমন না হয় যে এটা এই আয়াত দিয়ে কোনো ভাবেই দলিল দেওয়া যাবেনা।
★সামঞ্জস্য কিছু হলেও মিল থাকতে হবে। 
 ★শব্দসমূহ বা অর্থ সমুহকে বিকৃত না করে তার প্রকাশ্য অর্থে ব্যবহার করে কোনো জায়েজ কাজের দলিল দেওয়া গেলে সেটা দলিল দেওয়া যাবে।
,
ইরশাদ হয়েছে:
﴿ ۞أَفَتَطۡمَعُونَ أَن يُؤۡمِنُواْ لَكُمۡ وَقَدۡ كَانَ فَرِيقٞ مِّنۡهُمۡ يَسۡمَعُونَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُۥ مِنۢ بَعۡدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ٧٥ ﴾ [البقرة: ٧٥]
তোমরা যারা বিশ্বাসী কি এই আশা করছ যে, তারা তোমাদের প্রতি ঈমান আনবে? অথচ তাদের একটি দল ছিল যারা আল্লাহর বাণী শুনত অতঃপর তা বুঝে নেয়ার পর তা তারা বিকৃত করত জেনে বুঝে। (সূরা আল বাকারা: ২: ৭৫)

অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:
﴿ مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَيَقُولُونَ سَمِعۡنَا وَعَصَيۡنَا﴾ [النساء: ٤٦]
ইয়াহূদীদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কালামসমূহকে তার স্থান থেকে পরিবর্তন করে ফেলে এবং বলে, ‘আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম’। (সূরা আন-নিসা: ৪: ৪৬)
,
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদিও তাহা দেন মোহরের ক্ষেত্রেই হোক,মতলক হাদিয়ার ক্ষেত্রেও দলিল দেওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...