জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:
﴿ الٓرۚ كِتَٰبٌ أُحۡكِمَتۡ ءَايَٰتُهُۥ ثُمَّ فُصِّلَتۡ مِن لَّدُنۡ حَكِيمٍ خَبِيرٍ ١ ﴾ [هود: ١]
এটি কিতাব যার আয়াতসমূহ সুস্থিত করা হয়েছে, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত সত্ত্বার পক্ষ থেকে। (সূরা হুদ: ১১: ১)
,
কুরআন নিজেই সবকিছুর ব্যাখ্যা تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ (নাহল ১৬/৮৯)।
.
★সুতরাং কুরআনের আয়াতের ভিতর অনেক কিছুই আছে,অনেক আহকাম আছে,যাহা বিশেষজ্ঞরা ছাড়া সাধারণ ব্যাক্তিবর্গরা তেমন অনুধাবন করতে পারেনা।
,
এই জন্যই কুরআনের আয়াতের সাথে কোনো মাসয়ালার কিছু অংশ মিলে গেলেই সেটা দিয়ে দিয়ে ফুকাহায়ে কেরামগন দলিল দিয়ে থাকেন।
তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো
★ভালো মানের আলেম হতে হব্র,যে সব অর্থ ভালো ভাবে বুঝতে পারে,তাফসীরও জানে।
★পুরো আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে যেনো ব্যপারটি এমন না হয় যে এটা এই আয়াত দিয়ে কোনো ভাবেই দলিল দেওয়া যাবেনা।
★সামঞ্জস্য কিছু হলেও মিল থাকতে হবে।
★শব্দসমূহ বা অর্থ সমুহকে বিকৃত না করে তার প্রকাশ্য অর্থে ব্যবহার করে কোনো জায়েজ কাজের দলিল দেওয়া গেলে সেটা দলিল দেওয়া যাবে।
,
ইরশাদ হয়েছে:
﴿ ۞أَفَتَطۡمَعُونَ أَن يُؤۡمِنُواْ لَكُمۡ وَقَدۡ كَانَ فَرِيقٞ مِّنۡهُمۡ يَسۡمَعُونَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُۥ مِنۢ بَعۡدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ٧٥ ﴾ [البقرة: ٧٥]
তোমরা যারা বিশ্বাসী কি এই আশা করছ যে, তারা তোমাদের প্রতি ঈমান আনবে? অথচ তাদের একটি দল ছিল যারা আল্লাহর বাণী শুনত অতঃপর তা বুঝে নেয়ার পর তা তারা বিকৃত করত জেনে বুঝে। (সূরা আল বাকারা: ২: ৭৫)
অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:
﴿ مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَيَقُولُونَ سَمِعۡنَا وَعَصَيۡنَا﴾ [النساء: ٤٦]
ইয়াহূদীদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কালামসমূহকে তার স্থান থেকে পরিবর্তন করে ফেলে এবং বলে, ‘আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম’। (সূরা আন-নিসা: ৪: ৪৬)
,
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদিও তাহা দেন মোহরের ক্ষেত্রেই হোক,মতলক হাদিয়ার ক্ষেত্রেও দলিল দেওয়া যাবে।