ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
(সুরা বাকারা ১৮৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার এই ১৬ রমজানের রোযার কাজা আদায় করতে হবেনা।
বালেগ হওয়ার আগে তো আপনার উপর রোযা ফরজই ছিলোনা।
,
সুতরাং আপনি যেদিন বালেগ/বালেগাহ হয়েছিলেন,তারপর থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
কাজা আপনি যখন ইচ্ছা,সময় সুযোগ মোতাবেক একটি করে হোক,বা একাধিক হোক, আদায় করতে পারবেন। কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে লাগাতার আদায় শর্ত নয়।
(০২)
আপনি যেদিন বালেগ/বালেগাহ হয়েছিলেন,সেদিন থেকে নিয়ে হেদায়াত পাওয়ার পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিদিনের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে আগে আপনি হিসাব কষবেন।
বালেগ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ১৭ বছরে আগে কতদিন অতিবাহিত হয়েছে,প্রত্যেকদিনের ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও বিতির নামাজের কাজা নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া পদ্ধতিতে নিয়ত করে কাজা আদায় করবেন।
উমরি কাজা আদায়ের পদ্ধতি জানুনঃ-