আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর 

১. হুজুর আমার সব কথাতেই তালাক, যিহার, হুরমতের নিয়ত হয়। মনে করেন, কোনো কথা বলতে যাবো তার আগেই নিয়ত হয়ে যায়। আসলে অনেক সময় নিজেও নিয়ত করে ফেলি। তবে এসব আমার মনের নিয়ত নয়। আবার অনেক সময় ওয়াসওয়াসার কারণে নিয়ত চলে আসে। যাই হোক, কোনো কথা বলার আগে এমন নিয়ত চলে আসলে চুপ করে থাকি। কথাটি আর বলি না৷ বা বললেও তওবা করে নিয়ে তারপর বলি। আবার কথার মাঝখানে নিয়ত হলেও আটকে যাই,  মানে তওবা করি। তারপর বাকি কথাটুকু বলি।

তবে কখনো কখনো নিয়ত হলেও তওবা করি না বা চুপ করি না। যেটা বলতে চাই, সেটা বলে ফেলি। (এসব নিয়ত ওয়াসওয়াসার কারণে আসে। আবার ওয়াসওয়াসা প্রবণতার কারণে ইচ্ছা করেও নিয়ত নিয়ে আসি।)
বলার পরে মনে হয়, অন্য সময় তো নিয়ত করলে বা নিয়ত এলে চুপ করে থাকি, এখন কেন চুপ থাকলাম না? এখন কেন পরের কথাটুকু বললাম? - এসব ভেবে চিন্তা হতে থাকে।

যেমনঃ
আমার বাবা বাজারে এসে আমাকে ফোন দিয়ে একখানে দেখা করতে বলল। আমি আমার ওয়াইফকে বলতে চাচ্ছিলাম যে, "আব্বুর ওখানে যাওয়া লাগবে" (এই টাইপের কোনো একটা কথা বলছিলাম ঠিক মনে নেই৷ তবে বুঝাচ্ছিলাম যে, আমি গিয়ে দেখা করব।"
কিন্তু কথাটি বলার সময় নিয়ত হয় যে, আমি আমার ওয়াইফকে বলতেছি আমার আব্বুর কাছে যাওয়ার জন্য। তো আমার মনে হতে লাগল যে, আমার বউকে আমার বাবার কাছে কেন যেতে বললাম! আমি কি সেক্সুয়াল উদ্দেশ্যে যেতে বললাম? হুরমত বা কিছু হয়ে গেল নাকি? এসব চিন্তা করতে থাকি।
সমস্যা হবে?

২. হুজুর আপনি বলেছেন যে, যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত সেহেতু আমার উচিত এসব থেকে বেরিয়ে আসা। তবে আমি বের হতে পারছি না। কারণ, আমি যদি কিছু বলে ফেলি বা করে ফেলি তাহলে আমার মনে হয় যে, সমস্যা হয়ে গেল কিনা? চিন্তা করে দেখা দরকার। হুজুরকে প্রশ্ন করা দরকার। মুফতি সাহেবের থেকে মাসয়ালা না নিয়ে নিজে নিজে মাসয়ালা নেওয়া যাবে না। আমি যেটা সঠিক মনে করতেছি সেটা হুজুরের মুখ থেকেই শুনি। এসব চিন্তা করে প্রশ্ন এবং চিন্তা বাড়তেই থাকে আমার।

হুজুর আপনি যেহেতু আমাকে এসব নিয়ে ভাবতে নিষেধ করেছেন, সেহেতু যদি আমি এসব নিয়ে আর না ভাবি তবে এর ফাঁকে আল্লাহ না করুন যদি তালাক বা হুরমত বা যিহার কিছু হয়েও যায়, তাহলে সেসব কি গ্রহণযোগ্য হবে? যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ ভাববো না।

৩. আমার মনে হয় আপনাদের এই ওয়েবসাইটটি থেকে মানুষ ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ অনেকের প্রশ্নই এমন। আর সত্যি বলতে আমি কয়েক মাস আগে তালাকের মাসয়ালা ঘাটতে ঘাটতে এই ওয়েবসাইটে চলে আসি এবং কিছু ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির প্রশ্ন পড়ে আমিও সহজেই ওয়াসওয়াসায় পড়ে যাই। বর্তমানে আমি কিছুই করতে পারছি না। এমনকি পড়াশুনা, ব্যবসা সব বন্ধ করে রেখেছি। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছি না।
(তবে আমার সহজে এই বিষয়ে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো আমি গত প্রায় ৬ বছরের বেশি সময় থেকে অন্যান্য বিষয়ে ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত)

৪. আমি এই ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত অবস্থায় থাকাকালীন কয়েক সপ্তাহ আগে তালাক জাতীয় বা কেনায়া জাতীয় কি যেন বলে ফেলেছি৷ বলার পরে মনে হলো - বিষয়টি নিয়ে পরে চিন্তা করব (যদিও আমি জানতাম যে, তালাক জাতীয় কোনো কিছু মনে না থাকলে তালাক হয় না)। কিন্তু পরে আর বিষয়টি মনে নেই। আমার মনে হয় এই রকম কয়েকবার হয়েছে। কি করণীয়?

৫. আমি যেহেতু জানতাম যে, তালাক জাতীয় ঘটনা বা কথাগুলো ভুলে গেলে  বা ১০০% মনে না থাকলে তালাক হয় না। সেহেতু আমি যদি মনে করি যে, "পরে ভাববো বিষয়টি নিয়ে। দেরিতে ভাবলে যদি কিছু ভুলে যাই বা বিষয়টি ১০০% মনে না করতে পারি, নাই। তাহলে আর তালাক হবে না"।  এমনটা মনে করে সুবিধা নিয়ে থাকলে তালাক হবে?

৬. হুজুর আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ছিলাম সেহেতু  ৪, ৫ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে যা করেছি; করেছি, তালাক হবে কি?
কারণ আমি এখন যেমন সব সময়ই ওয়াসওয়াসার মধ্যে থাকি তখনও এমনই ছিলাম

৬. হুজুর আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ছিলাম সেহেতু  ৪, ৫ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে যা করেছি; করেছি, তালাক হবে কি?
কারণ আমি এখন যেমন সব সময়ই ওয়াসওয়াসার মধ্যে থাকি তখনও এমনই ছিলাম

৭. যেহেতু আমি সব সময়ই ওয়াসওয়াসার মধ্যে ছিলাম;  তাই ওই সময়ে তালাক, হুরমত, যিহার সম্পর্কে যাই বলে থাকি না কেন বা কল্পনা করে থাকি না কেন, সেসব কি গ্রহণযোগ্য হবে? মানে ওসব কি পতিত হবে?

 ৮. আমার স্ত্রীকে বললাম, " ছাদে গিয়েছিলে নাকি?" বলার সময় মনে করেছি যে, "অন্য কারো সাথে দেখা করার জন্য গিয়েছিলে নাকি? (মনে করেছিলাম যে, সে অন্য কারো সাথে হুরমত করেছে)"
সমস্যা হবে?

৯. আমার স্ত্রী আমাকে ওর ব্যক্তিগত কথা বলছিল (যেগুলো শুনলে পুরুষ মানুষের উত্তেজনা আসতে পারে)। তবে কথাগুলো বলার সময় ও একটু জোরে বলছিল। আমাদের পাশের রুমে এক ভাই ভাড়া থাকে। আমি আমার ওয়াইফকে বললাম,"মানুষকে শোনাও আরও"। মানে ও যেন আস্তে কথা বলে আর মানুষ যেন না শোনে- সেটা বলতেছিলাম।
কিন্তু আমি যখন বলছিলাম যে, "মানুষকে শোনাও আরও" তখন মনে করেছিলাম যে, "আমি আমার ওয়াইফকে ওর ব্যক্তিগত কথাগুলো মানুষকে শোনাতে বলছি"। সমস্যা হবে?

১০.   ৯ নং এ যদি আমি আরও মনে করতাম যে, "মানুষকে শোনাও আরও" বলার মাধ্যমে হুরমত হচ্ছে বা হুরমত  করতে বলতেছি বা আমাদের সম্পর্কে সমস্যা করতে বলতেছি- তাহলে সমস্যা হবে?

 ১১. হুজুর আমি অনেক সময় কথা বলার আগে ইচ্ছা করেও তালাক, যিহার বা হুরমতের নিয়ত নিয়ে আসি। তবে সেগুলো আমার মনের নয়। এসব নিয়তে সমস্যা হবে?

 ১২. স্বামী "হু", "হা", " না" ইত্যাদি স্ত্রীকে বলার সময় যদি মনে করে যে - হুরমত হচ্ছে, তাহলে সমস্যা হবে?

 ১৩. স্ত্রী কথা বলার সময় স্বামী যদি মনে করে যে, হুরমত হচ্ছে তাহলে হুরমত হবে?

১৪.  ১, ২,৩ বলতে গিয়ে ৩ বলার সময় মনে মনে তালাক বললে তালাক হয়?

১৫. কেনায়া বাক্য হলো কিনা- বলার সময় এ নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল। তারপরেও ইচ্ছা করে কথাটি বলেছি। পরে আর সেটি মনে নেই। এখন করণীয় কি? তালাকের নিয়ত ছিল না।
( যদি তালাকের নিয়তে বলা হয়ে থাকে তাহলে?)

১৬.  "সব কিছুই তো তোমার বাড়িতে জানাও" এটি কি কেনায়া বাক্য?

 ১৭. আমার ছোট বাচ্চাটা বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে যায় এবং  মাথায় আঘাত পায়। সেজন্য আমি মেঝেতে কাঁথা বিছিয়ে রাখি৷ যাতে করে পড়ে গেলেও আঘাত কম লাগে। আমার স্ত্রী কাঁথা বিছিয়ে রাখা দেখতে পারে না। কারণ, ঘরের পরিবেশ দেখতে খারাপ লাগে, সৌন্দর্য থাকে না। তো একবার আমার ছেলেটা বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে যায় এবং কান্না শুরু করে।

আমারও মাথা গরম হয়ে যায়। আমি ওকে বলি, "এহ্ ওর ঘরের সৌন্দর্য" তাচ্ছিল্য করে এই কথাটা  বা এমন কথা বলছি ঘরের সৌন্দর্য নিয়ে। কারণ, মেঝেতে কাঁথা বিছিয়ে রাখলে কম আঘাত পেত।

1. "এহ ওর ঘরের সৌন্দর্য " বাক্যটি কি কেনায়া?

2. "কেউ যদি মনে করে সংসার আর করা হবে না। ঘরের সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে" এই কথাগুলো মাথায় এনে স্বামী যদি তাচ্ছিল্য করে বলে যে, "এহ ওর ঘরের সৌন্দর্য" তাহলে তালাক হবে?

3. 2 নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে তালাক হবে?

 
১৮. তালাক জাতীয় কোনো বাক্য লিখে গুগলে সার্চ দেওয়ার সময় বা খাতায় লেখার সময় তালাকের নিয়ত হলে তালাক হবে?
যেমনঃ গুগলে সার্চ দেওয়া হলো বা খাতায় লেখা হলোঃ

তালাক এর শর্ত,
তালাক দেওয়ার নিয়ম,
এতে কি তালাক হবে?
এসব বাক্য লিখতে গিয়ে বাক্যে উল্লিখিত আন্ডার লাইন করা তালাক শব্দটি লেখার সময় তালাকের নিয়ত করলে তালাক হবে?
1. শুধুমাত্র বাক্যের "তালাক" শব্দটি লেখার সময় নিয়ত করলে?
2. পুরো  বাক্যটি লেখার সময় নিয়ত করলে? 
3. 1,2 ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে?

১৯. কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে তবে তার উপহার নেওয়া যাবে কি?

২০. হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা যেমন কনফেকশনারি ব্যবসা শুরু করলে -
ক. ব্যবসার সব টাকাই হারাম হবে?
খ. শুধুমাত্র ইনভেস্টের হারাম টাকাটা পরে দান করলে ব্যবসা হালাল হবে না?

২১. আমি এক হুজুরের থেকে শুনেছিলাম যে, নামাজ না পড়লে বিয়ে বৈধ থাকে না বা তালাক হয়ে যায়- এমন কিছু। এসব জানার পরেও নামাজ পড়ি নি কিছু ওয়াক্ত।
আমি ভেবেছিলাম মনে হয় যে, বিষয়টি নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। না পড়লেও সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।
নামাজ পড়ি নি। সম্পর্ক ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আপনি তালাক নিয়ে যতই চিন্তা করুন না কেন, কিংবা মনে মনে কথা বলুন না কেন, কিংবা মনে মনে যতই উল্লেখিত শর্ত আওড়ান না কেন, কিংবা নিয়ত ও সংকল্প করুন না কেন– যতক্ষণ পর্যন্ত মুখে উচ্চারণের বিষয়টি পরিপূর্ণ নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তালাক হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ

‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা, মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে।’ (সহিহ বুখারী ৬৬৬৪ সহিহ মুসলিম ১২৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/53172/ ফতোয়ার বিবরণ মতে আপনি ওয়াওয়াসার রুগী হওয়ায় আপনার তালাক পতিত হবেনা।
তাই আপনি নিশ্চিত থাকুন। 

তবে এ কথা গুলো এড়িয়ে চলা আপনার জন্য খুবই জরুরী। 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
★আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 

আরো করনীয় জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১-১০)

প্রশ্ন গুলোর বিবরণ মতে কোনো তালাক হবেনা।
কোনো যিহার হবেনা।
কোনো হুরমত হবেনা।
কোনো সমস্যাই হবেনা 

(১১)
এসব নিয়তে সমস্যা হবেনা।

( ১২)
স্বামী "হু", "হা", " না" ইত্যাদি স্ত্রীকে বলার সময় যদি মনে করে যে - হুরমত হচ্ছে, তাহলে সমস্যা হবেনা।

 (১৩)
স্ত্রী কথা বলার সময় স্বামী যদি মনে করে যে, হুরমত হচ্ছে তাহলে হুরমত হবেনা।

(১৪)  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১, ২,৩ বলতে গিয়ে ৩ বলার সময় মনে মনে তালাক বললে তালাক হয়না।

(১৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।  কোনো করনীয় নাই।

(১৬)  "সব কিছুই তো তোমার বাড়িতে জানাও" এটি কেনায়া বাক্য নয়।

(১৭)

1. "এহ ওর ঘরের সৌন্দর্য " বাক্যটি কেনায়া বাক্য নয়।

2. "কেউ যদি মনে করে সংসার আর করা হবে না। ঘরের সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে" এই কথাগুলো মাথায় এনে স্বামী যদি তাচ্ছিল্য করে বলে যে, "এহ ওর ঘরের সৌন্দর্য" তাহলে তালাক হবেনা।

3. 2 নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে তালাক হবেনা।
অন্য কাহারো ক্ষেত্রে হলেও তালাক হবেনা।


(১৮)

1. শুধুমাত্র বাক্যের "তালাক" শব্দটি লেখার সময় নিয়ত করলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য তালাক হবেনা।
2. পুরো  বাক্যটি লেখার সময় নিয়ত করলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য তালাক হবেনা।
3. 1,2 ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে তালাক হবেনা।

১৯. কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে তবে তার উপহার নেওয়া যাবেনা।

২০. হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা যেমন কনফেকশনারি ব্যবসা শুরু করলে -
ক. ব্যবসার সব টাকা হারাম হবে।
খ. শুধুমাত্র ইনভেস্টের হারাম টাকাটা পরে আলাদা কোনো টাকা থেকে দান করলে ব্যবসা হালাল হবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ- 

(২১)
সম্পর্ক ঠিক আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...