আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
১. আমার অনেক আগের একটি বিষয় মাথায় আসছে, লালনের একটি গানের মাঝে এমন ছিলো," কাফের যারা দোজখে যাবে, আবার তারা খালাস পাবে" আমি সেই গান গেয়েছিলাম,  কিন্তু তখন কি আকিদা ছিলো, খেয়াল নাই কোথায় থেকে জানি শুনেছিলাম যে কাফের যারা তারাও জ্বলতে জ্বলতে একদিন সেখান থেকে বের হবে কারণ তারা মুসলিম হেয় জন্মেছিলো। যাই হোক এখন তো আমি কোরআন থেকে জেনেছি যে কাফেররা চিরস্থায়ী জাহান্নামী বের হওয়ার সুযোগ নাই। তাই আজকে এবিষয়ে ইখতেলাফ বা মাতানক্য আছে কি না, বা কেও ওরা ও জাহান্নাম থেকে বের হবে এমন বলেছে জিনা জানার জন্য গুগল ও করি। যদিও জানি তা কোরআনে আছে যে ওরা চিরস্থায়ী জাহান্নামি, তাও ভাবলাম কেও এটার ভিন্ন ব্যাখা করেছেন কি না।

এখন সেই পুরাতন ঘটনা  অনুযায়ী গান টি গাওয়া, বা তখনের জানা,এবং আজকের গুগল করা এসবের জন্য কি কুফর হবে?

২. অনেক আগে একজন কোরআনের আয়াতের অনুরনে ব্যাঙ্গ করে একটা পোস্ট করে, একটা ব্যঙ্গাত্মক নাম দিয়ে বলে এটা অমুক সুরার এতো আয়াত। এই পোস্ট দেখে, তার লেখার ভঙ্গি দেখে হেসে ছিলাম না রাগ করেছিলাম মনে নাই, যা মনে হইতেছে  প্রথমে লেখার শব্দচয়ণে হাসি উঠলেও পরে রাগ লাগে। এভাবে বিভিন্ন পোস্ট দেখে এমনটা হয়েছে যা মুসিমদের ইসলামকে ব্যঙ্গ করা। অনেক আগের কথা তখনের মানসিকতা মনেও নাই,  এর ফলে কি কুফর হয়ে গিয়েছিলো আমার?

৩.  উপরের দুই ঘটনাই আনার বিয়ের অনেক আগের মনে,  বিয়ের পয় দ্বিতীয় ঘটনার কিছু ঘটে নাই,কারণ ওদের সবাইকে পরে ব্লক করে দেই, আর ওই গান টাও মনে হয় না আর গেয়েছি। এখন আমার বিবাহ কি হয়েছে?

৪. আমি প্রতিদিন ঘুমের সময় কলিমা তৈয়িবা পড়ে ঘুমাই তা অনেক বছরের অভ্যাস এর ফলে ভুলেও কিছু হলে অটোমেটিক নবায়ন ধরা যায়?

৫. ইসলামি ব্যাংকে কিছু টাকা ছিলো যারা বছরের ১৮৫ টাকা লাভ দিয়েছে। এ থেকে আবার টেক্স কেটেছে ২৮ টাকার মতো।
এছাড়া একাউন্ট মেনটেন আর এসেমেস মেনটেনের জন্য নিছে ২০৫ টাকা, এখন আমারকি টাকা সদকা করতে হবে? যতো দিলে তার থেকে অনেক বেশিই নিয়ে নিলো?

আর করা লাগলে কতো করবো? ১৮৫? না কি (১৮৫-২৮)= ১৫৭ টাকা করলেই হবে

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কাফেররা চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।
এটি অকাট্য ভাবে কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমানিত, এটি অস্বীকার করা বা বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার সুযোগ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ [٦٤:١٠]

আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, তারা তথায় অনন্তকাল থাকবে। কতই না মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল এটা। [সূরা তাগাবুন-১০]

الَّذِينَ كَذَّبُوا بِالْكِتَابِ وَبِمَا أَرْسَلْنَا بِهِ رُسُلَنَا ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ (70) إِذِ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ وَالسَّلَاسِلُ يُسْحَبُونَ (71) فِي الْحَمِيمِ ثُمَّ فِي النَّارِ يُسْجَرُونَ (72) ثُمَّ قِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تُشْرِكُونَ (73) مِن دُونِ اللَّهِ ۖ قَالُوا ضَلُّوا عَنَّا بَل لَّمْ نَكُن نَّدْعُو مِن قَبْلُ شَيْئًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ الْكَافِرِينَ (74) ذَٰلِكُم بِمَا كُنتُمْ تَفْرَحُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنتُمْ تَمْرَحُونَ (75) ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ (76)

অর্থাৎ, ওরা গ্রন্থ ও আমার রসূলদেরকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছিলাম, তা মিথ্যাজ্ঞান করে। সুতরাং শীঘ্রই ওরা জানতে পারবে। যখন ওদের গলদেশে বেড়ি ও শিকল থাকবে, ওদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর ওদেরকে অগ্নিতে দগ্ধ করা হবে; পরে ওদেরকে বলা হবে, কোথায় তারা, যাদেরকে তোমরা শরীক করতে---আল্লাহকে ছেড়ে?’ ওরা বলবে, ওরা তো আমাদের নিকট থেকে অদৃশ্য হয়েছে; বরং পূর্বে আমরা এমন কিছুকে আহবান করিনি, যার কোন সত্তা ছিল। এভাবে আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে বিভ্রান্ত করে থাকেন। এটা এ কারণে যে, তোমরা পৃথিবীতে অযথা আনন্দ করতে ও দম্ভ করতে। ওদেরকে বলা হবে, জাহান্নামে চিরকাল বসবাসের জন্য ওতে প্রবেশ কর, কত নিকৃষ্ট উদ্ধতদের আবাসস্থল। (মু'মিনঃ ৭০-৭৬)।

مَّنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وِزْرًا (100) خَالِدِينَ فِيهِ ۖ وَسَاءَ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِمْلًا (101)

অর্থাৎ, যে কেউ এ হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, ফলতঃ সে কিয়ামতের দিন (মহাপাপের) বোঝা বহন করবে। ঐ (পাপের শাস্তি)তে ওরা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এই বোঝা ওদের জন্য কত মন্দ হবে। (ত্বহাঃ ১০০- ১০১)।

وَإِن تَعْجَبْ فَعَجَبٌ قَوْلُهُمْ أَإِذَا كُنَّا تُرَابًا أَإِنَّا لَفِي خَلْقٍ جَدِيدٍ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

অর্থাৎ, যদি তুমি বিস্মিত হও, তাহলে বিস্ময়ের বিষয় তাদের কথা, (মৃত্যুর পর) মাটিতে পরিণত হওয়ার পরও কি আমরা নতুন জীবন লাভ করব?’ ওরাই ওদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে এবং ওদেরই গলদেশে থাকবে বেড়ি। ওরাই হবে দোযখবাসী, সেখানে ওরা চিরস্থায়ীভাবে বাস করবে। (রাদঃ ৫)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যেহেতু না জেনে এগুলো ভেবেছিলেন,গুগল করেছিলেন।
তো এসবের দরুন কুফর হবেনা।

(০২)
আপনি যেহেতু তার লেখার ভঙ্গি দেখে হেসেছিলেন,মূলত কুরআনের আয়াত নিয়ে আপনি হাসি ঠাট্রা করেননি।
সুতরাং আপনার ঈমান চলে যায়নি।

তবে আপনি তওবা করবেন।

(০৩)
আপনার বিবাহ হয়েছে।

(০৪)
হ্যাঁ, অটোমেটিক নবায়ন ধরা যায়।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি সতর্কতামূলক ১৫৭ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...