বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কাফেররা চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।
এটি অকাট্য ভাবে কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমানিত, এটি অস্বীকার করা বা বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার সুযোগ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ [٦٤:١٠]
আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, তারা তথায় অনন্তকাল থাকবে। কতই না মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল এটা। [সূরা তাগাবুন-১০]
الَّذِينَ كَذَّبُوا بِالْكِتَابِ وَبِمَا أَرْسَلْنَا بِهِ رُسُلَنَا ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ (70) إِذِ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ وَالسَّلَاسِلُ يُسْحَبُونَ (71) فِي الْحَمِيمِ ثُمَّ فِي النَّارِ يُسْجَرُونَ (72) ثُمَّ قِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تُشْرِكُونَ (73) مِن دُونِ اللَّهِ ۖ قَالُوا ضَلُّوا عَنَّا بَل لَّمْ نَكُن نَّدْعُو مِن قَبْلُ شَيْئًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ الْكَافِرِينَ (74) ذَٰلِكُم بِمَا كُنتُمْ تَفْرَحُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنتُمْ تَمْرَحُونَ (75) ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ (76)
অর্থাৎ, ওরা গ্রন্থ ও আমার রসূলদেরকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছিলাম, তা মিথ্যাজ্ঞান করে। সুতরাং শীঘ্রই ওরা জানতে পারবে। যখন ওদের গলদেশে বেড়ি ও শিকল থাকবে, ওদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর ওদেরকে অগ্নিতে দগ্ধ করা হবে; পরে ওদেরকে বলা হবে, কোথায় তারা, যাদেরকে তোমরা শরীক করতে---আল্লাহকে ছেড়ে?’ ওরা বলবে, ওরা তো আমাদের নিকট থেকে অদৃশ্য হয়েছে; বরং পূর্বে আমরা এমন কিছুকে আহবান করিনি, যার কোন সত্তা ছিল। এভাবে আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে বিভ্রান্ত করে থাকেন। এটা এ কারণে যে, তোমরা পৃথিবীতে অযথা আনন্দ করতে ও দম্ভ করতে। ওদেরকে বলা হবে, জাহান্নামে চিরকাল বসবাসের জন্য ওতে প্রবেশ কর, কত নিকৃষ্ট উদ্ধতদের আবাসস্থল। (মু'মিনঃ ৭০-৭৬)।
مَّنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وِزْرًا (100) خَالِدِينَ فِيهِ ۖ وَسَاءَ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِمْلًا (101)
অর্থাৎ, যে কেউ এ হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, ফলতঃ সে কিয়ামতের দিন (মহাপাপের) বোঝা বহন করবে। ঐ (পাপের শাস্তি)তে ওরা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এই বোঝা ওদের জন্য কত মন্দ হবে। (ত্বহাঃ ১০০- ১০১)।
وَإِن تَعْجَبْ فَعَجَبٌ قَوْلُهُمْ أَإِذَا كُنَّا تُرَابًا أَإِنَّا لَفِي خَلْقٍ جَدِيدٍ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
অর্থাৎ, যদি তুমি বিস্মিত হও, তাহলে বিস্ময়ের বিষয় তাদের কথা, (মৃত্যুর পর) মাটিতে পরিণত হওয়ার পরও কি আমরা নতুন জীবন লাভ করব?’ ওরাই ওদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে এবং ওদেরই গলদেশে থাকবে বেড়ি। ওরাই হবে দোযখবাসী, সেখানে ওরা চিরস্থায়ীভাবে বাস করবে। (রাদঃ ৫)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যেহেতু না জেনে এগুলো ভেবেছিলেন,গুগল করেছিলেন।
তো এসবের দরুন কুফর হবেনা।
(০২)
আপনি যেহেতু তার লেখার ভঙ্গি দেখে হেসেছিলেন,মূলত কুরআনের আয়াত নিয়ে আপনি হাসি ঠাট্রা করেননি।
সুতরাং আপনার ঈমান চলে যায়নি।
তবে আপনি তওবা করবেন।
(০৩)
আপনার বিবাহ হয়েছে।
(০৪)
হ্যাঁ, অটোমেটিক নবায়ন ধরা যায়।
(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি সতর্কতামূলক ১৫৭ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবেন।