জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ حسن صحيح
ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।
আবূ দাঊদ ৪০৩১; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১।
জন্মদিন বিবাহবার্ষিকী সহ প্রশ্নে উল্লেখিত যাবতীয় ডে পালন করা, এটা আমাদের ইসলামী কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা এসেছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:-
“হে মুমিন মুসলমানগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না”। ( সূরা আন নিসা : পবিত্র আয়াত ১৪৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
“তোমরা (মুসলমানগণ) কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ-অনুকরণ করো না।” ( সূরা আহযাব : পবিত্র আয়াত ৪৮)
আমাদের কাছে প্রতিটি দিনই খুশির দিন। যাঁরা স্বামী-স্ত্রী আছেন, তাঁদের প্রতিটি দিনই হবে খুশির দিন
প্রতিদিনই স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে,স্ত্রী তার স্বামীকে নিয়ে খুশি, প্রতিদিনই আমাদের জন্য খুশির দিন। আমরা এ জাতীয় কোনো সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারি না।
,
আমাদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর জন্য খুশির কারণ, স্বামীরা সব সময় স্ত্রীদের জন্য খুশির কারণ। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনে নয়। এ জন্য বিয়ের দিন, এ জাতীয় জিনিসগুলো পালন করা ইসলাম অনুমোদন করে না।
,
★তাই এসব দিন উপলক্ষে বাসায় পরিবারের সদস্যদের জন্য স্পেশাল কোনো খাবার রান্না করাও জায়েজ নেই।
রান্না করা হলে সেটি খাওয়া উক্ত বিজাতীয় সংস্কৃতি পালনের নামান্তর হওয়ায় জায়েজ নেই।
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি উক্ত খাবার খেতে পারবেন।
(০৫)
এক্ষেত্রে এসব দিনকে কেন্দ্র কেউ খাবার পাঠায়লে
জন্মদিন,৩১ফার্স্ট নাইট, বিবাহবার্ষিকী,মৃত্যুবার্ষিকীর খাবার খাবেননা।
সেটি ফিরিয়ে দিবেন,নতুবা গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
আর মুসলমানীর দাওয়াতের খাবার হলে সেটি খেতে পারবেন।
(০৫)
আপনি তার ইনকাম সম্পর্কে জেনে তারপর খাবার গ্রহন করবেন।
না জেনে গ্রহন করলে খাওয়ার আগেই জেনে নিবেন।
সন্দেহ মূলক হলে গরিব মিসকিনকে সেই খাবাত দয়ে দিবেন।
(৬.৭)
হ্যাঁ, আমাদের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এর দোকান থেকে ক্রয়কৃত গোশত খাওয়া জায়েজ।
(০৮)
এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
জবাইয়ের সময় যেই রক্ত প্রবাহিত হয়ে চলে যায়,সেই রক্ত শুধু হারাম।
পোড়া মাংশের মধ্যে যে রক্ত থাকে,এটি হারাম নয়।
(০৯)
আপনি সহ সকলেই খেতে পারবেন।
(১০)
এটি খাওয়া যাবে।
এটি প্রসাদ এর পর্যায়ের নয়।
তবে তাদের থেকে জেনে নিবেন যে এটি প্রসাদের? নাকি আমাদের খাওয়ানো/দেয়ার জন্য বানিয়েছে?
তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-