আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

আজকে আমার আব্বুকে একজন লোক হোটেলে খাওাইসে আজকে। আর আব্বু আমাদের বাড়িতে সবার জন্নে নিজে কিনে খাবার আনসে।

১/ আমি জানিনা লোকটা আব্বুকে ৩১স্ট নাইট উপলক্ষে খাওাইসে কিনা। এক্ষেত্রে আমি কি সে খাবার খেতে পারবো? ২/ আর যদি সিওর হই যে সে এই উপলক্ষেই খাওাইসে কিন্তু খাবার আমাদের জন্যে পাঠাইসে তখন? ৩/ আব্বু না কিনে সে কিনে দিলে কি খাওয়া ঠিক হতো??৪/ এই খাবার খাওার সময় আমার ভাই ব্বলসে তারা এই ৩১স্ট নাইট এর নিয়তে খাচ্ছেনা,নরমালি খাচ্ছে, এক্ক্ষেত্রে ? (আমার আব্বু মাঝে মাঝেই এমন হোটেল থেকে খাবার এনে থাকে)

৫/ এরকম যে দিন গুলা পালন করা হারাম সে দিউপলক্ষে যদি কেও খাবার পাঠায় তা খাওয়া কি জায়েয? (যেমন জন্মদিন,৩১স্ট নাইট, বিবাহবার্ষিকী, মোসল্মানি বা খরচ বা মৃত্যুবার্ষিকী)

৫/কোনো ব্যাক্তি যদি খাবার উপহার পাঠায় বা দাওয়াত দেয় অথচ আমি জানিনা তার হালাল ইনকাম কিনা , সে উপহার গ্রহন করা কি জায়েজ?

৬/দোকান থেকে কেনা মাংস খাওয়া কি জায়েজ? কারণ আমি জানিনা যে তা কাটার আগে বিসমিল্লাহ বলেছে কিনা। ৭/আর দোকানি যদি বলে যে বলছে বিসমিল্লাহ। তখন?৮/যে পোড়া মাংস বিক্রি করে তার নাকি ঝলসে রান্না করে, তার ভেতরে লাল রক্ত নাকি রান্না হয়না, তার মানে তো তা প্রবাহিত রক্ত, তাইনা? তা খাওয়া কি ঠিক????

৯/ আর এসকল খাবার কি শুধু আমি না খাবো?নাকি পরিবারের সবাইকে মানা করবো??(যদিও তারা শুনতে চায়না)

১০/ এক হিন্দু লোক পুজার মোয়া নাড়ু ইত্যাদি আমার বাবাকে দিয়েছিলো।  আমি খাইনা যেহেতু পুজার সময়কার দেওয়া। কিন্তু আমার পরিবারকে মানা করলেও খায়( তারা বলে এগুলা মেহমানদের দেয়, প্রসাদ না)।আসলেই কি মেহমানদের দিলে তা খাওয়া যায়, তা কি প্রসাদ এর পর্যায়েরই নয়? আমি আর বেশি বলিনা। এতে কি আমার গুনাহ হবে?(যেহেতু আমি ভালো করে বোঝাতে পারিনা, আমি শুধু বলি এটা খাওয়া হারাম)

আর যদি হিন্দুরা পুজা ছাড়া অন্য সময় এসব দেয়(প্রসাদ কিনা জানিনা) অথবা অন্য খাবার (যেমন খিচুড়ি) দেয় তা কি খাওয়া জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ حسن صحيح

ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।
আবূ দাঊদ ৪০৩১; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১।

জন্মদিন বিবাহবার্ষিকী সহ প্রশ্নে উল্লেখিত যাবতীয় ডে পালন করা, এটা আমাদের ইসলামী কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা এসেছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।

মহান আল্লাহ পাক  ইরশাদ  করেন:- 
“হে মুমিন মুসলমানগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না”। ( সূরা আন নিসা  : পবিত্র আয়াত ১৪৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- 
“তোমরা (মুসলমানগণ) কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ-অনুকরণ করো না।” ( সূরা আহযাব  : পবিত্র আয়াত  ৪৮)

আমাদের কাছে প্রতিটি দিনই খুশির দিন। যাঁরা স্বামী-স্ত্রী আছেন, তাঁদের প্রতিটি দিনই হবে খুশির দিন

 প্রতিদিনই স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে,স্ত্রী তার স্বামীকে নিয়ে খুশি, প্রতিদিনই আমাদের জন্য খুশির দিন। আমরা এ জাতীয় কোনো সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারি না। 
,
আমাদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর জন্য খুশির কারণ, স্বামীরা সব সময় স্ত্রীদের জন্য খুশির কারণ। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনে নয়। এ জন্য বিয়ের দিন, এ জাতীয় জিনিসগুলো পালন করা ইসলাম অনুমোদন করে না।
,
★তাই এসব দিন উপলক্ষে বাসায় পরিবারের সদস্যদের জন্য স্পেশাল কোনো খাবার রান্না করাও জায়েজ নেই।
রান্না করা হলে সেটি খাওয়া উক্ত বিজাতীয়  সংস্কৃতি পালনের নামান্তর হওয়ায় জায়েজ নেই।
,
আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি উক্ত খাবার খেতে পারবেন।

(০৫)
এক্ষেত্রে এসব দিনকে কেন্দ্র কেউ খাবার পাঠায়লে 
জন্মদিন,৩১ফার্স্ট নাইট, বিবাহবার্ষিকী,মৃত্যুবার্ষিকীর খাবার খাবেননা।
সেটি ফিরিয়ে দিবেন,নতুবা গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

আর মুসলমানীর দাওয়াতের খাবার হলে সেটি খেতে পারবেন।

(০৫)
আপনি তার ইনকাম সম্পর্কে জেনে তারপর খাবার গ্রহন করবেন।
না জেনে গ্রহন করলে খাওয়ার আগেই জেনে নিবেন।
সন্দেহ মূলক হলে গরিব মিসকিনকে সেই খাবাত দয়ে দিবেন।

(৬.৭)
হ্যাঁ, আমাদের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এর দোকান থেকে ক্রয়কৃত গোশত খাওয়া জায়েজ।

(০৮)
এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।

জবাইয়ের সময় যেই রক্ত প্রবাহিত হয়ে চলে যায়,সেই রক্ত শুধু হারাম।
পোড়া মাংশের মধ্যে যে রক্ত থাকে,এটি হারাম নয়।

(০৯)
আপনি সহ সকলেই খেতে পারবেন।

(১০)
এটি খাওয়া যাবে।
এটি প্রসাদ এর পর্যায়ের নয়।
তবে তাদের থেকে জেনে নিবেন যে এটি প্রসাদের? নাকি আমাদের খাওয়ানো/দেয়ার জন্য বানিয়েছে?
তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...