মহিলাদের তালাক নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন

Question

তালাকের অধিকার প্রাপ্তা  স্ত্রীর ক্ষেতে প্রশ্ন গুলোর উত্তরকেমন হবে

১.আমিতো নামাজ পড়তেসিলাম । এর মধ্যেই আমর নে আমার আসছে নিজের পর তালাক ।সূর পড়র ময় মানুষ ইদানিং এসব মানে আসে এমনকি রুকু সিজদাতেও সব সিময় এটা মনে হচ্ছে
। মনে হলো ইচ্ছ করেই বলসেছি। কিন্তু আওয়াজ হয়নি আওয়াজ হচ্ছিলো সে সূরা পরসি ঐ শুরার।সূরা পড়ার সময় সূরার আওয়াজ হলে নিজের ওপর তালাক এটা কিভাবে বলবো?? সূরা পড়ছিলাম।তালাকের ঐটা আমার মনের মধ্যে ছিলো মনেই আসে
২.আর নিজের ওপর তালাক নিয়ে এতো বেশি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত যে আমি হাতেরর আঙ্গুল নড়িয়ে কাওকে কিছু দেখাতে গেলে ভয় পাই। আমি তালাক চাইনা এই জন্য

৩.তাব্বাতিআদা আবি লেহাবিউ ওয়া তাব এটা পড়ার সময় আমার স্পস্ট মনে  আছে আনি নিজের ওপর তালাক ওটা মনে মনে বলেছি। আর মুখে সূরা পড়তোসিলাম ।

৪। এখানে প্রশ্ন গুলোর যে সংখ্যা লিখতেসি সেখানেও আমার সন্দেহ হচ্ছে নিজের ওপর নিয়ে নিচ্ছি কিনা। বা অনেক সময় অটো মনে চোখে আসে আমার অনেক সময় জেমন হয় যে শব্দটা বলসি  সেটা বুঝার জন্য মনে মনে বলতে থাকি। অনেক সময় মনে হয় আমি যেনো জোর করে মনে আনি নিজের ইচ্ছায়  এসব মনে আনি। ওভাবেকি তালাক হয়ে যাবে??

৬। শশুরিকে কথাটা হাসতে হাসতে বলছিলাম আমার মান সম্মান নাইগো। এভাবেই কি তালাক হয়ে যায় /

সাইকোলজিস্ট দেখাইসি উনি বলসে আপনার তো OCD আছে। উনি eবলসে এগুলো ওয়াসওয়াসা এসব মাথা থেকে ফেলে দিতে কিন্তু অমিতো এই দুষচিন্তা বুলতেই পারছিনা। ডাক্তার মহিকা বলসিলেন apanr  ওপর  তো আল্লাহর কলম। উঠিয়ে নিসে। আমি মানসিক রুগী /পাগল  আপনার তালাক হবেনা মানসিক রুগী শরীয়তে মানুসিক রুগীর তালাক হয়না
ওডিসি বা পাগলের তালাক নাকি গ্রহণযোগ্য না????

৭। মোবাইলে অনেক সময় নোটিফিকেশন আসে সেগুলো তে ওকে লিখতে টিপ দিতে হয়। ওই ওকে লিখতে টিপ দেওয়ার সম্পির কেউ যদি ইচ্ছাকরে নিজের ওপর তালাক নেয় তাহলেকি তালাক হয়ে যাবে?

৮। গতকাল সাইকোলজিস্ট এর কাছে গেছিলাম উনাকে এই তালাক সম্পর্কে ঝামেলা বলার পরে তিনি এগিলো কাগজে নোট করসে। সেখানে ১ তালাক ২ তালাক ৩ তালাক এভাবেই উনি লিখে ব্যাপারটা বুঝাচ্ছিলো। ওই কাগজ যদি আমার স্বামী পরে তাহলে কি আমার তালাক হয়ে যাবে যেহেতি সেখানে তালাকের কথা লিখা ছিলো। বা মুখে উচ্চারণ করে পড়লেও কি আমার তালাক হয়ে যাবে?? যদি তার উদ্দেশ্য আমাকে তালাক দেওয়ার জন্য না হয়? তাহলেকি তালাক হবে?

৯। এইযে আছেরে ৮ সং প্রশ্নে আমি লিখিসি তালাকের বিজে মানে ডাক্তার যে কথা গুলো নোট করতে এগুলো আমি এখানে লিখার মাধ্যমে কি আমার তালাক হয়ে গেছে??? আমিতো বর্ণনা ইডিচ্ছিলাম আপনাদের। তালাক নেওয়া নিয়ত ছিলোনা।।

১০। আমি কাকে যেনো বলছিলাম একটু এটা করে দাও বা একটু কথা শোনো। তখন আমার মনে হইসে আল্লাহ আমি সংখ্যাবাচক শব্দ কেনো বলসি তাই তাৎক্ষণার মুখে বলসি তালা আমার পুরোমবাক্যতা হতো তালাকের ইচ্ছা নাই কিন্তু কজখন তালাক শব্ধতা বলতে গেছি তখনি রও ভয় লাগসে তাই শুধু তালা বলে ২ /৩সেকেন্ড এর জন্য চুপ হয়েছিলাম কিনা মনে নাই  আমি পরে বলসি ইচ্ছা নাই মনে মনে বলসি। তালাকের ইচ্ছা নাই বলতে গিয়ে তালা বলে চুপ হয়ে গেছিলাম ভয়ে যে আমি এও জষ্টিও শব্দ উচ্চারণ করসি । তালা বলে চুপ হয়ে বাকিটা ইচ্ছা নাই মনে মনে বলেছি। পরে আবারো মোনে মনে বলতেছি তালাকের ইচ্ছা নাই।। এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে??

১১। নামাজে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করার সময় o পুরাটা সময় মনে মধ্যে আসে নিজের ওপর তালাক। কতক্ষন চেষ্টা করসি নিজের ওপর তালাক না বলে তারপর নিজের ওপর তালাক এটাই আসছে। এভাবেই সূরা ফিল অথবা সূরা মাউন্ পড়ার সময় প্রথম ৩ টা লাইনে মনে আসে আমার নিজের ওপর তালাক এভাবেই কি তালাক হয়ে গেসে??

১২. সুরা ফাতিহা তিলাওয়ার কটার সময় কড যদি ইচ্ছাকৃত নিজের ওপর তালাক নেয় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?

১৩। সূরা মাউন্ আর ফিল তিলাওয়াটার সময়ও কেউ যদি ইচ্ছা করে নিজের ওপর তালাক নেয় তাকালে হয়ে যাবেকি??

আমি এই ওয়াসওয়াসা থেকে কিভাবে মন থেকে সরাবো

Answer 1

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ- 

শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।

,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ

قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/50984/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

(০১)

প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(২-৫)

প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৬)

হ্যাঁ, আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই আপনার তালাক গ্রহনযোগ্য হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/53172/

(০৭)

এতে তালাক হবেনা।

(০৮)

এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

হ্যাঁ, আপনার স্বামী যদি আপনাকে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়েই উক্ত বাক্য বলে,তবেই তালাক হবে। 

(৯-১৩)

প্রশ্নের বিবরণ মতে এসব ছুরতে কোনো তালাক হবেনা। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

তালাকের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/54791/