আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আসলে আমি গত 9 বছর ধরে বিবাহিত কিন্তু আমি একটি সন্তান ধারণ করতে পারি না কারণ আমার চিকিৎসা সমস্যা রয়েছে।  উপসংহার হল যে আমি একটি বাচ্চা নিতে পারি না।
তাই এটা আমার জন্য সত্যিই দুঃখজনক এবং আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির জন্য আরও দুঃখজনক।  তারা সবাই বাচ্চা চায়।  এবং আমিও বাচ্চা চাই, কারণ মুসলমানদের জন্য বাচ্চা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যদিও আমার স্বামী আমাকে এই বিষয়ে কখনও কিছু বলেনি, কিন্তু ইদানীং আমি অনুভব করতে শুরু করি যে এটি এমন হতে পারে না, একদিন আমি আমার শাশুড়িকে আমার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম।
আম্মি বললেন, আমি রাজি না হওয়া পর্যন্ত আমরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারব না এবং আমি এতে খুশি।  তিনি বলেন, আমরা কখনই আমাদের ছেলেকে তা করতে বাধ্য করব না।
তারপর, কয়েক মাস আগে মৌটুসির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়, তিনি একজন মহিলা যিনি আমার সহকর্মী, সত্যিই একজন সুন্দর মহিলা এবং খুব সুন্দরী।  সে সবসময় আমাকে সম্মান করে এবং সে আমার সেরা বন্ধু হয়ে উঠেছে।  সে বিবাহিত, কিন্তু তার স্বামীর কারণে সেও সন্তান ধারণ করতে পারে না।  তার স্বামীর সমস্যা আছে।  তাই মনে মনে ভাবলাম, কেন মৌটুসীকে বিয়ে করাব না আমার স্বামীর সাথে।  আমি জানি না কেন, তবে তিনিই একমাত্র মহিলা যার আমি ভাবতে পারি।  এবং এছাড়াও তিনি একজন হিন্দু তাই তাকে মুসলিম করা এবং একটি মুসলিম পরিবারের সেবা করা এবং আমাদের সাহায্য করা খুব ভালো হবে।
আমি আমার বান্ধবীকে মুসলিম বানাতে চাই এবং আমার স্বামীর সাথে বিবাহ দিতে চাই। এক্ষেত্রে সমাধান কি হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلاَ تَنكِحُواْ الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلاَ تُنكِحُواْ الْمُشِرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُواْ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُوْلَـئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللّهُ يَدْعُوَ إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।(সূরা বাকারা-২২১)

স্মরণ রাখতে হবে যে ইসলাম একটি পৃথক ধর্ম। তাই আত্মীয়তা, ঘনিষ্ঠতা ও সামাজিকতার ক্ষেত্রে ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে কিছু পার্থক্য ধরে রাখা হয়েছে। যেমন: আহলে কিতাবের নারীদের বিয়ে করা মুসলমানদের জন্য মাকরুহের সাথে বৈধ বটে; কিন্তু আহলে কিতাব কোনো পুরুষের সঙ্গে মুসলিম নারীদের বিয়ে বৈধ নয়। আহলে কিতাব ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ নয়।

সুতরাং প্রচলিত হিন্দু, বৌদ্ধ, বাহায়ি, শিখ ও কনফুসীয় ধর্ম আসমানি ধর্ম হওয়ার বিষয়টি অকাট্যভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এসব ধর্মের অনুসারীরা আহলে কিতাব হিসেবে গণ্য হবে না। তাই তাদের সঙ্গে মুসলিম নারী ও পুরুষের কোনো ধরনের বিয়ে বৈধ নয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক (বহু স্রষ্টায় বিশ্বাসী) নারীকে বিয়ে কোরো না, যদিও মুশরিক নারী তোমাদের মুগ্ধ করে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4748

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার ঐ বান্ধবীকে মুসলিম বানিয়ে তাকে আপনার স্বামীর সাথে বিয়ে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...